ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াফত করা হবে ॥ মোজাম্মেল

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াফত করা হবে ॥ মোজাম্মেল

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৯ ডিসেম্বর ॥ পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, তাদের আস্ফালনের জবাব দিতে যুদ্ধাপরাধীদের শুধু বিচারই করা হবে না, তাদের সম্পদও বাজেয়াফত করা হবে। এ সম্পদ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। আইন না থাকলে নতুন আইন তৈরি করে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তিই বাজেয়াফত করা হবে। পাকিস্তানের সংসদে আলোচনা করা হয়েছে, বাংলাদেশে কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। কোন মা-বোন ধর্ষিত হয়নি। ওরা ৭১-এর পরাজয়ের গ্লানি এখনও ভুলতে পারেনি। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিব নগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করতে চায়নি। সে ওয়ার-কাউন্সিলর করে যুদ্ধ করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান, মোস্তাক ও তার সঙ্গীদের নিয়ে ভারতে বসে পাকিস্তানের সঙ্গে আপোস করতে চেয়েছিল। এসব অপকর্মের জন্য জিয়াউর রহমানেরও মরণোত্তর বিচার করা হবে। জামায়াত নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতে ইসলামীর এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। ৪৪ বছর পরও তাদের স্বভাব পরিবর্তন হয়নি। তারা জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। অচিরেই তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হবে। মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কল্যাণের কথা উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আগামী ঈদ থেকে তাদের দুটি করে বোনাস দেয়া হবে। আর আগামী জুন মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি করা হবে। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৭০৫টি যুদ্ধ ক্ষেত্রে একই ডিজাইনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া গণকবরগুলো সংরক্ষণ করা হবে। কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলার বদ্ধভূমি সংলগ্ন রেলওয়ে মাঠে কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, সহসংগঠনিক সম্পাদক এস এম মজিবুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুর হক নুরুজ্জামান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার ক্যাপ্টেন নুর মোহাম্মদ বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×