ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

মিটফোর্ডের ঘটনায় বরিশালে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ১২ জুলাই ২০২৫

মিটফোর্ডের ঘটনায় বরিশালে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের তিন নম্বর ফটকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে পৃথকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে এবং নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় ছাত্র-জনতার ডাকে এ বিক্ষোভ মিছিল করে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হল থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ১০ মিনিট অবরোধ করে বিক্ষোভ শেষে গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, “যুবদল মানুষ মারে-তারেক রহমান কি করে”, “যুবদল মানুষ মারে-বিএনপি কি করে”।

ববি’র রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহম্মেদ বলেন, “গত ৯ তারিখ যে ঘটনা ঘটেছে, জুলাই পরবর্তী সময়ে এসে এ ধরনের ঘটনা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। আবার যদি কেউ নতুনভাবে আওয়ামী স্টাইলে ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম চালাতে চায়, তাহলে আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদ আহমেদ বলেন, “নব্য কোনো ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় আর হবে না। যারাই ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে, তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।”

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার সায়েম বলেন, “আমরা এই নতুন বাংলাদেশে এসেও এখনো আমাদের মিডিয়াগুলো বিক্রীত। আমরা দেখেছি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দুই দিন আগের, কিন্তু কোনো মিডিয়া এ বিষয়ে কথা বলেনি। আমরা আজকের এই বিক্ষোভ থেকে বলতে চাই, বিএনপি-আপনারা সতর্ক হয়ে যান, অন্যথায় আপনাদের অবস্থা আওয়ামী লীগের থেকেও করুণ হবে।”

অপরদিকে একইদিন রাত সাড়ে দশটার দিকে শহরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় ছাত্র-জনতার ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এ সময় প্রতিবাদকারীরা সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

তারা অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী হত্যা, লুটপাট ও নৈরাজ্য করছে। অবিলম্বে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে সড়ক অবরোধের কারণে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল প্রধান কাজী জায়েদ বলেন, “দেশব্যাপী নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে আমাদের এই বিক্ষোভ মিছিল। সোহাগকে যেভাবে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নির্মম ও ভয়ঙ্কর। আমরা পুনরায় কোনো ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন চাই না।”

মিমিয়া

আরো পড়ুন  

×