ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সিট ইজেকশনের পরেও কেন মারা যান ফাইটার প্লেনের পাইলট!

প্রকাশিত: ২১:০৩, ২৮ জুলাই ২০২৫

সিট ইজেকশনের পরেও কেন মারা যান ফাইটার প্লেনের পাইলট!

ছবি: সংগৃহীত

হলিউড বা বলিউডের সিনেমায় ফাইটার জেট থেকে সিট ইজেকশন খুব সহজ ও নাটকীয়ভাবে দেখানো হয়। বাস্তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয়। সিট ইজেকশন সিস্টেম একটি যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রযুক্তি যা পাইলট বা ক্রুকে জরুরি অবস্থায় দ্রুত বিমানের বাইরে নিয়ে আসে।

 

 

যখন বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে বা শত্রুপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়, তখন পাইলট সিটের পাশে থাকা লিভার টেনে ধরেন। মাত্র দুই সেকেন্ডের মধ্যেই এই প্রযুক্তি সক্রিয় হয়। প্রথমে ককপিটের উপরের কাচের ছাদ ছিটকে পড়ে যায়, তারপর সিটের নিচে থাকা রকেট প্রযুক্তির মাধ্যমে পাইলটের সিটটিকে ২০০ থেকে ২৫০ ফুট ওপরে ছুড়ে দেয়। সিটে থাকা সেন্সর পাইলটের উচ্চতা নির্ণয় করে এবং সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর বা সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসুট খুলে যায়। প্যারাসুট খোলার পর পাইলট সিট থেকে আলাদা হয়ে যান। পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র তিন সেকেন্ডে সম্পন্ন হয়।

 

 

তবে এত দ্রুত ও তীব্র গতির এই প্রক্রিয়াটি নিজেই হয়ে ওঠে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সিট ইজেকশনের সময় একজন পাইলটকে ১৪ থেকে ১৬ জি-ফোর্স সহ্য করতে হয়, যেখানে সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে গড় জি-ফোর্স মাত্র ১.৩। এই বিপুল পরিমাণ চাপের ফলে পাইলটের কাঁধ, পাজর কিংবা মেরুদণ্ডে মারাত্মক আঘাত লাগতে পারে। অনেক সময় পাইলট জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, কেউ কেউ চিরতরে পঙ্গুও হয়ে যান। এমনকি সঠিক উচ্চতা না থাকলে, প্যারাসুট না খুললে বা নিচে পানির পরিবর্তে শক্ত ভূমি থাকলে পাইলট মৃত্যুর মুখে পড়েন।
 

ছামিয়া

×