ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

মিরসরাইয়ে ভাগিনার ছুরিকাঘাতে মামা খুন

ফিরোজ মাহমুদ মিরসরাই, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ৯ জুলাই ২০২৫

মিরসরাইয়ে ভাগিনার ছুরিকাঘাতে মামা খুন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৈঠকের মধ্যে আপন ভাগিনার (বোনের ছেলে) ছুরিকাঘাতে মামা হারুন অর রশিদ (৪৫) খুন হয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম তালবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন ওই এলাকার মো. সেকান্দারের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ভাগিনা শাহীন আলম পলাতক রয়েছে।

ভাগিনা শাহীন আলম একই বাড়ির মো. হালিমের ছেলে। নিহত হারুনের দুই সন্তান রয়েছে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী। কিছুদিন আগে ছুটিতে দেশে ফিরেছেন।

নিহত হারুনের জ্যাঠাতো ভাই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমার চাচা সেকান্দারের একটি জায়গা নিয়ে চাচাতো ভাই হারুন ও তার বোন শাহানার সঙ্গে হাঁটার পথ ও পানি যাওয়ার বিষয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের মীমাংসার জন্য বুধবার (৯ জুলাই) আসরের নামাজের পর তাদের বাড়িতে বৈঠকে বসি। বৈঠকে বোন-ভাগিনার সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ভাগিনাকে মামা একটি চড় মারেন। এরপর ভাগিনা ঘরে গিয়ে ছুরি নিয়ে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মামার বুকে ছুরিকাঘাত করে। দ্রুত আমরা গাড়িতে করে মিরসরাই সেবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

আনোয়ার আরও বলেন, “হারুনের বোন খুব খারাপ প্রকৃতির। বৈঠকের শুরু থেকেই উত্তেজিত ছিল। ছেলে ছুরিকাঘাত করার পর মা কৌশলে তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। আমরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রুম্মান জানান, “ভিকটিমকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা করে দেখি, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতের গভীর আঘাত রয়েছে।”

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, “হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের তিনটি টিম আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। নিহত হারুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

মিমিয়া

×