
ছবি: সংগৃহীত।
দাম্পত্য জীবনে নিত্য অশান্তি, ঝগড়া কিংবা আবেগের টানাপোড়েন- এসব সমস্যার সমাধানে অনেকে নানা রকম উদ্যোগ নেন। কেউ সঙ্গীকে নিয়ে বেড়াতে যান, কেউ উপহার দেন বা সারপ্রাইজ়ের আয়োজন করেন। তবে মনোবিদ ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্ককে উষ্ণ ও সজীব রাখতে ঘরের পরিবেশ, বিশেষ করে শোয়ার ঘরে সামান্য পরিবর্তনই অনেক সময় এনে দিতে পারে আশানুরূপ ফল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের ব্যস্ততা ও মানসিক চাপের মাঝে দাম্পত্য জীবনে অবহেলা আসাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দৈনন্দিন রুটিনে ও আবাসিক পরিসরে কিছু ছোট্ট পরিবর্তন আনা জরুরি।
নিম্নে তুলে ধরা হলো এমন ৫টি কৌশল, যা দাম্পত্য জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে-
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
শোয়ার ঘরটি যেন কোনওভাবেই অগোছালো না থাকে। খাটের ওপর তোয়ালে, মেঝেতে মোজা, এলোমেলো ড্রেসিং টেবিল- এসব অভ্যাস দ্রুত বদলানো জরুরি। ঘর যত গোছানো ও পরিপাটি থাকবে, ততই মানসিক প্রশান্তি বাড়বে এবং ঘরের পরিবেশ হয়ে উঠবে রোমান্টিক।
২. বিছানার সাজে আনুন সতেজতা:
পুরনো, বিবর্ণ চাদর ব্যবহার না করে উজ্জ্বল রঙের- যেমন লাল, গোলাপি বা নীল রঙের চাদর ব্যবহার করুন। হালকা রঙের প্রেমিক হলে সাদা বা প্যাস্টেল শেডের চাদরও উপযোগী হতে পারে। বিছানায় রাখুন কয়েকটি আরামদায়ক বালিশ এবং মানানসই রঙের কমফর্টার।
৩. আলো-আঁধারির পরিবেশ তৈরি করুন:
ডিম লাইট, মোমবাতির আলো কিংবা ছোট টুনি লাইট ব্যবহার করে ঘরে আলোর নান্দনিকতা আনুন। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে এমন আলোর আবহ সম্পর্কের আবেগকে আরও গভীর করতে পারে।
৪. ব্যক্তিগত স্পর্শ যোগ করুন:
ঘরে রাখুন সঙ্গীর পছন্দের কিছু ছবি, স্মৃতিময় উপহার বা প্রিয় সুগন্ধি মোমবাতি। এমন ছোট ছোট উপাদানও ঘরের আবহে উষ্ণতা বাড়ায়।
৫. প্রযুক্তি দূরে রাখুন:
ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টিভি স্ক্রিনে সময় না দিয়ে বরং সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন, সময় কাটান। প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ কমালেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্য জীবন রাঙাতে বড় কোনও আয়োজনের প্রয়োজন নেই। ঘরের পরিবেশে সামান্য যত্নই যথেষ্ট প্রেম-ভালবাসাকে আগের মতোই ফিরিয়ে আনতে।
মিরাজ খান