
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পোড়াগাঁও হাজী নুরুল হক মৈত্রী কলেজে একাদশ শ্রেণির ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা দেওয়ার সময় আসনে বসা নিয়ে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোক্তারসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করছেন ভুক্তভোগী শাকিলের পিতা খায়রুল ইসলাম। মামলায় উল্লিখিত ১০ জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নন্নী পোড়াগাঁও হাজী নুরুল হক মৈত্রী কলেজে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, বর্তমানে নন্নী-পোড়াগাঁও হাজী নুরুল হক মৈত্রী কলেজে একাদশ শ্রেণির ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষায় আসনে বসা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নন্নী উত্তরবন্দ গ্রামের ফরহাদ নামে এক পরীক্ষার্থীকে একই শ্রেণির ও উপজেলা শহরের খালভাঙ্গা এলাকার অপর পরীক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম আকাশ ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় ফরহাদ কিছুটা আঘাত পায়। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। একপর্যায়ে ফরহাদের বন্ধু শাকিল এর প্রতিবাদ করলে আমিনুল ইসলাম আকাশ ওই কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুৃর রহমান মোক্তারকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে মোক্তার ও তার সহযোগীরা কলেজে ছুটে যান। কলেজে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ শাকিলকে মারধর ও ক্ষুর দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনার সময় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় এলাকাবাসী হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে চাইলে তারা কলেজের অফিস কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সংঘর্ষে আহত শাকিল বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফসানা আল আলম মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওইসময় এ ঘটনায় কলেজের চার শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ মোট ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভিকটিমের বাবা খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার আটককৃত কলেজ শাখা ছাত্রদল সভাপতি মোক্তারসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।