অনলাইন ডেস্ক ॥ নটিংহ্যামশায়ারের শেরউড জঙ্গল। রবিনহুডের জঙ্গল নামেই পরিচিত এই স্থান। সেখান থেকেই মিলল লক্ষাধিক টাকার গুপ্তধন। গুপ্তধন খোঁজার নেশাতে এই শেরউডের জঙ্গলেই খোঁজাখুজি করছিলেন স্থানীয় মার্ক থম্পসন। ভাবতেও পারেননি মধ্যযুগের এমন একটি ‘আশ্চর্য’ আবিষ্কার করে ফেলবেন। কী সেই গুপ্তধন? কী ভাবে পাওয়া গেল এমন বহুমূল্যবান সম্পত্তি?
চতুর্দশ শতকের শেষ থেকে পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত নটিংহ্যামশায়ারের শেরউড জঙ্গল
শাসন করতেন গরীবদের ‘ঈশ্বর’, রবিনহুড। কথিত আছে, ধনীদের সম্পত্তি
লুঠ করে এনে তিনি নাকি বিলিয়ে দিতেন গরীবদের মধ্যে। এই শেরউড জঙ্গলই নাকি ছিল তাঁর আস্তানা।
নটিংহ্যামশায়ারের মার্ক থম্পসন। গুপ্তধন খোঁজাই তাঁর নেশা। ৩৪ বছরের মার্ক পেশায় স্প্রে-পেইন্টার।
গুপ্তধন খোঁজার জন্য মার্ক বেছে নিয়েছিলেন রবিনহুডের শেরউড জঙ্গলকে।
মেটাল ডিটেক্টর আর ছোট একটি দল নিয়ে শুরু হয় মার্কের অভিযান। ১৮ মাস ধরে খোঁজাখুঁজির পর সম্প্রতি ভাগ্য খোলে মার্কের ।
মেটাল ডিটেক্টরের নির্ভুল শব্দ জানান দেয় কোনও ধাতব জিনিস লুকিয়ে রয়েছে মাটির নীচে।
মাটি খুঁড়তেই সোনালী রংয়ের একটি বস্তু দেখতে পান মার্ক।
মাটির তলা থেকে উদ্ধারের পর দেখা যায় সেটি খাঁটি সোনার একটি বহুমূল্যবান আংটি।
যার মাথার উপর সদম্ভে বিরাজমান নীল রংয়ের একটি পাথর।
আংটির গায়ে যিশুর মূর্তি আঁকা। অন্য দিকে খোদাই করা রয়েছে একজন নারী সন্তের ছবি। ঐতিহাসিকদের মতে,
এই আংটি চতুর্দশ শতকের। রবিনহুডের লুঠ করা সম্পত্তিও হতে পারে এই আংটি।
বর্তমানে যার বাজার মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।
আংটি পেয়ে কী বলছেন মার্ক? উত্তেজিত মার্কের মতে, এই আংটি তাঁর জীবন বদলে দেবে। এই মুহূর্তে
তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ইচ্ছা আছে এই আংটি নিলাম করে যে
টাকা পাবেন তা দিয়ে পছন্দমতো বাড়ি কিনবেন তিনি। আর খুঁজবেন আরও গুপ্তধন।
বর্তমানে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আংটিটি ব্রিটিশ মিউজিয়মে পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে
আবিষ্কারের সঙ্গে পরীক্ষায় পাশ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন আবিষ্কারকও।
মিউজিয়মের শংসাপত্র পেলে তবেই নিলামে যাবে ‘রবিনহুডের আংটি’।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: