ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিসমিল্লাহ খাঁর সানাই

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খাঁর চারটে সানাই সম্প্রতি চুরি হয়েছিল। চোরও ধরা পড়েছে বলে জনকণ্ঠে প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা গেল। চোরটি হচ্ছে বিসমিল্লাহ খাঁর নাতি। বিসমিল্লাহ খাঁ ভারতের বিখ্যাত সানাই শিল্পী। জগত জোড়া খ্যাতি তার। এই চারটি সানাই ছিল তার ছেলের বাড়িতে, বেনারসে। তার নাতি সানাই চারটি চুরি করে কিছু টাকার লোভে বিক্রি করে দেয়। স্বর্ণকারের দোকানে সানাইয়ে বাঁধানো রুপা গলিয়ে পাওয়া যায় ১ কেজি রুপা। এই ঘটনায় দু’জন স্বর্ণকারকেও আটক করা হয়েছে। প্রকাশিত খবর থেকে যেটুকু জানা গেল তাতে বোঝা যায়, ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার ‘গুণধর’ এক নাতি। সে কিচ্ছু করে না। ওগুলোর প্রকৃত মূল্যও সে বোঝে না। ওগুলো যে সম্পদ তা না বুঝে দিয়েছে বিক্রি করে। যথাযথ গুরুত্ব বুঝলে কাজটি সে করত না, এটা পরিষ্কার। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যায় রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরির ঘটনাটির কথা। চোর যদি নোবেল পদক কাউকে দেখিয়ে বলতে পারত ‘দ্যাখ দ্যাখ আমি এই পুরস্কারটা পেয়েছি, তাহলে সে দর্শক হয়তো ভেবা চ্যাকা খেয়ে যেতÑ সেটাও সম্ভব নয়’ কারণ নোবেল পদক যে সাধারণ কারও পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয় সেটা সবাই বুঝবে, একমাত্র উজবুক ধরনের কেউ ছাড়া! সে জন্য কবির নোবেল পদক চুরির আসল রহস্য আজও পরিষ্কার নয়- পদক চুরিই হোক আর সানাই বিক্রিই হোক তাতে কবি গুরুর খ্যাতি বা বিসমিল্লাহ খাঁর মর্যাদার মাহাত্ম্যের কিছু যায় আসে না। তারা উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং থাকবেন, শুধু ধিক্কৃত হবেন বা পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন ঐ ‘গুণধর কীর্তিমানেরা’।
×