
দৈনিক জনকণ্ঠ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নুরু মণ্ডল পাড়ার একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল।
প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ—বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ—এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করলেও এর সংস্কারে ছিল না কোনো কার্যকর উদ্যোগ।
অবশেষে স্থানীয়দের অভিযোগ ও দৈনিক জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সাঁকো পরিদর্শন করেন এবং জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে জরুরি ভিত্তিতে সাঁকোটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইদিনে শুরু হয় সংস্কার কাজ।
বর্ষার শুরুতে পুরোনো ও দুর্বল বাঁশ ভেঙে পড়ায় সাঁকোটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে, ফলে কৃষিপণ্য পরিবহনসহ নানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে।
এই অবস্থায় প্রশাসনের এই উদ্যোগে ব্যাপক স্বস্তি ফিরে এসেছে স্থানীয়দের মধ্যে।সাঁকো পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি বিলাস ব্যাপারী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক ব্যাপারী। তারা সাঁকো সংস্কারে প্রশাসনের ত্বরিত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বর্ষা মৌসুমে সাঁকো পারাপার ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের জন্য। এমন এক সংকটময় সময়েই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ও আস্থার বার্তা পৌঁছেছে।
ইউএনও নাহিদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে সাঁকোটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি স্থায়ীভাবে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি শুধু একটি সাঁকো মেরামতের কাজ নয়, বরং দীর্ঘদিনের একটি প্রাণান্তকর সমস্যা সমাধানের পথে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী সেতু নির্মিত হলে এটি এলাকার টেকসই ও নিরাপদ যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
হ্যাপী