ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

একজন মানুষের জন্ম একটি জাতির স্বাধীনতা

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১২ মার্চ ২০১৬

একজন মানুষের জন্ম একটি  জাতির স্বাধীনতা

একজন মানুষের জন্ম একটি জাতির জন্ম। একজন মানুষের জন্ম একটি জাতির আত্মানুসন্ধান। একজন মানুষের জন্ম একটি জাতির স্বাধীনতা। একজন মানুষের জন্ম একটি জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। পতপত করে উড়ছে লাল-সবুজ পতাকা। মানুষ গাইছেÑ শোন, একটি মুজিবরের থেকে/লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের/ধ্বনি প্রতিধ্বনি/ আকাশে-বাতাসে ওঠে রণি। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ...। যে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ তাঁর নাম ইচ্ছে করে ভুলে যেতে চান বা যারা তাঁর পরিচয় জানেন না বা গোপন করার ষড়যন্ত্র করেন তাদের বলব, শুনুন, সেই মানুষ শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ দক্ষিণ বাংলার এক ছায়া-সুনিবিড় গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার বনেদি শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা শেখ শায়রা খাতুন আদর করে ডাকতেন খোকা। বড় হলে সাধারণ মানুষ ডাকতেন শেখের বেটা বলে। তারপর ধাপে ধাপে মুজিব ভাই; হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী; বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা; রাজনীতির কবি, বঙ্গবন্ধু, বাঙালী জাতির পিতা; তৃতীয় বিশ্বের অকৃত্রিম বন্ধু। যেমন ছিলেন সুপুরুষ তেমনি সাহসে, মেধায়, বুদ্ধিমত্তায়, দূরদর্শিতায় দুনিয়া কাঁপিয়েছেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবন। এর প্রতিটি দিন উৎসর্গ করেছেন বাঙালী জাতির জন্যে। ৫০ বছর বয়সে ঘোষণা করলেন : ÒThis may be my last message, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved.” এটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং একাত্তরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে ঘোষণাটি দেয়ার পরপরই পাকিস্তানী হানাদার মিলিটারি বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে (পশ্চিম) পাকিস্তানে নিয়ে যায়। কিন্তু তা করেও পাকিরা বাঙালী জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ঐ ঘোষণাটি ঐ দিনই অপরাহ্ণ আড়াইটায় (২.৩০ মিঃ) চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম পাঠ করেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান। তারপর থেকে কয়েকবার ঘোষণাটি ঐ দিনই পাঠ করা হয়। তখন চট্টগ্রামে সিনিয়র আর্মি অফিসারদের (বাঙালী) মধ্যে ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং তখনও তিনি পাকিস্তানের আনা অস্ত্র বোঝাই সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের কাজে জড়িত ছিলেন। তাকে কয়েকজন বাঙালী অফিসার সেখান থেকে এনে কালুরঘাট (ততক্ষণে বেতার কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়) বেতার কেন্দ্রে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করান। বঙ্গবন্ধু তার ঘোষণাটি সবার আগে তৎকালীন ইপিআর (বিজেবি)-এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পাঠান। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা (২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে) হানাদার পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজীর চজঙ সিদ্দিক সালিকের witness to surrender গ্রন্থে রয়েছে। বিবিসি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করে ২৭ মার্চ (১৯৭১)-এর প্রভাতি অধিবেশনে- “শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিক মার্ক টালির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে জেনারেল ইয়াহিয়া খান বলেছেন- ‘খবর পাওয়া গেছে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন ... দম্ভ করে বলেছিলেন-This time he will no go unpunished. মানুষ স্বপ্ন দেখে। কেউ স্বপ্ন দেখে বাড়ি বানাবার, কেউ স্বপ্ন দেখে কোটিপতি হবার, কত কত স্বপ্ন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন একটি জাতির স্বাধীনতার, বাঙালীর আপন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। তিনি অত বড় মাপের মানুষ ছিলেন বলেই অত বড় স্বপ্ন দেখতে পেরেছিলেন। (অবশ্য তাঁর কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাবার মতোই বড় বড় সব স্বপ্ন দেখছেন, বাস্তবায়ন করে চলেছেন।) বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে কৈশোর থেকেই সংগ্রাম শুরু করেন। গোপালগঞ্জ থেকে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বেকার হোস্টেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি মুহূর্ত তিনি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আন্দোলন করেছেন, জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটাতে হয়েছে। এ সবেরই পঁষসরহধঃরড়হ বা সর্বোচ্চ সফল পরিণতি হলো বঙ্গবন্ধুর উল্লিখিত স্বাধীনতার ঘোষণা এবং যে উদ্দেশ্যে তিনি জাতিকে ধাপে ধাপে তৈরি করেছিলেন। বস্তুত স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র সাংবিধানিক নিয়মতান্ত্রিক অধিকার বঙ্গবন্ধুরই ছিল। ৭০-এর নির্বাচনে বাংলার জনগণ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ১৬৯টি আসনে নির্বাচিত করে, যা ছিল পাকিস্তান পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তার অল্প ক’দিন আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দেন, যা ছিল স্বাধীনতা ঘোষণার প্রথম ডাক। ১০ লাখ মানুষের ২০ লাখ উত্তোলিত হাত ও গগনবিদারী ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের মাঝে বঙ্গবন্ধু ১৯ মিনিটের ভাষণটি শেষ করেন এভাবে “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা!” বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের ক্যাসেট, সিডি যতবার বেজেছে পৃথিবীর ইতিহাসে এর কোন নজির নেই। সর্বশেষ একটি জরিপের ফল হলো বিগত ২৫০০ বছরের ৪১টি শ্রেষ্ঠ ভাষণের অন্যতম বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। এর মাত্রিকতাও বিস্ময়কর। বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ভাষণটি দেন। ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনকে ছাড়িয়ে ৭ মার্চের ভাষণ এক ভাষা দিয়েছিল এর আগে পৃথিবীর কোন ডিকশোনারীতে ছিল বলে মনে হয় না। বঙ্গবন্ধু যখন বলেন : “আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই যে, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট, কাছারি, আদালত, ফৌজদারি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরিবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য যে সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা-গরুর গাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে। শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রীমকোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি গভর্নমেন্ট দফতর ওয়াপদা কোন কিছু চলবে না। ২৮ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন।” এই নির্দেশনার প্রতিটি অক্ষর সেদিন বাংলার মানুষ পবিত্র দায়িত্ব বলে পালন করেছেন। কি এক অমোঘ সম্মোহনী শক্তি ছিল ওই অঙ্গুলি হেলনে। এত সুন্দরভাবে কেউ ডান হাতের আঙ্গুল তুলে কথা বলেছেন, বক্তৃতা করেছেন, মানুষকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং মানুষ ঐশিবাণীর মতো পালন করেছেন, এমন নজিরও তো দেখলাম না। কবি নির্মলেন্দু গুণের ভাষায় : “তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল, হৃদয়ে লাগিল দোলা জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?” একজন মানুষ কি করে এত শক্তিধর হন আজও চোখ বন্ধ করে কল্পনা করলে হৃদয়ে দোলা লাগে। তিনি বলছেন : সেক্রেটারিয়েট চলবে না... : চলেনি। : তিনি বলছেন- সুপ্রীমকোর্ট-হাইকোর্ট চলবে না... : চলেনি। : বলছেন- গরিবের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য রিকশা-গরুর গাড়ি চলবে... : চলেছে। : বলছেন- রেল চলবে লঞ্চ চলবে... : চলেছে। : বলছেন- ২৮ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন... : বেতন নিয়ে এসেছেন। : বলছেন- পূর্ব বাংলা থেকে কোন টাকা পশ্চিম পাকিস্তানে যাবে না... : যায়নি। : বলছেন- আমার কথা না শুনলে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেবেন... : জনতা বন্ধ করে দিয়েছেন। : বলছেন- রেডিও-টেলিভিশনে আমার কথা প্রচার না করলে কেউ সেখানে যাবেন না... : কেউ যাননি। একটি মাত্র মানুষ যা বলেছেন তাই অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছে। এর নজির কি বিশ্বের ইতিহাসে আছে? ৭ মার্চের ভাষণের রাজনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক- এই তিনটি দিক আলোচনা করা দরকার। বিশেষ করে একজন মানুষ নিজের রাজনীতি ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষা এবং নাগরিকদের যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য প্রশাসন ঠিক রেখে এবং সামরিক জেনারেল না হয়েও কি করে স্বাধীনতার জন্য গেরিলা যুদ্ধের যথার্থ রূপরেখা দিলেন, ভাবলে কি অবাক লাগে না? পয়লা মার্চ ইয়াহিয়া ৩ তারিখের পার্লামেন্ট অধিবেশন বন্ধ করে দেয়ার পর বঙ্গবন্ধু ৩ তারিখেই হোটেল পূর্বাণীতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন ৭ মার্চ রেসকোর্সের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় পরবর্তী দিকনির্দেশনা দেবেন। সে মুহূর্ত থেকে ৭ কোটি মানুষের মধ্যে একটাই আলোচনা ছিলÑ তবে কি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেবেন? না-কি পাকিদের আরও সময় দেবেন? বিদেশীদের মধ্যেও এমনি নানানমুখী চিন্তা-ভাবনা ছিল। দেখা গেল বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাও (টহরষধঃবৎধষ ফরপষধৎধষরড়হ ড়ভ রহফবঢ়বহফবহপব) দিলেন এই বলে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। আবার যাতে পাকি-শাসন বা বহির্বিশ্বের বৈরী শক্তি তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী (ঈবংংধঃরড়হরংঃ) হিসেবে দোষ দিতে না পারে সে জন্য পার্লামেন্টে যাবার জন্য ৪টি শর্ত জুড়ে দিলেন। যেমন তিনি বলেছেন ‘এসেম্বলি কল’ করেছেন, আমার দাবি মানতে হবে : ১. সামরিক আইন- মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে ২. সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে ৩. যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে ৪. জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে (৭০-এর নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এভাবে বঙ্গবন্ধু সাপও মারলেন, লাঠিও ভাঙল না। কেউ আর তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলতে পারল না, বলার কোন জায়গাই রাখলেন না। কারণ বঙ্গবন্ধুর সামনে একটি উদাহরণ ছিল যে, আফ্রিকার কোন একটি দেশে (সম্ভবত বায়াফ্রা) এমনি টহরষধঃবৎধষ ফরপষধৎধঃরড়হ ড়ভ রহফবঢ়বহফবহপব দিয়ে পরে আর সামলাতে পারেনি এবং বিপ্লবীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন। কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের গেটিসবার্গ ভাষণের (এবঃঃুংনঁৎম ধফফৎবংং) সঙ্গে তুলনা করেন। আমি মনে করি কোন তুলনাই চলে না। কেননা, আব্রাহাম লিঙ্কন ছিলেন আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট। তিনি তার ভাষণটি দেন আমেরিকার স্বাধীনতার ৮৭ বছর পরে (fourscore and seven years ago our fathers brought forth on this continent, a new nation, conceived in liberty, and dedicated to the proposition that all men are created equal)অর্থাৎ তিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বাধীন জাতির বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে গৃহযুদ্ধ (ঈরারষ ধিৎ) দমনের পর রাষ্ট্র পরিচালনার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তার প্রতিপক্ষ কোন রাষ্ট্রশক্তি ছিল না। আর বঙ্গবন্ধুর মাথার ওপর ঘুরছে হেলিকপ্টার গানশিপ এবং রাজপথে গান ক্যারেজ। বঙ্গবন্ধু তখনও কেবল একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের (৭০-এর নির্বাচনে) নেতা এবং তাঁর মাথার ওপরে রাষ্ট্রশক্তি- তাও আবার ভিন্নভাষী ভিন্ন সংস্কৃতির সামরিক জান্তা। বঙ্গবন্ধু যখন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলছেনÑ “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ, জয় বাংলা” অর্থাৎ বাঙালী জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা, আর আব্রাহাম লিঙ্কন একটি স্বাধীন জাতির রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি ঘোষণা করছেন - “ঞযধঃ ঃযরং হধঃরড়হ, ঁহফবৎ মড়ফ, ংযধষষ যধাব ধ হবি নরৎঃয ড়ভ ভৎববফড়স ধহফ ঃযধঃ মড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ংযধষষ হড়ঃ ঢ়বৎরংয ভৎড়স ঃযব বধৎঃয”. এই হচ্ছে একটি দেশের স্বাধীনতার ৮৭ বছর (ঋড়ঁৎংপড়ৎব ধহফ ংবাবহ ুবধৎং ধমড়) পরে রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কথা। তবে ৮৭ বছর আগে পরে হলেও একটা জায়গা দু’জনের মিল পাওয়া যায়। আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছেন, ধহফ ঃযধঃ ... ংযধষষ হড়ঃ ঢ়বৎরংয ভৎড়স ঃযব বধৎঃয আর বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ৭ কোটি মানুষকে (বাঙালী) দাবায়ে রাখতে পারবা না, ... আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। ঢাকা ॥ ১১ মার্চ ২০১৬ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×