ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

হংকংকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২২ এপ্রিল ২০১৬

হংকংকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০ ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। হংকং চাইলে বাংলাদেশ সরকার একটি ইকোনমিক জোন বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দ প্রদান করবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। হংকংয়ের চাহিদা মোতাবেক সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। হংকং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। মন্ত্রী বলেন, হংকংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ হংকংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এ জন্য উভয় দেশের আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। হংকং সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবার হংকংয়ে বাণিজ্য ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী সো কাম লেয়ং গ্রেগরির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, হিমায়িত মাছ, শুকনা মাছ, শুকনা খাদ্য, পাটজাত পণ্য, তাঁবু, ক্যাপসহ বিভিন্নœ পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে হংকংয়ে। হংকংয়ের বাজারে এ সকল পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি করা হলে উভয় দেশ লাভবান হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৪৭.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য হংকংয়ে রফতানি করেছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৮৭৬.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন রয়েছে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা, অপরদিকে রয়েছে বাণিজ্য বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা। জাপানে মিতসুবিশির কার্যালয়ে অভিযান জাপানের ওকাজাকি শহরে মিতসুবিশি মোটর্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্লান্ট ও সংলগ্ন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন জাপানী কর্মকর্তারা। গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটি ফুয়েল ইকোনমি ডেটায় জালিয়াতি করেছে এমন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির ওই কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয়। মিতসুবিশির ওকাজাকির কারখানায় গাড়ি তৈরির পাশাপাশি গাড়ি নিয়ে গবেষণাও করা হয়। মিতসুবিশি স্বীকার করেছে, তাদের কর্মীরা ছয় লাখের বেশি গাড়ির মাইলেজ বাড়িয়ে দেখিয়েছে। এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাপানের একজন সরকারী কর্মকর্তা। মিতসুবিশিকে এ বিষয়ে পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য মিতসুবিশিকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×