ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় প্রীতি ম্যাচ ১৮ ডিসেম্বর

আজ আসছে জাপান ফুটবল দল, প্রস্তুত বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

আজ আসছে জাপান ফুটবল দল, প্রস্তুত বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অসম ফুটবল শক্তির দল জাপান। তাদের ফিফা র‌্যাঙ্কিং আপাতত ৫৩ হলেও এশিয়াতে সেটা ১! আর বাংলাদেশের ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৬৩, এশিয়াতে ৩৩। দ্বৈরথে সুস্পষ্ট ফেবারিট নিঃসন্দেহে ‘ব্লু সামুরাই’ বাহিনীরাই। তারপরও নিজেদের মাটিতে খেলা হচ্ছে বলে স্বাগতিক বাংলাদেশের লক্ষ্য ম্যাচটা অন্তত ড্র করা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে জাপান অনুর্ধ-২১ জাতীয় ফুটবল দল। টিজি-১২১ ফ্লাইটযোগে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল (রা) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে দলটি। এরপর তারা চলে যাবে হোটেল সোনারগাঁওয়ে। এরপর বিকেলে বুয়েট মাঠে অনুশীলন করার কথা রয়েছে তাদের। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ওইদিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন চেয়েছিল ম্যাচটি ২০ তারিখে আয়োজন করতে। কিন্তু বাফুফের এ প্রস্তাবে রাজি নয় জাপান ফুটবল ফেডারেশন। কারণ তাদের ঘরোয়া লীগের খেলা আছে। তাই তাদের কথাই মানতে হয়েছে বাফুফেকে। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, তাদের কথা না শুনলে প্রীতি ম্যাচটি বাতিল হয়ে যেত। তবে জাপানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য বাফুফে আগেভাগেই তাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু করতে পারেনি। এর কারণ কিংস কাপে শেখ জামাল ধানম-ি এবং ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ভুটান খেলতে যায়। নিজ খরচে আসছে জাপান দল ॥ জানা গেছে, নিজেদের খরচেই জাপান দলটি আসছে এই প্রীতি ম্যাচ খেলতে। বাফুফে তাদের হোটেলে থাকার খরচ দিতে চাইলেও সেটি নেয়নি তারা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল। জাপানের দলটি অনুর্ধ-২১ দলের ২২ জনের মধ্যে ২১ জনই খেলেন জাপানের ‘জে’ লীগে। অচিরেই এই দল থেকে জাতীয় দলে ঢোকার অপেক্ষায় একাধিক ফুটবলার। মূলত আগামী ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই এই দলটিকে গড়ে তুলছে জাপান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশে প্রীতি ম্যাচ খেলা তাদের সেই প্রস্তুতিরই অংশ। বাংলাদেশে আসার আগে থাইল্যান্ডের অনুর্ধ-২২ দলের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে এসেছে জাপান দল (সেখানে তারা জিতেছে ২-০ গোলে)। বাংলাদেশের লক্ষ্য ॥ এই ম্যাচকে সামনে রেখে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ক্যাম্প শুরু করছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। জাপান দলটি অনেক কঠিন হলেও তাদের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। তবে আগামী দিনের বিশ্বকাপের তারকাদের বিপক্ষে ড্র করতে পারলেও সেটা সম্মানজনকই হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। ফিরেছেন মামুনুল ॥ বাংলাদেশ দলের সেরা খেলোয়াড় মামুনুল ইসলামের এ ম্যাচ খেলা এতদিন অনিশ্চিত থাকলেও সোমবার রাতে ঢাকায় ফিরেছেন মামুনুল। তাই এ ম্যাচে দেখা যাবে তাঁকে। ‘এ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা কর্তৃপক্ষ বাফুফেকে জানিয়েছিল, তারা মামুনুলকে ছাড়বে কিনা, ছাড়লে কবে ছাড়বেÑ এ বিষয়টি জানিয়ে শুক্রবারের মধ্যে ফোন করবে বা ই-মেইল করবে।’ কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তারা কিছুই জানায়নি। উল্লেখ্য, মামুনুল বর্তমানে ‘ইন্ডিয়ান সুপার লীগ’-এ এ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার হয়ে খেলতে কলকাতায় গিয়েছিলেন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের অধিনায়ক মামুনুল। কিন্তু এখনও একটি ম্যাচেও তাঁকে খেলানো হয়নি। এদিকে ডি কলকাতা আবার সেমিফাইনালেও উঠেছে। এ জন্য দরকার হতে পারে বলে ক্লাবটি মামুনুলকে ছাড়বেও না, প্রথমে শোনা গিয়েছিল এমনটাই (ক্লাবটির সঙ্গে মামুনুলের চুক্তি আছে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত)। ফলে জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল মামুনুলের জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। মাঠের অবস্থা, টিকেটেও লটারি ॥ ম্যাচ শুরুর আর মাত্র একদিন বাকি। এর মধ্যে প্রায় সব রকম প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আপাতত কোন ম্যাচ না রেখে যতটা সম্ভব প্রস্তুত করা হচ্ছে। জাপানের মতো দলের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যাচ। উপভোগ্য এই ম্যাচ দেখতে মুখিয়ে আছেন দেশের ফুটবল দর্শকরা। দর্শকদের জন্য আজ থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে রিক্সা দিয়ে ম্যাচের টিকেট বিক্রি করার ব্যবস্থা করছে বাফুফে। ম্যাচের টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে সাধারণ দর্শকদের হাতের নাগালেই। গ্যালারি ৩০ এবং ভিআইপি ৬০ টাকা। দর্শকদের সব থেকে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে ম্যাচের প্রতিটি টিকেটের সঙ্গে একটি করে লটারির টিকেট দিচ্ছে বাফুফে। লটারির টিকেটের মূল্যই বিশ টাকা! বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ২৫ হাজার। তবে প্রাথমিকভাবে জাপান-বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচের জন্য ২০ হাজার টিকেট ছাড়ছে বাফুফে। ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের গেটেও টিকেট পাওয়া যাবে। জাপান দলের খেলোয়াড়রা ॥ জাপান অনুর্ধ-২১ দলের বিশেষত্ব হচ্ছে, এই দলটির অনেকের উচ্চতা ছয় ফুটের বেশি। গোলরক্ষক ছয় ফুট চার ইঞ্চি, একজন স্ট্রাইকার ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। দুই সেন্টার ব্যাকও ছয় ফুটের বেশি।
×