ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জয়া আহসানকে হুমকি!

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৯ নভেম্বর ২০১৫

জয়া আহসানকে  হুমকি!

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী জয়া আহসানকে হুমকি দেয়া হয়েছে। জয়া বাংলাদেশের সানি লিওন এই অভিযোগে তাকে অবিলম্বে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। এমনকি তাকে খুনের হুমকিও দেয়া হয়েছে। ওপার বাংলা কিছুদিন মুক্তি পাওয় ‘রাজকাহিনী’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে তাকে এ হুমকি দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতের একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যম। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনেও এ বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তবে এ বিষয়ে জয়া আহসানের সঙ্গে তার সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ভারতের ওই গণমাধ্যম এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে ‘রাজকাহিনী’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য নিয়ে বিতর্কটা শুরু হয়েছে । এই চলচ্চিত্রে রুবিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া। রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে চলচ্চিত্রের একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে সমালোচকরা চোখ রাঙালেও সে সব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না জয়া। ওই গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এ চলচ্চিত্রে রুবিনার ভূমিকায় ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর এখানে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ সব শিল্পীরা ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সে তুলনায় আমার পর্দায় উপস্থিতি অন্য সবার চেয়ে বেশি। এতে অভিনয় করার মানে হচ্ছে ঐতিহাসিক একটা কাজের অংশ হয়ে থাকা। বাংলাদেশের একজন শিল্পী হিসেবে তারা সম্মান করে আমাকে নিয়ে গেছেন। আমি তাদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। সেটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। অভিনয়ের জায়গাও ছিল। দর্শকরা দেখলে বাকিটা বুঝতে পারবেন। ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ‘রাজকাহিনী’র পর আবারও জয়া আহসানকে দেখা যাবে দেশভাগের গল্পের চলচ্চিত্রে। ২০১১-১২ সালে সরকারী অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্র ‘খাঁচা’য় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। হাসান আজিজুল হকের ‘খাঁচা’ গল্প অবলম্বনে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রে তাকে দেখা যাবে আজাদ আবুল কালামের বিপরীতে। চলচ্চিত্রের পরিচালক আকরাম খান বলেন, চলচ্চিত্রে প্রধান নারী চরিত্রে আমি শুরু থেকেই জয়ার কথাই ভাবছিলাম। কিন্তু জয়ার সিডিউল মেলা দুষ্কর ছিল। জয়া ‘রাজকাহিনী’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আমি চিন্তিই ছিলাম। কিন্তু জয়া দেশে ফেরার পরই আমার চলচ্চিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়ে গেল। আকরাম জানান, প্রথম লটে তার চলচ্চিত্রের শূটিং হবে নড়াইলের বিভিন্ন লোকেশনে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব বঙ্গের হিন্দু পরিবারগুলোর ভারতে পাড়ি জমানোর গল্প নিয়ে এগিয়েছে চলচ্চিত্রের কাহিনী। এতে দেখা যাবে, অম্বুজাক্ষের পরিবার তাদের বসতভিটা বিক্রি করে দিয়ে ভারতে চলে যেতে চায়। ভারত থেকে আসা মুসলিম পরিবারগুলো অম্বুজাক্ষদের বাড়ি কিনতে এসে ফিরে যায়। অম্বুজাক্ষ স্বপ্ন দেখে, ভারতে গেলে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। সরোজিনী নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আগলে রাখে অম্বুজাক্ষের সংসার। দিনবদলের স্বপ্ন তার চোখে।
×