ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অধিনায়ক মিসবাহর আরেক অর্জন

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

অধিনায়ক মিসবাহর আরেক অর্জন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাভেদ মিয়াদাদ, ইনজামাম-উল হকের নাম উঠলে বিনয়ে মাথা নীচু করে রাখেন মিসবাহ-উল হক। অনেকবার জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে কখনই কিংবদন্তিদের কাতারে দেখেন না। অথচ নীরবে ওইসব গ্রেটদের ছাড়িয়ে যাচ্ছেন! আবুধাবীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০তে সিরিজ নিশ্চিত করেছে দল। মিসবাহর নেতৃত্বে পাকিস্তানের এটি ১০ম টেস্ট সিরিজ জয়। কেবল স্বদেশীই নয়, গেটা উপমহাদেশে সফল অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে শিখরে তুলে নিয়েছেন ৪২ বছর বয়সী তারকা। এর মধ্য দিয়ে মিয়াদাদ, সৌরভ গাঙ্গুলী ও মহেন্দ্র সিং ধোনিদের ছাড়িয়ে গেছেন। অধিনায়ক হিসেবে ৯টি করে টেস্ট সিরিজ জিতে এশিয়ার মধ্যে এতদিন যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন দুই ভারতীয় মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সৌরভ গাঙ্গুলী। পাকিস্তানীদের মধ্যে মিয়াদাদের জয় ৮ সিরিজ, লঙ্কান গ্রেট অর্জুনা রানাতুঙ্গারও তাই। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক সালমান বাট ও দুই সতীর্থ পেসার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। বিশ্ব ক্রিকেটে তোলপাড় করা সেই ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা পাকিস্তান। কঠিন সময়ে ৩৫ উর্ধ মিসবাহকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কি দারুণভাবেই না সেই দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে তুলে নিয়েছিলেন টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে (বর্তমানে দ্বিতীয়)। ২০১০Ñএর নবেম্বর থেকে ১০ সিরিজ জয়ের পথে মিসবাহ একে একে হারিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ভারত তো তাদের সঙ্গে খেলছে না। নইলে সবগুলো দেশের বিপক্ষেই হয়তো বিজয় কেতন ওড়ানো হয়ে যেত! মজার বিষয়, ৪২ বছর পেরনো বয়সেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিসাবহ। আবুধাবী টেস্টের প্রথম ইনিংসেও খেলেছেন ৯৬ ও অপরাজিত ২৯ রানের দারুণ দুটি ইনিংস। ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ বলতে যা বোঝায়। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয় বেশি টেস্ট জয়ের রেকর্ডও মিসবাহর দখলে। ৪৮ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় ২৪টিতে, হার ১৩ ও ড্র ১১। সাফল্য শতকরা ৫০ ভাগ। সমান ১৪টি করে জয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে মিয়াদাদ ও ইমরান খান। ১২ জয়ে তৃতীয় স্থানে আরেক গ্রেট ওয়াসিম আকরাম। সর্বোপরি বিশ্বে টেস্ট জয়ের তালিকায় মিসবাহ অবশ্য ১৯ নম্বরে। ১০৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৫৩ জয়ে শীর্ষে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। লাহোরে শ্রীলঙ্কান টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে দীর্ঘ সাত বছর ঘরের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে পারছে না পাকিস্তান। এরপরও দলটির সাফল্য ঈর্ষণীয়।
×