
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজশাহী মহানগরীর চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বকেয়া বিল না পাওয়ায় সমাবেশ করে বুধবার সব উন্নয়নকাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ঠিকাদাররা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সপুরা এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে সমাবেশ করে তারা এ ঘোষণা দেন।
ঠিকাদাররা দাবি করেন, তাদের বিলের প্রায় আড়াইশ ফাইল আড়াই মাস ধরে টেবিলে ফেলে রেখেছেন সিটি করপোরেশনের সচিব রুমানা আফরোজ। এতে ১৫ জন ঠিকাদারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা আটকে আছে। পাওনা টাকা না পেয়ে তারা কাজের শ্রমিকের মজুরি দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাদের উপায় নেই।
রেজাউল করিম নামের একজন ঠিকাদার বলেন, ‘গত ২০ জুলাই আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বিল ছাড় করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এরপরও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনারও প্রয়োজন বোধ করেননি। ফলে আমাদের এখন কাজ বন্ধ করতে হচ্ছে।
আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) শ্রমিক ও সর্দারদের নিয়ে নগর ভবনের সামনে সমাবেশ করা হবে জানিয়ে ঠিকাদার অপর সালাহউদ্দিন গাজী বলেন, শহরে চারটি ফ্লাইওভার, ছয়টি কাঁচাবাজারসহ বেশকিছু রাস্তার কাজ চলছে। আমরা মাসে মাসে বিল নিয়ে কাজ করি। কিন্তু নতুন প্রশাসন কোন বিলই ছাড়ছে না। এ অবস্থায় শ্রমিকেরা টাকার জন্য বাড়ির সামনে চলে আসছে। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। তাই কাজ বন্ধ ছাড়া উপায় নেই।’
ঠিকাদাররা বলেন, সিটি করপোরেশন আমাদের ভ্যালুলেস হিসেবে ট্রিট করছে। একজন পিয়নের দাম আছে, আমাদের নেই। টাকা বিনিয়োগের পর বিল না পেয়ে ঠিকাদারদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সমাবেশ শেষে ওই এলাকার ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাসেল ইসলাম। পাশাপাশি অন্য ঠিকাদাররাও তাদের সব কাজ বন্ধের ঘোষণা দেন। এ সময় ঠিকাদার হাফিজুল ইসলাম, বেলাল খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি রাসিকের সচিব রুমানা আফরোজ।
তবে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, কোথায় ঠিকাদারদের ২৫০ ফাইল আটকে আছে আমি জানি না। বিল আটকে থাকলে তো তারা আমাদের জানাতেন। আমাকে কেউ তো জানাননি বলে দাবি করেন তিনি।
আঁখি