ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাকৃবিতে পথশিশুদের মাঝে আলো ছড়াচ্ছে নৈশস্কুল

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

বাকৃবিতে পথশিশুদের মাঝে আলো ছড়াচ্ছে নৈশস্কুল

সংবাদদাতা, বাকৃবি ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের অসংখ্য এতিম, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে কে.বি নৈশ বিদ্যালয়। ঝরে পড়া কোমলমতি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত কে.বি নৈশ বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ২-৩ দিন সম্পূর্ণ বিনা খরচে লেখাপড়া শেখানোর পাশাপাশি সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার উপকরণ এবং পোশাক সরবরাহ করা হয়। জানা যায়, ১৯৯২ সালে কেবি নৈশ বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। বিদ্যালয়ের ভবনেই রাতেরবেলা সম্পূর্ণ বিনা খরচে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া শেখানো হচ্ছে। সারাদিন কাজ করে রাতে বই-খাতা নিয়ে পড়তে আসে আশপাশের সুবিধাবঞ্চিত অসংখ্য শিশু। যে সকল অভিভাবক শুধু দারিদ্র্যতার কারণে শিশুদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাতে পারছিলেন না; এটি তাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। বর্তমানে কেবি নৈশ বিদ্যালয়ে ৫ শিক্ষক রয়েছেন। বিদ্যালয়টির বর্তমানে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শংকর কুমার রাহা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রতিটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুই যেন অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষক ও কর্তকর্তাদের সাহায্যে শিশুদের মাঝে বিভিন্ন সময় শিক্ষা উপকরণসহ বস্ত্র বিতরণ করা হয়। নৈশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র শ্রেষ্ঠ জানান, সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন, বিভিন্ন হোটেল বা শিক্ষকদের বাসায় কাজ করে রাতে পড়তে আসে। বিদ্যালয়টিতে বাৎসরিক বাজেট মাত্র বিশ হাজার টাকা। এত অল্প টাকায় এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার পর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। এছাড়াও বিদ্যালয়টিতে কোন পায়খানা বা খাবার পানির টিউবওয়েল না থাকায় কষ্ট করতে হচ্ছে শিশুদের। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম আরও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করছেন। মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে চলছে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ। স্থানীয় সাংসদ নিম্নমানের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে কাজ বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও রহস্যজনক কারণে ঠিকাদারের লোকজন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া একাধিক পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয়রা কাজের বাধা প্রদানসহ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে পৌর মেয়র ও প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দেয়া সত্ত্বেও কোন সুফল মেলেনি। পৌর এলাকার মধ্যবদরপুর থেকে এমদাদ কাজীর বাড়ি পর্যন্ত ইটের সোলিং রাস্তার কাজ করছেন মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের অভিযোগ কয়েকদিন পূর্বে ঠিকাদারের লোকজন অতি নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা সলিংয়ের কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে ইতোমধ্যে পৌরসভার প্রকৌশলী আবু তালেবের কাছে অভিযোগ দেয়া সত্ত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বদরপুরের ইটের সোলিং রাস্তার কাজ অতি নিম্নমানের দেখে তিনি নিজেই বিস্ময় প্রকাশ করে নিম্নমানের ইট তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পৌরসভার প্রকৌশলী আবু তালেব বলেন, কতিপয় কাউন্সিলরদের কারণে কাজের গুণগত মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খান বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×