ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

বড়দিনের ছুটি রবিবার পড়ায় সরকারী চাকুরেদের সুবিধা হয়েছে, তারা পর পর তিন দিন ছুটি পেয়ে অনেকেই ঢাকার বাইরে চলে যান। যদিও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ছুটি ছিল না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে বহু মানুষ বৃহস্পতিবারের অপেক্ষায় থাকেননি, বুধবারেই ঢাকা ত্যাগ করেন। তাই বুধবার ছিল প্রচ- যানজট। আর চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার রূপ বদলে যায়, সেদিন ঢাকা থাকে ফাঁকা ফাঁকা। ডিসেম্বরের তিনটে উৎসবই পড়েছে মাসের শেষার্ধে। বিজয় দিবস উৎসবের সঙ্গে অন্য উৎসবের তুলনা চলে, এটা সত্যি। ২৫ ডিসেম্বর যথারীতি বড়দিনের উৎসব পালিত হয়েছে বর্ণাঢ্যভাবে। এটি খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হলেও এর আনন্দ উপভোগে যুক্ত হন সব ধর্মেরই মানুষ। বিশেষ করে কোন খ্রিস্টান পরিবারের একান্ত সান্ধ্য পার্টিতে মুসলিম ব্যক্তিদের উপস্থিতি যথেষ্টই থাকে। আর সামনে আসছে থার্টি ফার্স্ট উৎসব। এই উৎসব এবারও সংযত ও সীমিত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। আলাউদ্দীন খাঁর সুরের সুবাস শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সচরাচর অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। এর একাধিক অনুষ্ঠান যথেষ্ট আকর্ষণীয় ও কৌতূহলোদ্দীপক। রসিকজনের সমস্যায় পড়তে হয়Ñ কোনটা ছেড়ে কোনটায় যাই। গত শুক্রবার ছায়ানট ভবনের আয়োজনটি বিশেষ ঐশ্বর্যম-িত এ কারণে যে বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর পৌত্র ও শিষ্য ওস্তাদ আশীষ খান সরোদ বাজাবেন। সঙ্গে তার ভ্রাতুষ্পুত্র সিরাজ আলী খানও থাকবেন। অপরদিকে ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁয়ের ভাই ওস্তাদ আয়েত আলী খানের পৌত্র ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খানও থাকছেন একই মঞ্চে। মানে সাক্ষাত আলাউদ্দীন খাঁর সুরের সুবাস মিলবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান এই আলাউদ্দীন খাঁই ভারতীয় উপমহাদেশের রাগসঙ্গীতকে সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যের শ্রোতাদের হাছে পরিচিত করান। তার বহুসংখ্যক যোগ্য শিষ্যের মধ্যে রয়েছেন পুত্র আলী আকবর খান, জামাতা প-িত রবিশঙ্কর, ভ্রাতুষ্পুত্র বাহাদুর হোসেন খান, কন্যা রওশন আরা বেগম (অন্নপূর্ণা)। যাহোক, ছায়ানট ভবনে যাওয়ার জন্যই মনস্থির করলাম। সত্যিই পৌষের ছুটির সন্ধ্যা মুখর হয়ে উঠেছিল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মূর্ছনায়। অবশ্য একই সঙ্গে আশীষ খানের জীবনের গল্প তার নিজমুখে শোনাটাও ছিল খুবই আকর্ষণীয়। সত্যজিৎ রায়সহ দেশী-বিদেশী গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ছবিতে যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরছিলেন আশীষ খান। আর বলছিলেন দাদুর স্মৃতি। আশীষ খান ইলিনয়েস আর্ট কাউন্সিলের ফেলোশিপের পাশাপাশি সঙ্গীত নাটক একাডেমি এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন এবং গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি ভারতের প্রথম শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অব গ্রেট ব্রিটেন এ্যান্ড আয়ারল্যান্ডের ফেলো নির্বাচিত হন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন-২০১৬ এর আয়োজক ‘ম’। ‘ম’-বিশ্বব্যাপী সঙ্গীত মৈত্রী (‘ম’-এম এ ডব্লিউ ডব্লিউÑ মিউজিক এ্যালায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড) একটি বেসরকারী, অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ক্লাসিক্যাল বিশ্ব সঙ্গীত প্রচার এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান দেশের এবং জাপান, ভারত, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যসহ দেশের বাইরের সঙ্গীতজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞরা। ঢাকায়ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ‘ম’য়ের। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মেহজাবিন রহমান বললেন, মঙ্গলবার (অর্থাৎ আজ) বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ধানম-ির আলিয়াঁস ফ্রাঁসেজে ‘বিজয়ের ধুন’ শীর্ষক উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত অনুষ্ঠানে প্রধানত তরুণ শিল্পীরা যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করবেন। এর ছ’জন শিল্পীই ভারতের। উত্তরায় বিজয়ের বইমেলা বিজয় উৎসবের সঙ্গে ঢাকায় যে বইমেলাও যুক্ত হয়েছে এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। গত সপ্তাহের লেখায় বিজয় উৎসব পালনের সমান্তরালে কিছু কর্তব্য পালনের কথাও বলেছিলাম। বিজয়ের বইমেলায় যাওয়া এবং একটি হলেও বই কেনাÑ এমন সংস্কৃতি যদি চালু হয়ে যায় তাহলে সেটি শুধু গ্রন্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্যই নয়, গোটা সমাজের জন্যই উপকারী হবে। রাজধানীর উত্তর প্রান্তে উত্তরা মডেল টাউনে আয়োজিত বিজয়ের বইমেলা সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর (৪ ও ৬ নং সেক্টর) দৃষ্টি কেড়েছে। তবে প্রয়োজনীয় প্রচার না থাকায় সমগ্র উত্তরায় বিশেষ সাড়া ফেলেনি। মহানগরীর দক্ষিণ অংশের মানুষ এই মেলায় যাবেন, এমনটা আশা করি না। তবে গুলশান-বনানী-বারিধারা ও টঙ্গীর পাঠকেরা এখান থেকে ছাড়কৃত মূল্যে বই কিনতে পারেন। কাঁটাবনের কনকর্ড টাওয়ারের বইপাড়া থেকে প্রকাশক শাম্মী শাহরিয়ার উৎসাহ নিয়ে গিয়েছিলেন মেলার উদ্বোধনী আয়োজনে। যাওয়া-আসায় সাড়ে চার ঘণ্টা ব্যয় হলেও তাকে যথেষ্ট সন্তুষ্ট দেখাচ্ছিল। বললেন, এ রকম মেলা বেশি বেশি হওয়া দরকার। বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের বইমেলা হয়ে ওই এলাকার বইপ্রিয় মানুষের পছন্দের বই সংগ্রহে সুবিধা হয়। প্রকাশকরাও সরাসরি আলাপচারিতার মাধ্যমে পাঠকের পাঠপিপাসা ও পাঠাভ্যাসের ধরন সম্বন্ধে অবগত হতে পারেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহযোগিতায় উত্তরার আজমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। বইমেলা উদ্বোধন করে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ঐতিহ্যগতভাবে বৃহৎ পরিসরে বাংলা একাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ঢাকার দূরের বিভিন্ন প্রান্তসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দূরত্ব বা সময়ের অভাবে এ মেলায় আসতে পারেন না। তিনি বলেন, আমরা বইকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চাই। এ জন্য উত্তরার এ স্থানে প্রথমবারের মতো বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এবার থেকে প্রতিবছর উত্তরায় বইমেলার আয়োজন করা হবে বলে তিনি অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন। বইমেলায় সরকারী বেসরকারী মোট ৮৫টি প্রকাশনা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সরকারী ৫টি প্রতিষ্ঠান এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির ৮০টি প্রকাশনা সংস্থা। বইমেলায় অংশ নেয়া সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, নজরুল ইনস্টিটিউট, শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বইমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সরকারী ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে। পথে পথে পিঠা শীতে ঢাকায় যেসব পথবিক্রেতা রকমারি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন তারা সব মৌসুমী পেশাজীবী। মহানগরীতে এসে রিক্সা চালানো কিংবা কায়িক শ্রম দান যাদের জীবিকা তাদের বড় অংশ শীতে রাস্তার ধারে, ফুটপাথে কিংবা পেভমেন্টে অস্থায়ী পিঠা তৈরির হেঁশেল ও বিক্রির দোকান সাজিয়ে বসেন। এতে যেমন হাজার হাজার শ্রমজীবীর কর্মসংস্থান হয়, তেমনি রসনাও তৃপ্ত হয়ে লাখ লাখ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও বিত্তহীন শ্রেণীর মানুষের। তবে এটাও সত্য যে এখন গাড়িওয়ালারাও চলতি পথে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারের মাধ্যমে এসব শীতের পিঠা সংগ্রহ করে নেন। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে সামান্য হলেও এসব পথের পিঠা-সংস্কৃতি অবদান রেখে চলেছে। সেই সঙ্গে বহু বয়স্কজন নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হওয়ারও অবকাশ পেয়ে যান। এককালে তাদের শৈশব কেটেছে এই নিষ্ঠুর নগরী থেকে বহু দূরে মফস্বলের শহরে, কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামে। সেই সময়ে জিভে লেগে থাকা পিঠার স্বাদ একটু স্মরণ করা আরকি। আর এখনকার ছেলেমেয়েদের আর তেমন সুযোগ কোথায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার, পিঠা খাওয়ার। শীতের জন্য যাদের হাহাকার ছিল, তারা সন্তুষ্ট। মোটে পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহ, ঢাকায় ভালই শীত পড়তে শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে তাপমাত্রা পনেরো থেকে দশে নামতে সময় লাগবে না। আমাদের এই গ্রীষ্মপ্রধান দেশটির রাজধানীতে শীত আরও উপভোগ্য হতে পারত যদি ধোঁয়া ধুলা আর কুয়াশা দাপট না দেখাত। এই তিনটির সঙ্গে রাতে অদৃশ্য শিশির-বৃষ্টি শীতকাতুরেদের জন্য অবশ্য কিছুটা বিপদই ডেকে আনে। আর যারা ফ্যাশনদুরস্ত, তারা কোট-ব্লেজার, কার্ডিগান আর বাহারি চাদর পরার দারুণ সুযোগ পান বটে। শীত আসার আগেই অবশ্য রাজধানীর পথে পথে বসে গেছে পিঠার পসরা। নাগরিক মানুষ প্রায় বাছবিচারহীনভাবেই এই পিঠে খাচ্ছেন। গলাধঃকরণ বললেও বেশি বলা হবে না। এ নিয়ে একজনের অভিজ্ঞতা তুলে দিচ্ছি। আরেকজন আবার তাতে মন্তব্য লিখেছেন। দুটোই পড়া যাক। বেণুবর্ণা অধিকারী ফেসবুকে লিখেছেন : ‘শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ায় পাড়ায় বা ফুটপাথগুলোতে জমে উঠেছে শীত পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো। নবাবগঞ্জের মৈনট ঘাটেও সাড়ম্বরে পিঠার আয়োজন দেখলাম, এসব দোকানে সারাক্ষণ ভিড় লেগেই থাকে। নবান্নের নতুন চালের গুঁড়া, গুড় ও নারিকেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। ভাপার পাশাপাশি চিতই পিঠা, পোয়া পিঠা মিষ্টি আর ঝাল দেখা যায়। এখন এই ব্যস্ত শহরে ঘরে পিঠা বানানোর সময় আমরা পাই না তাই এই সকল ভ্রাম্যমাণ দোকানেই আমরা পিঠা খাই মাঝে মাঝে। তবে বাইরের এই পিঠা খাওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে জেনেও আসলে আমরা খাই। কথা হয় একজন পিঠা বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শীতের পিঠার ব্যবসাটা বেশ লাভজনক। প্রতিদিন ১৫ কেজি চালের গুঁড়ার পিঠা তৈরি করি। আমি আর আমার পরিবার মিলেই এই ব্যবসা চালাই। এতে প্রতিদিন চার শ’-পাঁচ শ’ টাকা লাভ হয়। পিঠা বিক্রি করে সংসার ভালভাবেই চলছে।’ মন্তব্য করেছেন রেজাউল কবির বাদল। তিনি বলছেন, ‘আমাদের দুলাভাই অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর বঙ্গবন্ধু চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) ধানম-ি লেকের পাড়ে হাঁটতে গিয়ে এক সকালে কিনে আনলেন ভাপা পিঠা! আমি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে একটু দোটানায় ছিলাম! তিনি বললেন ‘খা ব্যাটা’! তার সঙ্গে হাঁটতে যাওয়া আরও চার প্রফেসর নিয়মিত এই পিঠা খাচ্ছেন! সাহস করে খেয়ে দেখলাম। ভেজাল! ভাপা পিঠার সাঁঝটাকে ভেতরের দিকে বেঁকিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে পিঠাটাকে বেশ বড় দেখাল ও নিচের দিকে বিরাট ফাঁপা! পাতলা করে দু’একটা নারিকেল কোরা দেয়া, খেঁজুর গুড়ের রং আছে কোন গন্ধ নেই। বুঝলাম দেশের পাঁচজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ভেজাল খেতে খেতে আসল পিঠার স্বাদ ভুলে গেছেন! ৩০ বছর আগে সোনারগাঁয়ে বেড়াতে গিয়ে এক সকালে সত্যিকার ভাঁপাপিঠা খেয়েছিলাম। আমি জানি ভাজাল কোনটা আসল কোনটা।’ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×