ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যালারডাইসের ক্রিস্টালকে সমীহ আর্সেনালের

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১ জানুয়ারি ২০১৭

এ্যালারডাইসের ক্রিস্টালকে সমীহ আর্সেনালের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বছরের শেষদিনে শনিবার চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি এগিয়ে গেছে আরেকটু। এ তিন দলকে ছোঁয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ আর্সেনালের। আর পেছনে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও রুখতে হবে। আজ বছরের প্রথমদিনেই তাই পরীক্ষার সামনে গানার্স শিবির। প্রতিপক্ষ চলতি প্রিমিয়ার লীগে নাজুক অবস্থায় থাকা ক্রিস্টাল প্যালেস। তবু দুশ্চিন্তার ভাঁজ কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের কপালে। কারণ ক্রিস্টালের দায়িত্বে এখন তার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী স্যাম এ্যালারডাইস। অভিজ্ঞ এ কোচের অধীনে ক্রিস্টাল পুনরুজ্জীবিত হয়ে অযাচিত কিছু ঘটাতে পারে। মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা টটেনহ্যাম একই দিনে মুখোমুখি হচ্ছে এখন পর্যন্ত বেশ ভাল নৈপুণ্য দেখানো ওয়াটফোর্ডের। তবে প্রিমিয়ার লীগে পেপ গার্ডিওলা, জারগেন ক্লপ, জোশে মরিনহো ও এ্যান্টোনিও কন্টেদের মতো এত বিখ্যাত ও নামী কোচ থাকার পরও সব পর্যায়ে তাদের দলের পারফর্মেন্স হতাশাজনক বলেই দাবি ওয়েঙ্গারের। এই মুহূর্তে চার নম্বরে অবস্থান আর্সেনালের। ১৮ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে গানার্সদের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে টটেনহ্যাম। এই পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবেই দারুণ কিছু জয় পেতে হবে। কারণ ওপরে থাকা তিন প্রতিপক্ষকে ছোঁয়ার জন্য এর বিকল্প কিছু নেই। এই মুহূর্তে একটা পয়েন্ট নষ্ট করা মানেই টটেনহ্যাম কিংবা ম্যানইউকে সুযোগ করে দেয়া ওপরে ওঠার এবং সেই সঙ্গে নিজেদের নিচে নামার শঙ্কা। ওয়েঙ্গারের লক্ষ্যটা সেজন্য জয়ের বিকল্প কিছু নেই। লীগের গত ১৮ ম্যাচে একেবারে বিপর্যস্ত ক্রিস্টাল প্যালেসকেও এখন সমীহ করছেন তিনি। কারণ এ্যালারডাইস দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন করে। তাঁর কাজের ধারা সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই জানা আছে ওয়েঙ্গারের। ১৯৯৪ সালের পর আর কখনও আর্সেনালকে হারাতে পারেনি ক্রিস্টাল। কিন্তু এ্যালারডাইস তার কোচিং ক্যারিয়ারে কিছুদিন খুব বাজে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর ঐতিহাসিক কিছু করার লক্ষ্যেই দলকে নিয়ে মাঠে নামবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে ওয়েঙ্গার বলেন, ‘এখন লীগে টিকে থাকতে হলে সবার জন্যই প্রতিটি ম্যাচ হয়ে উঠেছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর তিনি (এ্যালারডাইস) এমন একজন কোচ যার এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা, গুণ ও সামর্থ্য আছে। আর যখনই কোন দলে নতুন কোন কোচ আসেন তখন নিশ্চিতভাবে তাদের আত্মবিশ্বাসের পর্যায় ও প্রথম ম্যাচের গুরুত্বটা অনেক উঁচুতে চলে যায়। এটাই যে কোন ম্যাচকে কঠিন করে তোলে।’ প্রিমিয়ার লীগে এ মৌসুমে বিশ্বের সব নামীদামী কোচের সমারোহ। গার্ডিওলা ম্যানসিটিতে, মরিনহো ম্যানইউতে, ক্লপ লিভারপুলে এবং কন্টে চেলসির দায়িত্বে আছেন। চলতি মৌসুমে চেলসি ব্যতীত বাকি দলগুলোর নৈপুণ্য তেমন আকর্ষণীয় ছিল না বরং ওয়েঙ্গার মনে করছেন কোচের মান অনুসারে দলের নৈপুণ্য হতাশাজনক। এমনকি চলতি লীগের গুণগত মান নিয়েও দারুণ হতাশ ওয়েঙ্গার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়নশিপসের মাঝামাঝি চলে এসেছি। এবার বিশ্বের সেরা কোচেরা এখানে তাদের দল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। কিন্তু তবু সব পর্যায়ে দলগুলোর নৈপুণ্য হতাশাজনক অথচ এ বছরটা হওয়া উচিত ছিল সবচেয়ে আকর্ষণ ও চমকে পরিপূর্ণ ব্যতিক্রমী। কিন্তু ইংল্যান্ড সবসময় স্মৃতিতে রাখবে এমন কিছু ঘটেনি এ বছর। সব প্রিমিয়ার লীগই বিশেষ করে ২/৩টি ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করেছে। আর সেটা দর্শনীয় ও উপভোগ্য করেছে প্রিমিয়ার লীগকে।
×