ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিয়ের যতো সাজসজ্জা

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

বিয়ের যতো সাজসজ্জা

বর্তমানে কনের সাজ পার্লারেই করা হয়। কিন্তু যারা পার্লারে যেতে চান না বা যাওয়া পছন্দ করেন না অথবা অর্থনৈতিক দিকটা চিন্তা করে থাকেন, তারা বাড়িতেই কনে সাজতে পারেন। কিন্তু কেমন মেকআপে, কেমন হেয়ার স্টাইলে কনের রূপ খুলবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। তাই এ বিষয়ে সঠিক কিছু পরামর্শ দেয়া হলো যা অনুসরণ করে সহজেই কনের সাজে হয়ে উঠতে পারেন অপরূপা, আকর্ষণীয়া, তিলোত্তমা। প্রধানত প্রত্যেক কনের চেহারা, উচ্চতা, রঙের সঙ্গে মানানসই মেকআপ তো বটেই, হাল ফ্যাশনের মেকআপ বিষয়ে জানা প্রয়োজন। চুল বিয়ের বিকেলে সাজতে বসে প্রথমে চুলের সজ্জা। ঠিকঠাক চুলের বিন্যাস বদলে দিতে পারে মুখশ্রী। মুখের আকৃতি অনুযায়ী চুল ব্যাক ব্রাশ বা ফাঁপিয়ে নিয়ে ক্লিপ করতে হবে। যাদের মুখ গোলকার তাদের চুলের সামনের দিক ফাঁপিয়ে নিয়ে ঘাড়ের কাছে খোঁপা করতে হবে। লম্বা মুখের ক্ষেত্রে চুলের দুটো পাশ ফাঁপিয়ে নিয়ে খোঁপা করা ভাল। খোঁপা নানাভাবে বাঁধা যায়। রোলার লাগিয়ে বা ঘাড়ের কাছে হাত খোঁপাও করা চলে। শরীরের উচ্চতা কম হলে মাথার উপরের দিকে খোঁপা করলে উচ্চতা বেশি মনে হবে। আবার লম্বা মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘাড় খোঁপাই ভাল মানাবে, খোঁপায় বিভিন্ন ধরনের হেয়ার এ্যাক্সেসরিজের ব্যবহার চুলের সাজে নতুন মাত্রা এনেছে এখন। খোঁপা বেঁধে তাকে ওড়না বা ঘোমটা দিয়ে ঢেকে না রেখে নানা ধরনের ডিজাইনার কাঁটা, ক্লিপ, স্টোন-সেটিং-ক্লিপ, বিভিন্ন রঙের স্টোন বা পুঁতি, কৃত্রিম ফুল ইত্যাদি দিয়ে সাজালে দারুণ লাগে। প্রয়োজনে এর ওপর স্বচ্ছ ওড়না দেওয়া যায় আর যদি এসব দিতে না চান তাহলে সনাতন পদ্ধতিতে তাজা ফুলের গোড়ে মালায় ডেকে দিন খোঁপা। সৌন্দর্য এবং সৌরভ দুই-ই ঘিরে রাখবে কনেকে। মেকআপ মেকআপ শুরুর আগে মুখ, গলা, ঘাড়, পিঠে ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার লাগিয়ে নিতে হবে। মেকআপ শুরুর আগে দেখতে হবে কোথায় খুঁত বা দাগ রয়েছে। খুঁত ঢাকতে হবে কভার স্টিক দিয়ে। এরপর ফাউন্ডেশনের পালা। ত্বকের রঙ অনুযায়ী ফাউন্ডেশন অল্প পানি দিয়ে ত্বকের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে দিতে হবে। শীতের দিনে একটু গাঢ় মেকআপ করতে হয়। পানি স্প্রে করে নিতে হবে মুখে, গলায়। এতে মেকআপ সুন্দরভাবে বসে যাবে। যাদের নাক চাপা তারা এক শেড ডার্ক ফাউন্ডেশন নাকের দু’পাশে লাগিয়ে নিলে নাকটি উঁচু লাগবে। এর ওপর কমপ্যাক্ট লাগিয়ে দিলে বেস মেকআপ শেষ। গালে থাকবে ব্লাশারের লালিমা। লাল, মেরুন, ব্রাউন পিংক শেডের ব্লাশ অন শাড়ির সঙ্গে মানানসই করে লাগালে কনের মুখে লাজুক ভাবটি ফুটে ওঠে। চিক বোন শিমার দিয়ে হাইলাইট করতে হবে। শরীরের সুন্দরতম অঙ্গ চোখের সাজই কনের আসল রহস্য। চোখ ছোট হলে মোটা করে, চোখ বড় হলে সরু করে আই লাইনারের রেখা টানতে হবে। চোখ যদি বসা হয় কাজল দিয়ে ভরিয়ে দিতে হবে চোখের কোল। এক্ষেত্রে আই লাইনার কম ব্যবহার করলে ভাল। অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজল একটু চোখের নিচের পাতায় একটু সাজ করে দিলে চোখে মায়াবী ভাব ফুটবে। চোখের পাতা ঘন দেখাতে প্রথমে সাদা মাসকারা, শুকিয়ে গেলে ওয়াটার প্রুফ কালো মাসকারা ব্যবহার করতে হয়। তাই শ্যাডো অবশ্যই শাড়ি বা পোশাকের রঙের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে হয়। সঙ্গে গোল্ড, সিলভার বা কপার দিয়ে হাইলাইট করতে হবে। অনেক সময় দুটি বা তিনটি রঙ মিশিয়েও শ্যাডো লাগালেও ভাল লাগবে। যারা একটু ন্যাচারাল লুক পছন্দ করেন তাদের জন্য ব্রাউন বা কপার আইশ্যাডো। মেকআপের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থাকে ঠোঁট রাঙানোর পর্ব। ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে লাগানো হয় লিপস্টিক। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে অল্প ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিলে ভাল হয়। ঠোঁটের গড়ন যদি ঠিক না থাকে তবে লিপ লাইনার বা ব্রাশে লিপস্টিক নিয়ে আউট লাইন এঁকে নিতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের রঙ ছড়িয়ে যাবে না। লিপস্টিকের রঙ বাছতে হবে গায়ের রঙ ও শাড়ি বা পোশাকের রঙের কথা মাথায় রেখে। অল্প বয়সীদের গ্লসি লিপস্টিক মানায় ভাল। না হলে ম্যাট লিপস্টিক দিয়ে ভরিয়ে দিতে হবে আঁকা ঠোঁটের ভেতরে। সবশেষে চন্দন পরা। বিয়ের রাতে মুখের চন্দনের রেখাতেই কনের সৌন্দর্য পুরোমাত্রায় ফুটে ওঠে। গহনা আর বেনারসির জরির কারুকাজের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সূক্ষ্ম চন্দনের কারুকাজ আঁকতে হবে। চন্দন আঁকতে হয় মুখের আকৃতি অনুযায়ী। কপালের লাল টিপকে ঘিরে সুন্দর আল্পনা আঁকতে পারেন। কপাল ছাড়া গাল, চিবুকেও অল্প চন্দন আঁকা যায়। চন্দনকে আরও গর্জিয়াস করতে চাইলে কলকার মাঝখানে লাল কুমকুমের ছোঁয়া, ছোট ছোট পুঁতি, স্টোন, মুক্তো, বিন্দি ইত্যাদি দিয়ে ডেকোরেশন করা হয়। গ্লিটার দিয়ে চন্দনের সঙ্গে আঁকতে চাইলে গোল্ড, সিলভার গ্লিটার শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে লাগালে সুন্দর তো বটেই, নতুনত্বের ছাপ আসে। আবার মিনে কাজের শাড়ি পরলে চন্দনেও মিলে লাগালে অপূর্ব লাগবে। হাত-পা কনের হাত-পাও সাজাতে হবে। প্রথমেই ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর করিয়ে নিয়ে নখ সুন্দর শেপে কেটে নেলপলিশ লাগানো অবশ্যই চাই। এই নেলপলিশকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে এসে গেছে নেল আর্ট। নেলপলিশের ওপর নানারঙের গ্লিটার দিয়ে ডিজাইন করে গোল্ড বা সিলভার গ্লিটারের ছোঁয়ায় হাতের ভাষাই বদলে দেওয়া যায়। আবার নখের ওপর স্টোন বসিয়ে সাজানো যায়। যাদের নখ ভেঙে যায় বা এবড়ো থেবড়ো, যাদের নখ দাঁতে কাটার কুঅভ্যাসের ফলে নখ প্রায়ই নেই বললেই চলে, তাদের জন্য রয়েছে কৃত্রিম এ্যাক্রিলিক নখ। এই নখেও যেমন খুশি সাজানো যায়। আজকাল হাতে-পায়ে মেহেদি পরার ফ্যাশন রয়েছে। মেহেদিতে বৈচিত্র্য আনতে এসেছে গেছে কালার মেহেদি। আবার নকশার মধ্যেও স্টোন দিয়ে করা জুয়েলারি মেহেদির ক্রেজ এখন তুঙ্গে। সাজের শেষ হবে বড়ি শিমার দিয়ে। শরীরের উন্মুক্ত জায়গায় লাগাবেন, চকচকে আভা আসবে। তারপর গায়ে কনের প্রিয় পারফিউম স্প্রে করে কনের সাজ শেষ করুন। এবার কনের দিকে তাকিয়ে দেখুন পার্লারের চেয়ে কোন অংশেই কম হয়নি আপনার কনের সাজ। অপরূপ কনে বিয়ের সময় এসে গেছে। অনেক কনেই সমস্যায় পড়েন তাদের শাড়ি-জামাকাপড় নিয়ে। কী পরব, কী সাজবÑকনের এক বিরাট সমস্যা। বাঙালী কনের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী লাল বেনারসি সঙ্গে সোনার অলঙ্কার যেমন-জড়োয়ার চিক, নেকলেস, সীতাহার, ঝাপটা টিকলি, নথ, হাতে রতনচূড়, কঙ্কন, চুড়ি, বাজুবন্দ আর মানানসই দুল। সেই সঙ্গে মেহেদি ও পায়ে আলতা। নিয়ম অনুযায়ী কনের সাজে খুব একটা রদবদল না হলেও শাড়ির রঙে বদল দেখা যায়। লাল যদিও খুব সুন্দর রঙ কিন্তু সবাইকে নাও মানাতে পারে। তাই ইদানীং দেখা যায় কনেরা লাল ছাড়া অন্যান্য রঙ পরতে দ্বিধাবোধ করেন না। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই জেনে নিতে হবে তার সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ কী কী হবে। অবশ্য লাল রঙের সঙ্গেও কী মানাবে তাও জানা দরকার। বিশেষ করে মেকআপ সম্পর্কে ধারণা একেবারে স্পষ্ট হওয়া দরকার। মেকআপ অর্থাৎ কী ফাউন্ডেশন লাগবে জানাটাই কিন্তু শেষ কথা নয়। এর সঙ্গে কী নেইলপলিশ, লিপিস্টিক কিংবা ব্লাশঅন লাগবে সেটা জানা খুবই জরুরি। কারণ বিয়ের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনে কনেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখাক এটা নিশ্চয়ই সব কনেই চাইবেন। আর এই কারণেই বিয়ের পোশাক নির্বাচনের পরেই সযতেœ বেছে নিতে হবে লিপিস্টিক, নেল এনামেল, আই শ্যাডো, ক্রিম ব্লাশার্স ইত্যাদি। সঠিক রঙ বাছাইয়ের উপরই নির্ভর করবে আপনার সঠিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ। এ কথা সত্য যে, বিয়ের কনে সর্বদাই অপরূপ, সুন্দর। আর তা দীর্ঘ সময় বজায় রাখতে কনের পোশাকের সঙ্গে চাই মানানসই প্রসাধন সামগ্রী। যা কনের তত্ত্বে দিলে তত্ত্ব ডালা দেখে কনে যেমন খুশি হবে তেমনি সবার প্রশংসাও পাবে। বিয়ের শাড়ি, ফুলের সাজ, মিষ্টির সঙ্গে এগলো হবে বাড়তি আকর্ষণ। বিয়ের সাজ সানাইয়ের সুর কানে ভেসে আসলেই মনের জানালায় ফুটে ওঠে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। উঁকি দেয় নানা উৎসবমুখর আয়োজনের স্মৃতি। নারী পুরুষের দুটি হৃদয়ের মেলবন্ধনের নামই বিয়ে। সূত্রপাত হয় নিবিড় এক সম্পর্কের। যে সম্পর্ক দিয়েই পাড়ি দিতে হয় জীবনের বাকি পথ। আস্থা আর নির্ভরতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যায় সম্পর্ক। উৎসবপ্রিয় বাঙালী জাতি যে কোন উৎসব পেলেই যেন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক হয়ে যায়। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে উৎসবকে সম্পন্ন করতেই যেন ব্যস্ত থাকে সবাই। এ ঐতিহ্য বাঙালীর হাজার বছরের। কিছু কিছু উৎসবের আবেশ যেন ছড়িয়ে যায় বহুদূর। রঙিন হয়ে ওঠে উৎসবের আকাশ। তেমনি এক উৎসব হচ্ছে বিয়ে। একেক জাতি কিংবা একেক ধর্মাবলম্বী একেক স্টাইলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে থাকলেও উৎসবের আমেজ যেন একই। আনুষ্ঠানিকতার ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেলেও উৎসবের ধরন একই রকম। বর-কনে নিয়ে মাতামাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে সবাই। সবচেয়ে বেশি উৎসুক দৃষ্টি থাকে কনের সাজ নিয়ে। বিয়ের শাড়ি গয়নার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কনের সাজ কেমন হলো এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার যেন শেষ নেই। একটা সময় ছিল যখন কনের সাজ বাড়িতেই সম্পন্ন হতো। কালের আবহে পাল্টে গেছে দিন, পাল্টে গেছে ক্ষণ। এখন ঘরে বসে কনের সাজের দিন আর নেই। অপরূপ কনের সাজ তুলে ধরতে সৃষ্টি হয়েছে বিউটি সেলুনের। যারা রীতিমতো গবেষণা করে কনেকে সাজিয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, একেক অনুষ্ঠানের সাজ পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর একেক রকম হয়ে থাকে। অর্থাৎ গায়ে হলুদ, বিয়ে এবং বৌভাতের সাজ একেক স্টাইলের হয়ে থাকে। কোনটার সঙ্গে কোনটার মিল নেই। আর মিল থাকার কথাও নয়। সঙ্গত কারণেই তিনটি উৎসবের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন রকমের। মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। আর এ সচেতনতার প্রভাব পড়েছে বিয়ে-শাদিতে। যে কারণে এখন আকদ-এর মতো অনুষ্ঠানে কনে বিউটি সেলুনে এসে সেজে যায়। এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক দিক। হলুদের সাজ হলুদের সাজে এক ধরনের ফ্লাওয়ারিশ ভাব লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ হলুদের প্রতিটি পদক্ষেপে ফুলের প্রাধান্য বিদ্যমান। এ কারণেই হলুদের সাজে ফুলের প্রভাব লক্ষণীয়। হলুদে কনেকে সাজানো হয় ফুলের গহনায়। আর ফুলের গহনা কি রঙের তার ওপর নির্ভর করে হলুদের সাজ। সেই সঙ্গে শাড়ির রঙ তো রয়েছেই। কেউ বাসন্তি কিংবা গাড়ো হলুদ রঙের শাড়ি কিংবা হালকা হলুদ রঙের শাড়ি পড়ে থাকে। যে কারণে রঙ অনুযায়ী সাজও ভিন্ন হয়ে থাকে। হলুদে চোখের সাজ বলতে একটু লাইনার কিংবা কাজল টেনে দেয়া। পাপড়িতে ফ্লাওয়ার বেজ হালকা শেড। প্রথাগত বিয়ের সাজের বাইরে এখন সাজানো হয় কনেকে। বিশেষ করে থিম বেজ সাজ। যেমন পিকক কিংবা ফেয়ারি সাজ। পিকক থিম বেজ বলতে স্টেজ থেকে শুরু করে বর কনের বসার জায়গা পর্যন্ত সবকিছুতেই থাকছে ময়ূরের সাজ। আর এর ওপর নির্ভর করেই সাজানো হয় কনেকে। শাড়ি গয়না এবং স্টেজ সবকিছুর বর্ণনা দেয়া থাকলে সাজটা হয় পারফেক্ট। সহজেই মানিয়ে যায় এবং দ্রুত দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। লুকটা হয়ে থাকে একদম ডিফারেন্ট। তবে এসব বিষয় না জানা থাকলে ট্রেডিশনাল মেকআপ অথবা শাড়ি গয়নার ওপর বেজ করে মেকআপ করা হয়ে থাকে। থিম বেজ ছাড়া কেউ কেউ বিয়েতে মডার্ন লুক ডিমান্ড করে। তখন সেভাবেই সাজানো হয় কনেকে। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে কনের চাহিদার ওপর। বৌভাত বিয়ে-শাদির আনুষ্ঠানিকতায় সবচেয়ে সুন্দর সাজ হয়ে থাকে বৌভাতে। কারণ বৌভাতে শাড়ি কিংবা গয়নার রঙের কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না। যে কারণে সাজটাও হয় ডিফারেন্ট। এ পর্বে বর এবং কনে উভয়ই বেশ রিলাক্স মুডে থাকে। যে কারণে সাজের আবহটা বজায় থাকে। এ কারণেই পুরো অনুষ্ঠানেই এক ধরনের রিফ্রেশমেন্ট কাজ করে। বিয়ে এবং বৌভাতে চুলের সাজে বড় রকমের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। চোখের শেড এ ভারি কাজ বেশ মানিয়ে যায়। বিশেষ টিপস অনেকেই বিয়ের আগে মেনিকিউর পেডিকিউরসহ অন্য যেসব রূপচর্চা আছে তা একবারে সেরে নেয়। যদিও সময়ের অভাবে অনেকে তা করে থাকেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকে শুরু করলে। এতে বিয়ের সময় বেশ রিফ্রেশ লাগে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায় বহুগুণে। এছাড়া হেয়ার ট্রিটমেন্ট কিংবা ওয়াস্টিন বা লোমের ট্রিটমেন্ট আগে থেকে করিয়ে নিলে তাড়াহুড়ার মধ্যে পড়তে হয় না। আমাদের দেশে বরের সাজের ব্যাপারে তেমন কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে না। এটা ঠিক নয়। বরের জন্যও হালকা, প্রয়োজনভেদে ভারি মেকআপের প্রয়োজন রয়েছে। ভারি মেকআপ করা পরিপাটি কনের পাশে মেকআপ ছাড়া বরের ছবি যেন অনেকটাই ম্লান। যে কারণে বরের বেসিক মেকআপের প্রয়োজন রয়েছে। এখন অবশ্য বিয়ের আগে পাত্র নিজেই চলে আসে নিজেকে পরিপাটি করতে। এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক দিক। একটা বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সবারই, সেটা হলো বিয়ের অনেকেই কারণে অকারণে কনেকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করে থাকে। দেখা গেছে ৩-৪ ঘণ্টা মেকআপের বড় একটা সময় ব্যয় হয় ফোন রিসিভ করা নিয়ে। আবার বিয়ের আসরে অনেকেই বিভিন্ন ইনফরমেশন দিয়ে টেনসে ফেলে দেয় কনেকে। যেটা কনেকে না দিলেও চলে। যেমন বর পক্ষের কোন মন্তব্য, কিংবা পারিবারিক ইস্যু যেটা গার্ডিয়ানরা সমাধা করতে পারে সেরকম কোন তথ্য কেউ কনের কানে দিয়ে তাকে ডিস্টার্ব করা হয়। যার প্রভাব পড়ে চেহারায়। বিয়ের মতো নির্মল এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানে সতেজ থাকাটাই সবার কাম্য। সঠিক মেকআপই পারে সে সতেজতা অনেকখানি তুলে ধরতে।
×