ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাবিবুর রহমান স্বপন

ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না!

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৫ জুলাই ২০১৫

ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না!

পতিত রাষ্ট্রপতি এবং স্বৈরাচার হিসেবে পরিচিত এরশাদ সম্প্রতি জাতীয় সংসদের নারী সদস্যদের সম্পর্কে মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। এছাড়া তিনি সংসদে বলেছেন, এ দেশে এখন ঘুষ ছাড়া সিপাহী এবং পিয়নের চাকরিও হয় না। নারী সংসদ সদস্যদের তিনি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করে বলেছেন, সংসদের নারী সদস্যরা ‘শো পিস’। এরশাদ সরকারের সময় সংসদে ৩০ জন মহিলা সদস্যকে নিয়ে আশির দশকে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ত্রিশ সেট অলঙ্কার’ শিরোনামে একটি সংখ্যা করেছিল। বাজারে এর বেশ কাটতি তখন লক্ষ্য করেছিলাম। তারও সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল। এরশাদের নারীবান্ধবীদের প্রসঙ্গ ছিল ওই প্রবন্ধে। তখন নির্বাচিত নারী সদস্যের সংখ্যা ছিল নগণ্য। বেশিরভাগই ছিলেন মনোনীত। বর্তমান জাতীয় সংসদের নেতা একজন মহিলা সংসদ সদস্য, যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলের নেতাও একজন মহিলা। স্পীকারও মহিলা। বিরোধী দলের নেত্রী রওশন এরশাদ হচ্ছেন পতিত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম স্ত্রী। বর্তমান নবম সংসদের নির্বাচিত এবং মনোনীত প্রায় অর্ধশত সংসদ সদস্য নারী। এর পরে হঠাৎ করে এরশাদ নারী সদস্যদের ‘শো পিস’ বলে মন্তব্য করলেন কেন? সেটি তিনিই ভাল বলতে পারবেন। মনে পড়ে, এরশাদ সরকারের সময় নারী সংসদ সদস্যদের ‘ত্রিশ সেট অলঙ্কার’ বলে মন্তব্য করায় তখন সাপ্তাহিক পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে পাঠকরা তাদের মেধা দিয়ে বিচার করবেন। এরশাদ সম্পর্কে একজন স্কুলশিক্ষকের মন্তব্য : ‘এরশাদ এখন মৃতপ্রায় ঘোড়া’। একজন দর্জির মন্তব্য ‘ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না কয়’। হায়রে কপাল, শেষ পর্যন্ত ছাগল আর পাগলের সঙ্গে তুলনা! একেবারে পাগল বলা বোধ করি ঠিক হবে না। কারণ কিছু কথা তো যথার্থই বলেছেন এরশাদ। যেমন- তিনি বলেছেন এখন সিপাহী এবং পিয়নের চাকরিও ঘুষ ছাড়া হয় না। কথাটি বহুলাংশে যে ঠিক, তার প্রমাণ তো সংসদ সদস্যরা সংসদেই আলোচনা করেছেন। এছাড়াও প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে যে প্রচার-প্রচারণা আমরা দেখছি, তাতে এর সত্যতা মেলে। সম্প্রতি সংসদে ঠাকুরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য দাবিরুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশের কনস্টেবলে লোক নিয়োগে ব্যাপক ঘুষ লেনদেন হয়েছে। এর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। আরও বলা হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে যাদের চাকরি দেয়া হয়েছে, তারা ভিন্ন মতাবলম্বীদের অনুসারী ছাত্র সংগঠনের সদস্য। বিষয়টি তদন্তের দাবিও উঠেছে। বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে খবর প্রচারিত হয়, স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন সরকারী দফতরে লোক নিয়োগে ঘুষ আবশ্যক। ঘুষ ছাড়া চাকরি মেলে না। রেলে এবং খাদ্য দফতরে ঘুষ লেনদেনের দরবার কত হলো, সেটা দেশবাসী কমবেশি জানে। কয়েক দিন আগে নওগাঁ থেকে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বললেন, ‘আপনি তো অনেক বিষয় নিয়ে লেখেন। দয়া করে গরিবদের পক্ষে শক্ত করে আবার কলম ধরেন।’ তিনি যা বললেন তার সারাংশ হলোÑ স্কুল-কলেজ, সরকারী-বেসরকারী চাকরিÑ সর্বত্র নিয়োগে ঘুষ গুনতে হয়। এভাবে টাকাওয়ালারা চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। তাতে মেধাবীরা হচ্ছে বঞ্চিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্যরা চাকরি পাচ্ছে না। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ঘুষ নিয়ে চাকরি দিচ্ছে। আর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা ম্যানেজিং কমিটিতে আছেন, তাদের বেশিরভাগই দলীয় লোক। তাদের নিজেদের যোগ্যতা হচ্ছে দলবাজি। অভিভাবকদের ভোটে যারা নির্বাচিত হন, তাদেরও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সরকার নিয়োগ বোর্ড অথবা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করুক, সেটাই চায় জনগণ। অযোগ্য শিক্ষকরা যে শিক্ষার্থীদের কি শিক্ষা দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে বহু শিক্ষিত বেকার বাধ্য হচ্ছে দালালের মাধ্যমে বিদেশ পাড়ি দেয়ার। কেউ সফল হচ্ছে, কেউবা বাবা-মায়ের সম্পদ বিক্রি করে হচ্ছে ফতুর। বেকারত্বের অভিশাপ ঘাড়ে নিয়ে কেউবা দুষ্টচক্রের প্রলোভনে পড়ে নাম লেখাচ্ছে জঙ্গী দলে। অপরাধীদের দলে যোগ দিয়ে অনেক মেধাবী যুবকের ভবিষ্যত নষ্ট হচ্ছে। কেউ আবার মাদকাসক্ত হয়ে অকালে জীবন হারাচ্ছে। স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা, এমনকি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদে চাকরি নিতে হলে ‘ডোনেশন’ দিতে হয়। এই ডোনেশন দেয়ার সামর্থ্য যার আছে, সে হয়ত তৃতীয় বিভাগে বিএসসি অথবা এমএ করেছেন। অথচ যিনি এসএসসি, এইচএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষায় উচ্চতর দ্বিতীয় বিভাগে অথবা দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তিনি ডোনেশন না দিতে পারায় চাকরি পাচ্ছেন না। পাবনার প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে (প্রতিষ্ঠিত ১৯৪৩ খ্রি.) প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে মতবিরোধ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির। ম্যনেজিং কমিটি যোগ্যতম ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে চায়। কিন্তু সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্বজনপ্রীতি করে অযোগ্য লোককে নিয়োগ দিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। উভয়ের দ্বন্দ্বের কারণে দেড় বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতির কারণে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে অস্থিরতা। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার খবর সংবাদপত্রে পড়ি। এসব নিয়োগ হয়ে থাকে স্থানীয়ভাবে। অর্থাৎ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা দফতরের জেলায় দায়িত্বরত উপ-পরিচালক এবং জেলা প্রশাসন। এসব নিয়োগেও ঘুষ লেনদেনের খবর মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। নিয়োগকে কেন্দ্র করে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও, ভাংচুর এমনকি মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি জেলায়। জেলা প্রশাসনের অধীনে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এবং তহশিলদার নিয়োগ হয়েছে প্রায় সব জেলায়। সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জেলায় পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হয়ে থাকে। টাকা ছাড়া যে চাকরি মেলে না, এটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। প্রতিটি কনস্টেবল পদের জন্য ঘুষ গুনতে হয় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। এর আগে সাব-ইন্সপেক্টর পদের জন্য ঘুষ দেয়া-নেয়া নিয়ে অনেক খবর সংবাদপত্রেই পড়েছি। ঘুষ দাতা এবং গ্রহীতা দু’জনই সমান অপরাধী। হাদিসে বর্ণনা আছেÑ ‘ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত।’ এরপরও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশে ঘুষ লেনদেন হচ্ছে! সমাজে অশান্তির কারণ এই ঘুষ। ঘুষের টাকা সমাজকে কলুষিত করছে। ঘুষ সমাজের স্থিতি বিনষ্ট করছে। ঘুষ সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করছে। অন্যের ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছে। অশান্তির বীজ রোপিত হচ্ছে ঘুষের কারণে। এরশাদ সত্য উচ্চারণ করেছেন। তবে এটাও ঠিক, সামরিক সরকারের সময় থেকে ঘুষ-দুর্নীতির বিস্তার। তিনি নয় বছর দেশ শাসন করেছেন। তখনও দেখেছি ঘুষ লেনদেন হয়েছে নানা কর্মে। এমনকি রাজনীতিবিদদের অন্য দল থেকে ঘুষের বিনিময়ে নিজের দলে নেয়ার গল্পও শুনেছি। এখন এরশাদ ঘুষের বিরুদ্ধে সোচ্চার! মনে পড়ে গেল পাকিস্তানের সামরিক কসাই টিক্কা খান এ দেশে ১৯৭১ সালে বহু নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষ খুন করার নেতৃত্ব দেন। সেই টিক্কা খানই ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের জন্য মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বগুড়া থেকে একজন ছাত্র ফোন করে বললেন, ‘আমরা যারা গরিব কৃষকের সন্তান তাদের ভবিষ্যত কী? আমরা তো ঘুষ দিতে পারি না। তাই চাকরি পাই না বা হয় না। তা হলে আমরা কি মরে যাব?’ ছেলেটি বহু কষ্ট নিয়ে কথাটি বলেছে। কারণ তার বাবা প্রান্তিক চাষী। ওরা দুই ভাই বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে কষ্ট করে এইচএসসি পাস করেছে। ছোট ভাই দশম শ্রেণীতে পড়ে। পিতা-পুত্র অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। এরপর লেখাপড়ার খরচ। পুলিশের কনস্টেবল পদের জন্য বগুড়া পুলিশ লাইনে দাঁড়িয়েছিল রফিকুল। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল সে। লিখিত পরীক্ষাও ভাল হয়েছিল। এরপর একজন দালাল তাকে বলেছিল ‘তোমার ফিগার ভাল, পরীক্ষাও ভাল দিয়েছ। আজকের মধ্যেই যদি তুমি ৫ লাখ টাকা দিতে পার তবে তোমার চাকরি হবে।’ রফিকুল টাকা দিতে পারেনি তাই চাকরিও হয়নি। রফিকুল পড়বে, সে সামর্থ্য তার দরিদ্র কৃষক পিতার নেই। তার ইচ্ছা, সে একটি চাকরি পেলে ছোট ভাইকে পড়াবে। কারণ ছোট ভাই সফিকুল ক্লাসে সেকে- হয়েছে। দেশে গরিব মানুষের সন্তানদের চাকরির স্বাভাবিক সুযোগ না থাকায় তারা বিদেশে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ধার-কর্জ করে কিংবা পিতার শেষ সম্বল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ যেমন- বসতভিটা বিক্রি করে, গরু-ছাগল, গাছ এমনকি ঘর বিক্রি করে টাকা তুলে দিচ্ছে দালালের হাতে। ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে লাশ হয়ে সমুদ্রে অথবা বিদেশের জঙ্গলের গণকবরে স্থান হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেনÑ প্রতিটি পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে চাকরি দেয়া হবে। নির্বাচনের পর যত ব্যক্তিকে চাকরি দেয়া হয়েছে, সেটি যদি হিসাব করা হয়, তা হলে সংখ্যাটি নিতান্ত কম হবে না। কিন্তু এই চাকরি সঠিকভাবে বণ্টন হয়নি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা ছিল নির্বাচনের সময়, তার সঠিক প্রয়োগ হলে চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকত না। পুলিশ, বর্ডার গার্ড, সেনাবাহিনী এবং ব্যাংকে প্রচুর লোক নিয়োগ হয়েছে। অন্যান্য বিভাগেও কর্মচারী-কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে সরকারী-বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সংবাদপত্রের মাধ্যমেই জানতে পারলাম, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরে এখনও প্রায় ৪ লাখ পদ শূন্য। এসব পদে লোক নিয়োগ জরুরী। শূন্য পদসমূহ পূরণ হলে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে। বেকারত্ব হ্রাস পাবে। এছাড়া সরকার যদি আন্তরিকতার সঙ্গে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে সচেষ্ট হয়, তা হলে সর্বত্র মঙ্গল। সারাবিশ্বে এখন লোক সঙ্কট। অনেক দেশে নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিক দরকার। গ্রীনল্যা-, নরওয়ে, সুইডেন, কানাডা, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বহু দেশে জনবল সঙ্কট চলছে। অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, রাশিয়াসহ আরব বিশ্বের বহু দেশে কৃষি শ্রমিক দরকার। আমাদের জনশক্তি রফতানি ব্যুরোকে আরও কার্যকরী করা দরকার। জনশক্তিকে যথার্থ শক্তিতে রূপান্তর করতে হলে কারিগরি শিক্ষার প্রসার দরকার। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি ইনস্টিটিউট করার সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে অতি দ্রুত। আমরা আমাদের জনশক্তি রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারব, যার দৃষ্টান্ত আমাদের বর্তমান অর্থনীতি। রেমিটেন্স আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছে। একই সঙ্গে চাকরি প্রদানে স্বচ্ছতা আনতে হবে। অন্যথায় জনদুর্ভোগ বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে অশান্তি, যা কারোরই কাম্য নয়। লেখক : সাংবাদিক [email protected]
×