ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত হতে পারেন বরিশালের মেয়র

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২২ মে ২০১৫

দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত হতে পারেন বরিশালের মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) মেয়র ও বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামালের। মেয়রের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, বিসিসির আওতাধীন সড়ক সংস্কারের ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেয়রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তে আগামী সপ্তাহে মাঠে নামবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সূত্র আরও জানায়, দুদকের তদন্ত রিপোর্টে মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পেলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলে ২০০৯ সালে প্রণীত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন (সিটি কর্পোরেশন) অনুযায়ী মেয়র সাময়িক বরখাস্ত হতে পারেন। তবে দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাদের কাছে মামলার কাগজপত্র পৌঁছায়নি। সূত্রটি আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে রবিবারের মধ্যে মেয়রের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নথিপত্র তাদের কাছে আসতে পারে। আদালতের নির্দেশের নথিপত্র হাতে পাওয়া মাত্রই দুদকের একটি টিম তদন্তে নামবে বলেও সূত্রটি উল্লেখ করে। মামলার বাদী নগরীর মেসার্স আলিফা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রফিউল ইসলাম জানান, গত ১৬ মার্চ এক স্মারকের মাধ্যমে নগরীর সড়ক, ড্রেন, বৈদ্যুতিক বাতি প্রকল্প বাবদ ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকার দরপত্র আহবান করে বিসিসি, যা পত্রিকায় বা বিসিসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। যে কারণে তিনিসহ অন্য ঠিকাদাররা ওই দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ফলে ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকার কোন কাজ না করে পুরো টাকা মেয়রসহ বিসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা কে. এম. নুরুল ইসলাম ও সাবেক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাস আত্মসাত করে। এ ঘটনায় রফিউল ইসলাম বাদী হয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মেয়রসহ ওই দুই কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে দুদক বরিশাল কার্যালয়কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। রফিউল ইসলাম আরও জানান, মামলা দায়েরের পর পরই মেয়র কামালের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি আপোস করার জন্য নানা প্রলোভন দিয়ে আসছে। দুদক বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক আরিফ সিদ্দিক বলেন, এ সংক্রান্ত নথিপত্র আদালত থেকে এখনও তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে আদালতের নির্দেশনার নথিপত্র হাতে পাওয়া মাত্রই বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
×