
ছবিঃ সংগৃহীত
আজ (১০ জুলাই) রাত ১টায় টঙ্গী বাজার বিআরটি ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আবারও এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে।
সাথে থাকা পরিচয়পত্রে তার নাম মাহফুজুর রহমান (২০), পিতা ফরিদ উদ্দিন, মাতা কহিনূর বেগম বলে জানা গেছে। সে বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
তার কোনো অভিভাবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লাশটি টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে পড়ে আছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ঢাকা-টঙ্গী-গাজীপুর-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টঙ্গী বিআরটি ফ্লাইওভারটি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
ছিনতাইকারীদের আক্রমণে গত এক বছরে টঙ্গী বিআরটির এই উড়াল সড়কটিতে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বাসযোগে আসা ছাত্র মাহফুজুর রহমান টঙ্গী বাজার এলাকার উড়ালসড়কে নামেন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারী দল তার উপর হামলে পড়ে।
তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা দিতে অস্বীকার করলে জোর করে নেওয়ার সময় মাহফুজ ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে তারা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
দীর্ঘক্ষণ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল তার রক্তাক্ত দেহ।
গভীর রাতে এ পথে যাওয়া গাড়ির চালকরা তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে গাড়ি থামিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় টঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ডাক্তাররা মাহফুজকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। ডাক্তাররা জানান, ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
মোটরসাইকেল নিয়ে আসা ছিনতাইকারীরা মুহূর্তে পথচারী ও বাসযাত্রীদের উপর হামলে পড়ে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন ও মালামালসহ সব কিছু ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে।
বাধা দিলে চলে ছুরিকাঘাত ও মারধরের ঘটনা। এতে হতাহত হচ্ছেন বিআরটির এই সড়ক পথে চলাচলকারীরা।
ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাসা, “আর কত প্রাণ গেলে থামবে ছিনতাইকারীদের এমন দৌরাত্ম্য?”
মারিয়া