ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ষড়যন্ত্র

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।’ আমাদের স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে দেশ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী জঙ্গী সংগঠনগুলো চট্টগ্রামকে টার্গেট করে তাদের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের দেশের এক শ্রেণীর ‘সুশীল’ ব্যক্তিবর্গ আছেন যারা রাজনীতির তেমন কিছুই বোঝেন না কিন্তু রাজনীতিকদের সমালোচনায়মুখর। দেশের এই ভয়ঙ্কর বিপদের সময়ও তারা তাদের সেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সবচেয়ে সমস্যা মনে করছেন। আবার অনেকে বর্তমান সরকারকে যে কোন মূল্যে অপসারণের চেষ্টাও করছেন। যদি কোন কারণে কোন অস্বাভাবিক পন্থায় বর্তমান সরকারের পতন হয়, তাহলে বিএনপির পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব হবে না বরং সেই ভয়ঙ্কর অপশক্তি দেশ দখল করে আমাদের সোনার বাংলাকে আবারও শ্মশানে পরিণত করবে। তাই দেশের সব রাজনীতিবিদ ও দেশপ্রেমিক সুশীল সমাজের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, দেশ থেকে এই অপশক্তিকে দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করুন। আওয়ামী লীগকে হটাতে গিয়ে দেশ ধ্বংস করবেন না। জামায়াত ও জঙ্গীবাদকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে দেশে যে ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হবে সে সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। বিএনপিকে সঠিক রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সদা সতর্ক থাকতে হবে যাতে দেশে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে। বড় কোন নাশকতার আগেই এই ভয়ঙ্কর অপশক্তিকে ধ্বংস করে দিতে হবে। বিপ্লব ফরিদপুর সিএসডি বন্ধের চক্রান্ত পুরনো ঢাকার গে-ারিয়া থানার সন্নিকটে অবস্থিত মিলব্যারাকের সিএসডি গোডাউনগুলো মিনি সাইলো নির্মাণের নামে ইতোমধ্যে খাদ্য অধিদফতরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এতে শত শত শ্রমিক বেকার। তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইতোপূর্বে অত্র সিএসডি থেকে দৈনিক প্রায় এক শ’ টন চাল, গম, আটা ও এমএসের মাধ্যমে খোলা বাজারে বিক্রি করা হতো এবং শত শত টন খাদ্যসামগ্রী সরকারের সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ডিসিসি, কারাগারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করা হয়ে থাকত যা এখন একেবারে বন্ধের উপক্রম। এই গোডাউনে পর্যাপ্ত মালামাল নেই বলে তাই শ্রমিকদের তেমন কাজও নেই। উল্লেখ্য, একটি মহল চক্রান্ত করে মিলব্যারাকের এই সিএসডি গোডাউনগুলো তথা ঢাকা সিএসডি-এর কার্যক্রম বন্ধ করে রাইস সাইলো নির্মাণ করতে যাচ্ছে। সাইলো হলে এই এলাকার সরু রাস্তা দিয়ে ১২-২৪ চাকার ট্রেলর ও ট্রাক যাতায়াত করলে যানজটে নাকাল হবে এলাকা ও এলাকাবাসী বিধ্বস্ত হবে রাস্তাঘাট এবং বিনষ্ট হবে এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি। প্রয়োজনে এই সাইলো শ্রমিক ও জনস্বার্থে পোস্তগোলার সরকারী ময়দার মিলকে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৫-১৬ বিষার মূল্যবান জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই সিএসডি সম্পত্তি আজ অবহেলিত দেখার কেউ নেই। শ্রমিকরা ৪০ বছর ধরে তিন তিল করে এই ঢাকা সিএসডিকে শুধু রক্ষা করেনি এর উন্নয়নে যথেষ্ট সেবা ও শ্রম প্রদান করেছে। আজ ওই সকল শ্রমিককে বেকার করে একটি চক্র তাড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এতে এলাকাবাসী খাদ্য অধিদফতরের এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করছেন। এমতাবস্থায়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধিদফতরের প্রতি আবেদন জরুরী ভিত্তিতে পুনরায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মিলব্যারাক এলাকায় অবস্থিত ৪০ বছরের পুরান ঢাকা সিএসডির কার্যক্রম পুনঃ চালুকরণের মাধ্যমে শত শত শ্রমিক ও তাদের পরিবার-পরিজনকে বাঁচানো এবং এই সিএসডিকে নতুনভাবে অর্থায়নের মাধ্যমে এর আধুনিকরণ ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ করা হোক। মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, গে-ারিয়া ঢাকা
×