ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুনর্অর্থায়নের ঋণের সুদ হার কমছে

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৪ জুন ২০১৬

পুনর্অর্থায়নের ঋণের সুদ হার কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুনর্অর্থায়ন স্কিমের আওতায় স্বল্প সুদে ঋণ পেতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। বারবার সময় বাড়িয়েও ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করা সম্ভব হয়নি। স্বল্প সুদের কথা বলা হলেও পুনর্অর্থায়ন স্কিমের জন্য যে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে তা গত কয়েক বছরের বাজার পরিস্থিতির তুলনায় অনেক বেশি বলে মনে করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। তাই পুনর্অর্থায়ন স্কিমের অবশিষ্ট অর্থ ছাড়ের জন্য সুদহার এক শতাংশ কমানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, পুনর্অর্থায়ন স্কিমের আওতায় প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে সুদ হার ৯ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সুদহার গত কয়েক বছরের বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়। তাই পুনর্অর্থায়ন থেকে ঋণ পেতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আবেদন তেমন জমা পড়েনি। এর জন্য সুদহার আরও এক শতাংশ কমানোর জন্য কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের মহাধসে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে যাদের মার্জিন ঋণ নেয়া ছিল তাদের অবস্থা আরও পরিস্থিতির দিকে গিয়েছে। এমন অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দেয়ার জন্য সরকার ৯০০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থাৎ পুনর্অর্থায়নের ঘোষণা করে। তিন কিস্তিতে এ ৯শ’ কোটি টাকা ছাড় দেয়া হয়। কিন্তু সুদের হার বেশি হওয়ার পাশাপাশি এ অর্থ সংগ্রহে বিভিন্ন জটিলতার কারণে পুনর্অর্থায়ন স্কিমের ২২৮ কোটি টাকা এখনও ছাড় করা যায়নি। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অর্থ মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠিও দিয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে পুনর্অর্থায়নের সুদহার আরও কমানো না হলে বাকি অর্থ ছাড় করা যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠিতে সুদহার কমানোর পাশাপাশি পুনর্অর্থায়ন স্কিমের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে বিএসইসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, সময় বাড়ানো এবং সুদহার কমাতে হলে পুনর্অর্থায়ন স্কিমের গাইডলাইন পরিবর্তন করতে হবে। এর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
×