
ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পৃথক দূর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে। এরা হলো, ট্রেনে কেটে আঞ্জুয়ারা খাতুন আমচি (৫৫) নামে এক নারী ও সড়ক দূর্ঘটনায় রুহুল আমিন (৪০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। আজ বুধবার সকালে পৃথক পৃথক স্থানে এ দুটি ঘটনা ঘটে। নিহত আঞ্জুয়ারা খাতুন আমচি কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ঈশ্বরবা গ্রামের মর কোরবান আলীর মেয়ে। সে একজন প্রতিবন্ধি। অন্যদিকে নিহত রুহুল আমিন কোটচাঁদপুর উপজেলার শিশারকুন্ডু গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। মৃতদেহ যশোর রেল পুলিশ ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বুধার সকাল ৯টার দিকে নির্মাণ শ্রমিক রুহুল আমিন মোটরসাইকেল যোগে কালীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঈশ্বরবা-কাশিপুরের মাঝামাঝি মাঠের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইঞ্জিন চালিত নসিমন গাড়িতে ধাক্কা মারে। এতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
অপরদিকে মোবরকগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার তৌহিদুর রহমান বলেন, আঞ্জুয়ারা খাতুন মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি মঙ্গলবার রাতেও স্টেশন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ৭৪৭ নম্বর ট্রেনে কাটা পড়েন। পরে যশোর থেকে জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।
যশোর রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আঁখি