ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ রক্তশোষণ নয় গণমুখীনতা চাই

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

একুশ শতক ॥ রক্তশোষণ নয় গণমুখীনতা চাই

বাংলাদেশের তো বটেই দুনিয়ার সকল অঞ্চলের ডিজিটাল রূপান্তরের বড় হাতিয়ারের নাম মোবাইল প্রযুক্তি। সেই আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন আবিষ্কারের পর সারা দুনিয়া টেলিফোন ব্যবহারের হিসাব করে অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে পরিমাপ করেছে। যদিও আমরা ’৯০-এর আগেই মোবাইল যুগে পা ফেলি তবুও মোবাইলের বিপ্লবটা শুরু হয় ’৯৭ সালে যখন আজকের প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের মনোপলি ভেঙ্গে চারটি বিদেশী অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদান করেন। এরপর দেশে একটি মোবাইল বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আমার তো বটেই দেশের কারও কোন সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশের এই মোবাইল বিপ্লবে বিদেশী টেলিকম অপারেটরদের বিরাট অবদান আছে। অবকাঠামো নির্মাণ থেকে সেবাদান পর্যন্ত তারা চমৎকার ব্যবসাও করতে পেরেছেন। ’৯৭ সালে মোবাইলের মনোপলি ভাঙ্গার পর থেকে বিদেশী অপারেটররা বেশ ভালভাবেই এই দেশের মানুষকে মোবাইল সেবার আওতায় আনতে পেরেছেন। এখন বাংলাদেশের মোবাইল ব্যবহার উপযোগী জনসংখ্যার প্রায় সবার হাতেই মোবাইল সংযুক্তি রয়েছে। অনেকের আছে একাধিক সংযোগ। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ ভূখ- মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ওদের দাবি অনুসারে থ্রিজি সেবাও সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। মোবাইলে নানা ধরনের সেবার ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে এবং টাকা পয়সার লেনদেন থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক একটি বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রত্যন্ত গ্রাম জনপদ বা বস্তির অতি দরিদ্র মানুষটি থেকে নাগরিক প্রাত্যহিকতায় মোবাইল একটি অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। মোবাইলের এই বিপ্লব প্রসঙ্গে বিদেশী টেলিকম অপারেটররা প্রধান দুটি বিষয়ে অহংকার করে থাকে। প্রথমত, তারা দাবি করে সরকারকে বিপুল রাজস্ব প্রদান করে আসছে এবং দ্বিতীয়ত, তারা বিপুল পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ করেছে। দুটিই সত্য কথা। তবে তারা একবারও বলে না যে, তাদের বিনিয়োগের চাইতে বড় বিনিয়োগটা বাংলাদেশের জনগণের। তারা তাদের জাতীয় সম্পদ, বেতার তরঙ্গ তাদেরকে ব্যবহার করতে দিয়েছে বলেই বাতাস বেচে তারা আমাদের পকেট খালি করতে পারে। অন্যদিকে এখন প্রশ্ন উঠেছে যে, তাদের অহংকারের দুটি কারণেই কি ওদের হাতে পুরো দেশ জিম্মি হতে পারে? এমনটা কি হতে পারে আমাদের খানাপিনা, থালাবাসন তো বটেই চেটেপুটে হাতের কব্জিও খেয়ে ফেলবে তারা! এমনটা কি হতে পারে যে, তারা গাছেরটা খাবে তলারটাও কুড়াবে? তাদের কি হিসাব নেই যে, বিনিয়োগকৃত টাকা আনা পাইতে শতকরা কত ভাগ ফেরত গেছে? আমরা সেই হিসাব করতে চাই না, তবে তারা এখন যা যা করছেন তার ছোট একটি খতিয়ান নেয়া দরকার। খুব ছোট করে হলেও বিদেশী মোবাইল অপারেটরদের সব কিছু গিলে খাবার কু-ইচ্ছা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই। মোবাইল অপারেটররা এখনও ভয়েস কল থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায়। তবুও এটি বোধহয় ভাবার সময় হয়েছে যে, দুনিয়া থেকে এক সময়ে মোবাইল ফোনের ভয়েস কল বিদায় নেবে। এখনই ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ যারা ব্যবহার করেন তারা বস্তুত ভয়েস কলের ধার ধারেন না। কথা বলা, ভিডিও চ্যাট করা বা অন্যান্য ডিজিটাল সেবার জন্য মানুষ মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলেও প্রচলিত ভয়েস নেটওয়ার্ক হয়ত স্পর্শও করবে না। গত ৫ সেপ্টেম্বর ’১৬ আমাদের সরকারও আলাপন নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে, যা দিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়াই ইন্টারনেটে ১৪ লাখ সরকারী কর্মকর্তা কথা বলতে পারবেন। এর উদ্ভাবক বেসিস সদস্য রিভ সিস্টেমসের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে, সহসাই এটি সাধারণ মানুষের জন্যও উন্মুক্ত হচ্ছে। ফলে আমি মনে করি তাদের নজর এখন ভয়েসের চাইতে অনেক বেশি ইন্টারনেটে থাকা উচিত। আগামীতে ভাইবার বা আলাপনের মতো অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করেই তৈরি হবে। এরই মাঝে আমরা লক্ষ্য করেছি যে প্রচলিত সেবার বাইরেও বিনোদন, শিক্ষা বা সরকারের রূপান্তরের সবটাই ইন্টারনেটকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে ইন্টারনেট তাদের ইচ্ছার বলি হয়েছে। তারা তাদের ইচ্ছামতো ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ করছে। ইচ্ছামতো প্যাকেজ বানাচ্ছে। ওরা কিনছে ব্যান্ডউইডথ- আর বিক্রি করছে ডাটা। অনেকেই হিসাব করে দেখেছেন যে তারা ডাটা প্যাকেজ বানিয়ে দেশের কোটি কোটি ইন্টারনেট গ্রাহককে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সরকার দফায় দফায় ব্যান্ডউইডথ-এর দাম কমালেও এই অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম কমায়নি। আজকের একটি প্যাকেজের হিসাব করুন। আমি ৩৩৭ টাকায় ৫১২ কেবিপিএস গতির ১.৫ গিগাবাইট ডাটা কিনি যার মেয়াদ এক মাস। এই হিসাবে ২ সেকেন্ড আমাকে ১ এমবিপিএস ডাটা দেবার কথা। ২০৪৮ মিনিটে আমার এক জিবি ও ৩০৭২ মিনিটে ১.৫ জিবি বা পুরনো প্যাকেজ ডাটা পাবার কথা। মিনিটে ৬০ সেকেন্ড হিসাব করে আমার প্যাকেজের জন্য কতটা সময় লাগার কথা হিসাব করুন। বাস্তবতা হচ্ছে আমি পুরো একমাস চালানোর পরও আমার ডাটা শেষ হয় না। এর প্রধান কারণ হলো যে, তারা ৫১২ কেবিপিএস গতির বদলে কোন কোন সময়ে ১ কিলোবাইট গতিও দেয় না। এজন্য দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝে অতিসামান্য সংখ্যক ব্যবহারকারী ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করতে পারে। এক সময়ে ৫১২ কেবিপিএস হিসাব ব্রডব্যান্ড বলে গণ্য হতো। এখন সেটি ১.৫ এমবিপিএস গতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। থ্রিজি চালুর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তারহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেয়া। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১.৫ এমবিপিএস গতির কোন স্বাদই ব্যবহারকারীরা পায় না। এক্ষেত্রে সরকারী অপারেটর টেলিটকও বিদেশীদের দলেই রয়েছে। অপারেটরদের স্বেচ্ছাচারী এইসব প্যাকেজের ক্ষেত্রে বিটিআরসির নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা। বস্তুত বিটিআরসির নির্ধারণ করার দায়িত্ব ইন্টারনেটের দাম কি হবে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বিটিআরসি এই মূল্য নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই সংস্থাটি দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কোন পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বরং অপারেটরদের ইচ্ছায় পুরো দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জিম্মি হয়ে রয়েছে। এদের অত্যাচারে কেউ পেশাদারী কাজ করার জন্য তারহীন ইন্টারনেটের ওপর ভরসা করতে পারছে না। সম্ভবত এদের থ্রিজি ব্যবসাকে সুরক্ষা করার জন্য ফোরজির নিলাম হচ্ছে না। এই মোবাইল অপারেটরগণ কেবল ইন্টারনেটের গ্রাহকদেরকেই ঠকাচ্ছে না, তারা দেশের বিকাশমান ভ্যালু এডেড সেবার পুরোটা গিলে খেতে চাইছে। শুরুতে ওরা ভ্যালু এডেড সেবার নামে পাইরেসিতেই লিপ্ত ছিল। তখন তারা গানের শিল্পী থেকে শুরু করে সৃজনশীল সঙ্গীত খাতের কপিরাইট লঙ্ঘন করে রিং টোনের ব্যবসা করেছে। কাউকে কোন রয়্যালটি দেবার কথা ভাবেইনি। বস্তুত বাংলাদেশে ডিজিটাল পাইরেসির জন্ম হয়েছে তাদের হাতে। দিনে দিনে দেশে যখন ডিজিটাল সেবাদানকারীদের জন্ম হতে থাকে তখন তারা তাদের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির উদ্যোগ নেয়। সেই সময়েই একটি ভ্যাস নীতিমালা তৈরির জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হয়। আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম জিয়া আহমদ শেলীর কথা স্মরণ করতে পারি, যিনি অতি দ্রুত নীতিমালাটি প্রণয়নের জন্য কাজ করছিলেন। কিন্তু তার অকাল মৃত্যুর পর বিটিআরসির সকল তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। বিদেশী অপারেটররা তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কাজটি চালানোর জন্য বিটিআরসির এই নীরবতা সহায়ক হয়। বিষয়টিকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় উত্থাপন করার পর সেই কমিটি নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত আধাআধি হারে রাজস্ব ভাগাভাগি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কদিন আগে ভ্যাস-এর শেয়ার মোবাইল অপারেটররা ৫০:৫০ কে ৭০ (ওদের): ৩০ করতে চেয়েছিল। তবে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপের ফলে সেটি সরাসরি করতে না পারলেও এই অপারেটরদের কেউ কেউ এমনকি এখনও সরকারের আদেশ অমান্য করে কনটেন্ট প্রদানকারীদের শতকরা ২০ ভাগ দিয়ে নিজেরা ৮০ ভাগ নিয়ে নিচ্ছে। ভ্যালু এডেড সেবাদানকারীদের নানা অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। ধারণা চুরি করা থেকে নিজেরা এই ব্যবসায় যুক্ত হওয়া পর্যন্ত সকল কিছুতেই তারা স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে থাকে। তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেবার বাইরেও রয়েছে নানা বিড়ম্বনা। তারা কানেকটিভিটির জন্য কাউকে মাসের পর মাস বসিয়ে রেখে তার ব্যবসার ধস নামিয়ে দেয়। কারও কারও ধারণাকে নিজেরাই প্রয়োগ করে ফেলে। বেসিসের ভ্যাস বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে যে চিত্র তুলে ধরেছে তা এসব অপারেটরের হীন ব্যবসায়ী, মানসিকতার প্রকাশ ঘটায়। সর্বশেষ যে বিষয়টি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতকে আতঙ্কিত করেছে সেটি হচ্ছে, এই বিদেশী টেলিকম অপারেটররা নিজেরা ই-কমার্স ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে। নিজেরা ই-কমার্স সাইট খুলে তার মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রি করার ফলে ওরা লাইসেন্সিংয়ের শর্ত ভাঙছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স হচ্ছে মোবাইল কানেকটিভিটি প্রদান করার। ই-কমার্স ব্যবসা করা তাদের লাইসেন্সের আওতায় পড়া উচিত নয়। হতে পারে যে, তারা আলাদা কোম্পানি খুলে এই ব্যবসায় যুক্ত হতে পারে। আমরা বরাবরের মতো এই বিকাশমান খাতটিকেও দেশীয় শিল্প হিসেবে সুরক্ষিত করতে চাই। এজন্য আমরা বিদেশী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে এই দেশের বাজারে শর্তহীনভাবে প্রবেশ করতে দিতে চাই না। ই-কমার্স আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এর ফলে আমরা যে কেবল ব্যবসা বাণিজ্যকে ডিজিটাল করছি তা নয়, আমরা এই খাতে নতুন প্রজন্মের ক্ষুদ্র, মাঝারি, তরুণ ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা পাচ্ছি। মোবাইল অপারেটররা নিজেরা ই-কমার্স ব্যবসা করলে এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নেটওয়ার্ক নিরপেক্ষতা নিয়ে। অপারেটররাই যেহেতু নেটওয়ার্ক প্রদান করে, সেহেতু তারা যদি নিজেদের ই-কমার্স সাইটকে নেটওয়ার্কে প্রবেশগম্যতা সহজ করে দেয় ও প্রতিদ্বন্দ¦ীকে এক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করে, তবে একটি অসম প্রতিযোগিতার চরম পরাকাষ্ঠা আমরা দেখতে পাব। আমি ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে, তেমন অবস্থার মোকাবেলা কাউকে কাউকে করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমরা ই-কমার্স ব্যবসার নানাবিধ চ্যালেঞ্জ দূর করতে ব্যস্ত। এজন্য সরকার একটি ই-কমার্স নীতিমালা গড়ে তুলছে। এই খাতের অংশীজনেরা এতে তাদের মতামত দিচ্ছেন। খসড়াটি এখন আলোচনার টেবিলে। আমি মনে করি যে, বিদেশী মোবাইল অপারেটররা যেন তাদের সীমানা ছাড়িয়ে না যান। তাদের নেটওয়ার্ক সেবাদানের কাজটিতেই তারা মনোযোগী থাকুন। তারা দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে ইন্টারনেট সেবার মান বাড়াক। বাকি সব ব্যবসা যাদের করা উচিত, তারাই করুক। ফলে ভ্যালু এডেড ব্যবসায় যারা যেসব জটিলতা তৈরি করেছে সেগুলো দূর করুক এবং অনুগ্রহ করে ই-কমার্স ব্যবসা থেকে তারা সরে দাঁড়াক। সার্বিকভাবে আমরা এটি বলতে চাই যে, বিদেশী টেলিকম অপারেটরদের কাজ হচ্ছে নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান করা। তারা যদি সকল ব্যবসাতে যুক্ত হতে চায় এবং নিজেরাই সব নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশাল অংশ বিকশিত হতে পারবে না। অন্যদিকে তারা যদি তারহীন ইন্টারনেটের ক্ষেত্রটিকে স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হতে না দেয়, যদি ইন্টারনেট সেবা যথাযথ না হয় এবং সেটি যদি জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মাঝে না আসে, তবে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি সেটি সফল হবে না। ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ [email protected] w.bijoyekushe.net, ww w.bijoydigital.com
×