ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিলাসবহুল দশ কারাগার

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৮ মার্চ ২০১৬

বিলাসবহুল দশ কারাগার

বেস্টো কারাগার নরওয়ের এই কারাগারটি অসলোফোর্ডের বেস্টো দ্বীপে অবস্থিত। এখানে একসঙ্গে ১০০ জন বন্দীকে রাখার ব্যবস্থা আছে। প্রত্যেক বন্দীর জন্য রয়েছে আলাদা ছোট ছোট ঘরের ব্যবস্থা। ঘরগুলোতে রয়েছে আধুনিক জীবনের সবরকম ব্যবস্থা। প্রত্যেকে বন্দীকে শাস্তিস্বরূপ কারাগারের ফার্মে কাজ করতে হয়। আর তাদের অবসর সময় কাটানোর জন্য রয়েছে নানারকম ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে টেনিস খেলা, মাছ ধরা, ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বোড়ানোসহ নানান বন্দোবস্ত। এইচএমপি আদ্দিওয়েল কারাগার স্কটল্যান্ডের এই কারাগারটির পুরো নাম হার মেজেস্ট্রি প্রিজন। কারাগারটি দক্ষিণ স্কটল্যান্ডের সোডেস্কো জাস্টিক সার্ভিসের অধীনে একটি বেসরকারী কারাগার। আদ্দিওয়েল বন্দীদের জন্য একটি শিক্ষামূলক কারাগার। এখানে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা বন্দীদের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কারাগার থেকে বের হয়ে যাতে তারা চাকরি ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে এবং নতুন করে জীবন শুরু করতে পারে এটাই এই কারাগারের মূল লক্ষ্য। ওটাহো কারেকসন ফ্যাসিলিটি নিউজিল্যান্ডের এই কারাগারটিতে বন্দীদের দেখতে আসা প্রত্যেককে প্রথমে এক্সরে মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এরপর তাদের বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়। পুরো কারাগারটি মাইক্রোয়েভ তরঙ্গ দিয়ে সেন্সর করা। এখানে প্রত্যেক বন্দীর রয়েছে আলাদা আলাদা কক্ষ। বন্দীদের রান্না, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডেইরি ফার্মের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জাস্টিস সেন্টার লিউবেন জাস্টিস সেন্টার লিউবেন অস্ট্রিয়ার কারাগারে বন্দীদের জন্য রয়েছে স্বতন্ত্র কক্ষ। সেই কক্ষগুলোতে রয়েছে বাথরুম, রান্নাঘর ও সেইসঙ্গে বিনোদনের জন্য টেলিভিশন। এছাড়া অবসর সময় কাটানোর জন্য রয়েছে বাস্কেট বল কোর্ট এবং বিনোদনের অন্যান্য সবরকম ব্যবস্থা। আরানজুঝ কারাগার আমেরিকাতে এমন অনেক কারাগার আছে যেখানে বন্দীরা বছরের পর বছর পার করে দেয় নিজ পরিবারকে না দেখে। আবার এমন অনেক সন্তান আছে যারা শেষ কবে তার বাবাকে দেখেছে তাও বলতে পারবে না। কিন্তু স্পেনের এই কারাগারে বন্দী যখন খুশি তখন তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবে। শুধু দেখাই নয় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্দীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবে কারাগারে। চ্যাম্প ডোলন কারাগার সুইজারল্যান্ডের এই কারাগারে সব অসুস্থ অপরাধীদের রাখা হয়। যতদিন তারা রোগমুক্ত না হয় ততদিন তাদের এই কারাগারে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। ২০০৮ সালের দিকে অনেক সমালোচনার মুখে এই কারাগারটি কার্যক্রম শুরু করে। তবে পরবর্তীতে এই কারাগারটি একটি ভাল উদ্যোগ বলে সবার গ্রহণযোগ্যতা পায়। পন্দোক ব্যম্বু কারাগার ইন্দোনেশিয়ার এই কারাগারে কুখ্যাত অপরাধীদের বন্দী রাখা হয়। বিশেষ করে দেশটির কোন নেতা বা উচ্চপর্যায়ের কোন সরকারী কর্মকর্তা যদি অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হয় তাহলে তাদের এই কারাগারে রাখা হয়। এখানে তাদের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল জীবনযাপনের ব্যবস্থা। বন্দীদের প্রত্যেকটি কক্ষ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। সোলেনতুনা কারাগার সুইডেনের এই কারাগারে বন্দীদের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের পাশাপাশি রয়েছে রান্নাঘর। যেখানে বন্দীরা নিজেদের খাবার নিজেরাই তৈরি করতে পারে। আর রান্না করার যাবতীয় উপকরণ কারা কর্তৃপক্ষই সরবরাহ করে। এখানেই শেষ নয়, বন্দীদের প্রতিদিনের শরীরচর্চার জন্য রয়েছে ব্যায়ামাগার এবং টেলিভিশন ও বিনোদনের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। হালডেন কারাগার নরওয়ের এই কারাগারটিতে শুধুমাত্র খুনের আসামিদের রাখা হয়। এখানে রাখা বন্দীদের বহুমুখী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অবসর সময় কাটানোর জন্য রয়েছে পাঠাগার। এ ছাড়াও কারাজীবন থেকে বের হয়ে কীভাবে সভ্য-সুন্দর নতুন জীবন শুরু করা যায় সে ব্যাপারেও তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সেবু কারাগার ফিলিপাইনের এই কারাগারটিতে বন্দীদের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল জীবনের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয় কারাগারের ভেতরে বন্দীদের জন্য রয়েছে নানারকম প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা। প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চার অংশ হিসেবে তাদের নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যারা শারীরিকভাবে অক্ষম বা বয়সে প্রবীণ তাদের জন্য রয়েছে গান শেখার ব্যবস্থা। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×