
ফসলি জমির মাঝখানে ‘অবিচ্ছিন্ন’ সেতুটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের জন্য
মেহেরপুর জেলার বেতবাড়িয়া ও কুষ্টিয়ার মধুগাড়ি গ্রামের মানুষের জন্য মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ২০২০ সালে সেতু নির্মাণ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালে নির্মাণ শেষ হলেও, দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তৈরি হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক।
মূল সমস্যা—জমি অধিগ্রহণ হয়নি সেতুর এপারে, ফলে ফসলি জমির মাঝখানে ‘অবিচ্ছিন্ন’ সেতুটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের জন্য।
সরাসরি সংযোগ না থাকায় মানুষকে অত্যন্ত কষ্টে সেতু পার হতে হচ্ছে। অনেকে প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন, ফসল ও মালামাল নিয়ে যেতে ঘুরে চলতে হচ্ছে ৯ কিলোমিটারের বেশি পথ। অথচ এই সেতুটি তৈরি হয়েছিল দুই গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত ফসল সহজেই পরিবহনের জন্য।
সেতুর মধুগাড়ি প্রান্তে সংযোগ সড়ক তৈরি হলেও বেতবাড়িয়া প্রান্তে জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কোনো সড়ক হয়নি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমির মধ্যে সেতুটি একা দাঁড়িয়ে আছে—যেন অব্যবহৃত এক স্থাপনা।
গ্রামবাসীরা এলজিইডি কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং জমির মালিকদের অসম্মতি—উভয় পক্ষকেই দায়ী করছেন। তবে জমির মালিকদের দাবি, তারা এক বছর ধরে জমি দিতে চেয়ে এলজিইডির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে সরাসরি কোনো সদুত্তর দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান, এবং খুব শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ শুরু হবে।
শেখ ফরিদ