স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর আদাবরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। খিলক্ষেতে এক মুচির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কাওরানবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
শনিবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর আদাবরে কাকলী খাতুন (২৭) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার পুলিশ নিহতের স্বামী আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ আদাবর শেখেরটেক ১২ নম্বর রোডের ৫৪নং বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। শনিবার দুপুরে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জানান, কাকলী গলায় দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্বামী শায়হানুল আরিফ থানায় এসে খবর দেয়। গভীর রাতে এ সংবাদ পেয়ে শেখেরটেকের ওই বাড়ি থেকে কাকলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মৃত কাকলীর স্বামী আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করা হয়েছে। আরিফ বেসরকারী একটি টেলিভিশনে কর্মরত।
মুচির মৃত্যু ॥ রাজধানীর খিলক্ষেতে যাদব চন্দ্র দাশ (৫০) নামে এক মুচির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন জানান, মৃত যাদব খিলক্ষেত পাতারির ঋষিপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিনি পেশায় মুচির কাজ করতেন। তিনি জানান, মৃতের ডান পায়ের উরুতে ও যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পরিবারের লোকজন জানায়, যাদব মাদকসেবী ছিলেন। তার মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকায় শনিবার সকালে যাদবের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বরাত দিয়ে এসআই কবির হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে যাদব অসুস্থ অবস্থায় বাসায় ফিরেন। সেখানে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত আশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ট্রেনে কাটা পড়ে পথচারীর মৃত্যু ॥ রাজধানীর কাওরানবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৪০) এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কাওরানবাজারের পকেট গেট রেললাইন পার হচ্ছিলেন ওই পথচারী। এ সময় তিনি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তার মাথা ও শরীরেও মারাত্মকভাবে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ট্রেনে কাটা ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বিকেল ৫টার দিকে মর্গে পাঠানো হয়েছে।