ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

২কোটি ২৯ লাখ  টাকার সড়ক, বছর না যেতেই বেহাল 

আব্দুল্লাহ আল মারুফ,সাতকানিয়া,চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২০:১৯, ১০ জুলাই ২০২৫

২কোটি ২৯ লাখ  টাকার সড়ক, বছর না যেতেই বেহাল 

ছবি: জনকণ্ঠ

চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের থকে ও আমিলাইশ সরোয়ার বাজার যাওয়ার সড়ক টি ছিল  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। নির্মাণে ব্যয় করা ২ কোটি ২৯ লাখ  টাকা এক বছরের মধ্যে জলাঞ্জলি হয়ে গুটিগুটি পাথর উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, মাত্র এক বছর আগে নির্মিত সড়কটি এখন এমনভাবে কার্পেটিং ওঠে  যাচ্ছে যে, আগামী আর এক বছর চলাচলের জন্য পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে যাবে ।আসন্ন বর্ষায় সড়কটির অবস্থার আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

 

 

বৃহস্পতিবার ( ১০ জুলাই ) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, এবং কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ফেটে গেছে। এই অবস্থায় সড়কটি শীঘ্রই চলাচলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

এলাকাবাসী জানান,সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সড়কটি উপজেলার কাঞ্চনা,ফুলতলা থেকে খোদার হাট পর্যন্ত বিস্তৃত, এবং এর নির্মাণে  কাসেম কন্ট্রাকশন এলজিডি সাইক্লোন আমফান ফ্লোর ডিমেন্স রুলান, প্রকল্পের  অধীনে,২কোটি ২৯,লাখ টাকার বাজেট নির্ধারিত ছিল। তবে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 
কাশেম কন্ট্রাকশন নির্মাণ কাজের সময় বেশ কয়েকবার নির্ধারিত মেয়াদ পেরিয়ে যায়, এবং কাজ শেষ হওয়ার পরই সড়কটি নষ্ট হতে শুরু করে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ ছিল নিম্নমানের, এবং প্রয়োজনীয় তদারকি ছিল না। এ কারণে এক বছরের মধ্যেই সড়কটি ভেঙে পড়েছে, যা সরকারের টাকার অপচয় হিসেবে দেখছেন তারা।

 

 

এলাকাবাসীর দাবি,
 এই সড়কটি,আনোয়ারা  বাশখালী,আমিলাইশ,চন্দনাইশ,পটিয়া দোহাজারী,
বৈলতলী শহর ঢাকাসহউপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের পথ। তবে, রাস্তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন।

সাতকানিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে
বলেন,এভাবে রাস্তা খারাপ হওয়ার কথা ছিল না। যদি রাস্তা চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে থাকে, তবে লিখিতভাবে অভিযোগ পাইলে আমরা কার্যকরী পদক্ষেপ নিব তবে রাস্তায় দুই পাশে ভরাট হয়ে যাওয়ায় কিছু অংশ পানি জমে রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে,রাস্তায় যাতে পানি জমাট না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। 

 

 

এদিকে,চট্টগ্রাম  জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, মোহাম্মদ হাসান আলী বলেন, এই বিষয়ে তেমন আমি অবগত নয়,উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাসেম কন্ট্রাকশনের,সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের প্রতিনিধি সাগর বলেন,আমাদের লোক পাঠিয়ে বিষয়টা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। 
 

ছামিয়া

×