ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

এখন সময় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

এখন সময় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার

সাড়ে সাত কোটি মানুষের আরেকটি নামে পরিণত হয়েছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। একাত্তর সালে বাঙালী জাতি তারই নির্দেশে মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র লড়াইয়ে নেমেছিল। লাখ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ-মাতৃকার মুক্তির জন্য। স্বাধীনতার পঁয়তাল্লিশ বছরের মাথায় ষোলো কোটি মানুষের আরেকটি নামে পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন স্বদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। কিন্তু ঘাতকের দল তাকে তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট একাত্তরের পরাজিত শক্তি নৃশংসভাবে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নেয়। শেখ হাসিনা দেশকে সেই ধারা থেকে ফিরিয়ে এনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত। উপমহাদেশের বিরল নেতা হিসেবে তাকে অভিহিত করা হলেও ক্রমশ বিশ্বনেতায় পরিণত হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কৃষক শ্রমিক মেহনতী ও দরিদ্র মানুষের জীবনকে সুখী সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তারই কন্যা আজ দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সদ্য সমাপ্ত কুড়িতম কাউন্সিলে বাঙালী জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার স্বপ্ন পূরণের যে অঙ্গীকার করা হয়েছে তা সোনার বাংলায় উত্তীর্ণ হবার পথ ও দিগন্তকে সম্প্রারিত করে তুলবেই। অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করা জাতির জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে শেখ হাসিনার শাসনকালে। হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা যেমন হ্রাস পেয়েছে তেমনি না খেয়ে মানুষের মারা যাবার ঘটনা বিলুপ্ত আজ। এখন কার্তিক মাস, বছরের এই সময়টায় দেশের উত্তরাঞ্চলে ‘মঙ্গা’ বা খাদ্যাভাব দেখা দিত। কাজের সুযোগও ছিল না। কচুঘেচু খেয়ে দিনাতিপাত করা কঙ্কালসার মানুষরা ঢলে পড়ত মৃত্যুকোলে। তীব্র অভাব ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন ছিল বিভীষিকাময়। সামরিক জান্তা শাসকরা এসব মৃত্যুর সংবাদ ধামাচাপা দিত। সংবাদপত্রে প্রকাশ করায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। অভাবী মানুষেরা শহরমুখী যেমন হতো তেমনি অভাবের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হতো। পাচার হতো নারী ও কিশোরীরা। পতিতাবৃত্তিতে নামতে বাধ্য হতো। নদীর ভাঙ্গনে সব হারিয়ে নদী সিকস্তি মানুষেরাও হতো শহরমুখী। শেখ হাসিনার ‘ক্যারিশমায়’ সেসব আজ ধূসর অতীতে পরিণত হয়েছে। কার্তিকের মঙ্গা বলে আর কোন দৃশ্য দেখতে হয় না দেশবাসীকে। অনাহারে, অপুষ্টিতে মানুষ আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে না। কর্মহীন মানুষেরা আজ কর্মেই পাচ্ছে মুক্তি। কৃষিজীবী মানুষেরা ফসল ফলিয়ে আর মাথায় হাত দিয়ে ভাগ্যনির্ভর হচ্ছে না। উত্তরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষের জীবনে আশার আলো ক্রমশ প্রজ্বলিত হচ্ছে অধিকার নিয়ে বাঁচার তীব্রতায়। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সেই দরিদ্র মানুষের কথা উঠে এসেছে। যাদের জন্য শেখ মুজিব ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছে। সেই একই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা দুস্থজনেরে সবল সংগ্রামী আর অগ্রগামী করে তুলছেন দেশবাসীর ভালবাসা আর সহযোগিতাকে সম্বল করে। শেখ হাসিনা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদেরও সম্পৃক্ত করছেন দারিদ্র্য দূরীকরণে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সদস্যসহ দলের নেতাকর্মীদের হতদরিদ্রের তালিকা প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কর্মীরা এখন এসব দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ালে তাদের জীবন থেকে ঘুচে যাবে অভাববোধ। নিজ নিজ এলাকায় কতজন দরিদ্র, গৃহহারা মানুষ আছে, যাদের ধন নেই, নিঃস্ব-রিক্ত, প্রতিবন্ধী ও বয়োবৃদ্ধ আছেন, তাদের তালিকা দলীয় নেতাকর্মীদের তৈরি করার দায়িত্ব দিয়ে দলকে একেবারে নিম্নবর্গের মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করছেন যেমনি, তেমনি ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজটি ত্বরান্বিতও করছেন। শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এসব মানুষজনের আশ্রয়ের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেবেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে বাংলার নিরন্ন, ভুখা মানুষদের। যারা দু’বেলা দু’মুঠো খাবার পাচ্ছে এখন। অত্যন্ত কমদামে চাল মিলছে। শেখ হাসিনার রাজনীতি এই দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্য মুক্ত করার। তাই সগর্বে বলেছেনও কাউন্সিলে, বাংলাদেশে আর দারিদ্র্য থাকবে না। দরিদ্র বলে আর কোন শব্দ বাংলাদেশে থাকবে না। তবে তিনি দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠানোর মতো বিদ্রƒপকে গুরুত্ব না দিয়ে, ঋণমুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য দরিদ্র শ্রেণীর প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রেখেছেন। বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, সেগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য অবশ্যই সবচেয়ে গুরুতর একটি। এখনও এই ক্ষেত্রে প্রচুর কাজ করার আছে। যা শেখ হাসিনা করছেন। যে কারণে চরম দারিদ্র্যের হার তেরো শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছেন ২০০০ সালে তার সরকারের ৩৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে। তথাপি প্রায় দুই কোটি মানুষ এখনও দরিদ্রতম হিসেবে বিবেচিত পরিস্থিতিতে বসবাস করছে। হতদরিদ্র জনসাধারণ সাধারণত ভূমির মালিক হয় না। তারা কম মজুরির শ্রমজীবী কাজের ফাঁদে আটকা পড়তে বাধ্য হয় তাই। অস্তিত্ব রক্ষার প্রান্তে তাদের বসবাস করতে হয়। সরকার ২০২০ সাল নাগাদ আরও ষাট লাখ জনগণকে চরম দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। একইভাবে জাতিসংঘের ২০৩০ সালের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রগুলোর একটি হচ্ছে, টেকসই উন্নয়ন। যার লক্ষ্যমাত্রা হলো চরম দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা। উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক পরিশ্রম করতেই হবে। বেছে নিতে হবে কীভাবে সবচেয়ে কার্যকরী উপায়ে চরম দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা যায়। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার ক্ষেত্রে দরিদ্র হটানোর কাজটিও জড়িত। দারিদ্র্য বিমোচন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার। সেই অঙ্গীকার পূরণে যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তার সুফল দরিদ্র জনগণ পেতে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা তাই দৃঢ়কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন, আজ দারিদ্র্য মুক্তির পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। নিঃস্ব রিক্ত গৃহহারা মানুষেরা যেন ভালভাবে জীবনযাপন করতে পারে, সেজন্য কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। আর এই কর্মসূচীকে আরও বেশি গণমুখী এবং দরিদ্রবান্ধব করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করছেন। বলেছেনও তাই, দলের লোকজন যদি সঠিকভাবে হতদরিদ্রের তালিকা প্রণয়ন করতে পারে, তবে দেশে আর কোন দরিদ্র থাকবে না বলে তিনি যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, তা কার্যকর করা গেলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বে মাথাউঁচু করে দাঁড়ানো এক মধ্যম আয়ের দেশ। ষোলো কোটি মানুষের মুখে গ্রাস তুলে দিতে গৃহীত পরিকল্পনা সূচারুরূপে কার্যকর করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দারিদ্র্য দূরীকরণে দেশে মাইক্রো ক্রেডিট কতটা সফল হয়েছে, সে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ ঋণ গ্রহীতারা ঋণভারে এমনই ঝুলে থাকে যে, চক্রবৃদ্ধি হারে সেই ঋণ বাড়তে থাকে। কিন্তু কখনও তারা আত্মনির্ভরশীল হতে পারেনি, দারিদ্র্য দূর হওয়া দূরে থাক। বরং এই ঋণের বোঝায় আরও মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে নামতে বাধ্য হচ্ছে। শেখ হাসিনা এই মাইক্রো ক্রেডিট প্রথা বাতিল করে দিয়েছেন। মানুষ যাতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য মাইক্রো সেভিং প্রথা চালু করেছেন। যাতে দরিদ্ররা শুধু অর্থ নয়, দরিদ্র অবস্থা থেকে নিজের উত্তরণ ঘটাতে পারে। এই পদ্ধতির সাফল্য এখন সর্বজনবিদিত। দেশে-বিদেশেও তা প্রশংসিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা জানেন, চরম দারিদ্র্যে বাস করা কারও জন্য একটি এককালীন অর্থসাহায্য অল্পসময়ের জন্য সহায়ক হতে পারে। কিন্তু এর প্রভাব ক্ষণস্থায়ী। তাই তিনি দীর্ঘমেয়াদী ফললাভের জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে দারিদ্র্য বিমোচন যথাযথভাবেই হচ্ছে। মানুষকে একটি জীবিকাভিত্তিক উৎসাহ প্রদান করা হলে, তারা নিজেরাই উন্নতি লাভ করতে পারে। এই জীবিকা কর্মসূচী কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও চাষাবাদের উপকরণগুলো যেমন কৃষককে উন্নত বীজ দিতে পারে। কৃষকদের আর্থিক সুবিধা প্রদান ও সঞ্চয় বাড়াতে তাদের ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। কৃষকরা দশ টাকার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পেয়েছে। তার এই এ্যাকাউন্টে সরকার প্রদত্ত ভর্তুকি সাহায্য জমা হয়। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প দারিদ্র্য বিমোচনে যথেষ্ট সহায়ক হয়ে উঠে ছিল। যা এখন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়েছে। গরু বা ছাগল পালন কর্মসূচী গরিবি হটাতে সহায়ক হয়ে উঠেছে। সরকার এক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। চরম দারিদ্র্য থেকে বাংলার মানুষকে মুক্ত করার মধ্যেই রয়েছে সোনার বাংলার স্বর্ণজয়ী দিক। হতদরিদ্রদের জন্য দশ টাকা কেজি চাল বিতরণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী সারাদেশেই সাড়া জাগিয়েছে। যদিও অনিয়ম এবং জালিয়াতির ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু সেসবই ক্ষণস্থায়ী। বছর কয়েক আগেও কেউ চিন্তা করতে পারেননি যে, ১০ টাকা কেজিতে চাল মিলবে। কিন্তু এটাই আজকের বাস্তবতা। ক্ষুধা ও অভাবমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে ওঠছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। যে দেশে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ কোন বৈষম্য থাকবে না। শতভাগ মানুষ বিদ্যুত পাবে, যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে উন্নত। প্রতিটি ক্ষেত্রে যাতে উন্নয়ন হয়, সে জন্য ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। হতদরিদ্র মানুষের জীবন থেকে দরিদ্র শব্দটি মুছে ফেলার মধ্যেই রয়েছে সোনার বাংলা হয়ে ওঠার বীজমন্ত্র। এমনিতেই অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি সামাজিক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ নামক দলটিতে সমাজের নানা স্তরের মানুষের সমাহার রয়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত স্তরের মানুষের সমাগম দলটিতে। তদুপরি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী ও হতদরিদ্র মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণই আওয়ামী লীগের প্রধান ব্রত। এবারের কাউন্সিলে শেখ হাসিনা ‘গরিবি হটাতে’ দলের নেতাকর্মীদেরও মাঠে নামতে বলেছেন। অতীতকালের গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু আর পুকুরভরা মাছ- এর যে বাংলার কথা শুনে আসছে এদেশের মানুষ, সেই দিন আবার ফিরে আসছে। তবে সেকালে এসবই ছিল উচ্চশ্রেণীর দখলে। দরিদ্র মানুষ তখনও ছিল ভুখা-নাঙ্গা। এই ভুখা-নাঙ্গা শব্দটিও মুছে ফেলতে চান শেখ হাসিনা। প্রতিটি ঘরে অন্ন পৌঁছে যাকÑ সেটাই তার কাম্য। শেখ হাসিনা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা দলের নেতাকর্মীদের বোধগম্য হওয়াই বাঞ্ছনীয়। একাত্তর সালে বাঙালী স্বপ্ন সাহসের সেই গান গাইতো সলিল চৌধুরীর হাত ধরে। সেই গান আবার গাইতে হবে আজ। “আহ্বান, শোন আহ্বান/আসে মাঠ ঘাট বন পেরিয়ে/দুস্তর বাধা প্রস্তর ঠেলে বন্যার মতো বেরিয়ে/যুগ সঞ্চিত সুপ্তি দিয়েছে সাড়া,/ হিমগিরি শুনলো কি সূর্যের ইশারা/যাত্রা শুরু; উচ্ছল রোলে, দুর্বার বেগে তটিনি/উত্তাল তালে উদ্দাম নাচে মুক্ত শত নটিনি/এ শুধু সুপ্ত যে নবপ্রান্তে জেগেছে রণসাজে সেজেছে/অধিকার অর্জনে, আহ্বান, শোন আহ্বান।” সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলের সেøাগান ছিল ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার/এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।’ আসলেই তাই। বাংলাদেশ ছিন্নপালে জয় পতাকা তুলে সূর্য তোরণে হানা দেবে, আলোকিত মোহনায় পৌঁছে যাবে ষোলো কোটি সচ্ছল সংগ্রামী ও অগ্রগামী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। শেখ হাসিনা সেই দিকনির্দেশনাই দিলেন। এখন তা বাস্তবায়নই হবে সর্বোত্তম পথ ও পন্থা। বঞ্চনার দ্বীপ পার হয়ে আলোকিত সূর্যের বন্যায় দীপ্ত হোক বাংলাদেশ।
×