ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যাংকের এমডি আবদুস সালাম;###;চলতি বছরেই সব শাখা অটোমেশন

শুধু মুনাফা অর্জনই নয়, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে জনতা ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শুধু মুনাফা অর্জনই নয়, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে জনতা ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সব শাখায় অটোমেশন চালু হবে। এ পর্যন্ত ৫০৩ শাখা অটোমেশনের আওতায় এসেছে। বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুস সালাম। আবদুস সালাম বলেন, জনতা ব্যাংকের ৯০৮ শাখা রয়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এসব শাখার ১৭৪টিতে অনলাইন ছিল। আর ২০১৫ সালে ৫০০ শাখায় অটোমেশন চালুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বছর শেষ ৫০৩ শাখায় অটোমেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে। নুতন সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। খুব দ্রুতগতিতে অটোমেশনের কাজ এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে সব শাখা অনলাইনে চলে আসবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, গত ২০১৫ সালে ব্যাংকের সার্বিক সূচকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে। তিনি জানান, শুধু মুনাফা অর্জনই নয়, আর্থ সামাজিক উন্নয়নেও আমাদের দায়িত্ব বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হয়েও আমরা বহুমাত্রিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ১শ’ কোটি টাকার বিপরীতে আমরা ১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা অর্জন করেছি, যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৬ শতাংশ বেশি। ৩৪ কোম্পানির ঋণ প্রায় ৫ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এ থেকে সুদ আয় প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা নেয়া সম্ভব হয়নি। হলে মুনাফা ১ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত। এজন্য তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। বর্তমানে ব্যাংকে কোন মূলধন ঘাটতি ও কোন প্রভিশন নেই। ২০১৬ সালে মুনাফা লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা অর্জন করাও সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া বছর শেষে জনতা ব্যাংকের মোট আমানত ৫৬ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা, মোট ঋণ ৩৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, আমদানি বাণিজ্য ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা, রফতানি বাণিজ্য ১৪ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, খেলাপী ঋণ তিন হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে দুই হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। আগের বছরে যেখানে খেলাপী ঋণের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, গত বছর কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে লোকসানি শাখা ৬০টি থাকলেও ২০১৫ সালে তা কমে ৩৪টিতে নেমে এসেছে। আব্দুস সালাম জানান, আমরা লোকসানি শাখার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি যাতে এটি আরও কমিয়ে আনা যায়। ঋণ হার ৮.১৫ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এ ব্যাংকের ঋণ হার সিঙ্গেল ডিজিট (৮.১৫ শতাংশ) নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কেপিআইর (কি পারফরমেন্স ইন্ডিকেটর) ১৩টি সূচকের মধ্যে জনতা ব্যাংক ১২টি সূচক অর্জন করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংকের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন এমডি। এ সময় ডিএমডি হাসান ইকবাল ও আফরোজা গুল নাহার, জিএম মোঃ জয়নাল আবেদিন, মোঃ নূরুল আলম, ডিজিএম মোঃ সাজিদুর রহমান, মোঃ মুকুল হোসেন উপস্থিতি ছিলেন।
×