ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

বিদ্যালয়ে কিশোর গ্যাং আতঙ্ক, ভিডিও ভাইরাল

ইমামুল মিল্লাত, শেরপুর, বগুড়া

প্রকাশিত: ২১:০৯, ১১ জুলাই ২০২৫

বিদ্যালয়ে কিশোর গ্যাং আতঙ্ক, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের আগেই এক শিক্ষার্থীকে ঘিরে ধরে কয়েকজন সহপাঠী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় মারধর। পাশেই আরেকজন সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বগুড়ার শেরপুরে ভীমজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একাধিক সহপাঠী মিলে মারধরের এই ঘটনাটি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিদ্যালয় ও এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, চারজন ছাত্র মিলে এক ছাত্রকে চড়-ঘুষি মারছে এবং তা মোবাইলে ধারণ করছে।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মারধরের শিকার শিক্ষার্থী ভীমজানি এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত চারজনও একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের ভেতর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সহপাঠীদের হুমকি দেওয়া, মারধর করা এমনকি দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয় দেখানো তার নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, অভিযুক্ত ওই ছাত্র প্রায়ই চাকু নিয়ে স্কুলে আসে এবং কথা না শুনলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।

স্থানীয় এক যুবক বলেন, শুধু স্কুলেই নয়, এলাকাতেও তার ভয়ঙ্কর প্রভাব রয়েছে। কিছুদিন আগে তার এক বন্ধুকে চাকু দিয়ে আঘাত করার অভিযোগও আছে। এমনকি সম্প্রতি চুরিকাঘাতে আহত হয়ে একজন হাসপাতালে ভর্তি আছে, সেই ঘটনার সাথেও তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী জানায়, পরীক্ষা শেষে হঠাৎ ডেকে নিয়ে আমাকে মারধর করেছে ওরা। কেন মারছে, সেটাও জানি না।

অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, আমার এক আত্মীয়াকে সে বিরক্ত করেছিল। তাই ওকে শাসন করেছি, চড়-থাপ্পড় মেরেছি। তবে চাকু নিয়ে ঘোরাফেরা বা হুমকির অভিযোগ মিথ্যা।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একেএম জহিরুল ইসলাম জানিয়েছে, ঘটনাটি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। একইসাথে স্কুলের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান অভিযুক্তকে ছাড়পত্র দিয়ে স্কুল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর মারধরে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের সতর্কতা ও শাসনমূলক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

আসিফ

×