ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেষ চারে শেখ রাসেল, প্রতিপক্ষ শেখ জামাল

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

শেষ চারে শেখ রাসেল, প্রতিপক্ষ শেখ জামাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মৌসুম-সূচক ফুটবল আসর চলমান ‘ফেডারেশন কাপ’-এর শেষ চার অর্থাৎ সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে শিরোপা প্রত্যাশী শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ২-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ২০১২-১৩ মৌসুমের ফেডারেশন কাপ জয়ী শেখ রাসেল। আগামী ১ মার্চ টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে অপর শিরোপা প্রত্যাশী শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের সঙ্গে ফাইনালে ওঠার দ্বৈরথে অবতীর্ণ হবে ড্রাগান ডুকানোভিচের দল শেখ রাসেল। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর দারুণ চাপ সৃৃষ্টি করে খেলতে থাকে ‘অল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেল। চট্টলা আবাহনীর গোলমুখে ক্রমাগত আক্রমণ শাণাতে থাকে দলটি। ম্যাচের শুরুতেই প্রথম আক্রমণটিও করে তারা। ১৬ মিনিটে আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ সেলিমকে একা পেয়েও কাজের কাজ, অর্থাৎ গোল করতে ব্যর্থ হয় মিডফিল্ডার আবু ইউসুফ সিফাত। ২৫ মিনিটে ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলির ক্রসকে কাজে লাগাতে পারেননি রাসেলের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি। তার শট সাইড বারে লেগে ফিরে আসে। ২৯ মিনিটে এমিলির চোরা পাস থেকে বল পান সিফাত। কিন্তু তার শট বারের ওপর দিয়ে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় রাসেল। অবশেষে ৪১ মিনিটে প্রত্যাশিত গোলের দেখা পায় রাসেল। ডি-বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে জাহিদ হাসান এমিলির ক্রস থেকে গোল করেন কিংসলে চিগোজি (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতায় ফিরতে প্রাণান্ত চেষ্টা করে চট্টগ্রামের দলটি। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টাই পর্যবসিত হয় ব্যর্থতায়। উল্টো ৫৬ মিনিটে আরেকটি গোল হজম করে বসে তারা! রাসেলের ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল ৩০ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার চমৎকার শটে পরাস্ত করেন আবাহনীর গোলরক্ষক সেলিমকে (২-০)। নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হওয়াতে ২-০ গোলের জয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল। ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে শেখ রাসেল। গ্রুপ রানার্সআপ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাসেলের মতোই ২ খেলায় ছিল ৪ পয়েন্ট। কিন্তু রাসেলের গোল মুক্তির চেয়ে একটি বেশি। তাই গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকাতেই গ্রুপসেরা হয় রাসেল। গ্রুপ ম্যাচে তারা উত্তর বারিধারাকে ৫-০ গোলে হারায় এবং গোলশূন্য ড্র করে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে। পক্ষান্তরে ২ খেলায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে শেষ আটে নাম লেখায় চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারায় ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে, দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়।
×