ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম সরকার পাড়ায় এক ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক পরিবারের অসহায় মেয়ের বিয়েতে পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নাহিদুর রহমান। শুধু আর্থিক সহায়তাই নয়, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করেন।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে। স্থানীয় নারায়ণ শীল নাড়ুর মেয়ে সুমিত্রা শীলের বিয়ে হয় গোয়ালন্দ বাজার এলাকার দাসপট্টি মহল্লার বিকাশ দত্তের সঙ্গে। দরিদ্র বাবা নারায়ণ শীল বিয়ের খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এগিয়ে আসে স্থানীয় যুবসমাজ।
স্থানীয় সাংবাদিক ও গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ঘটনাটি ইউএনও নাহিদুর রহমানকে জানালে তিনি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম কনেকে বিয়ের একটি শাড়ি উপহার দেন।
বিয়ের রাতে ইউএনও নিজে উপস্থিত হয়ে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং প্রশাসনের এমন মানবিক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইলি অবজারভার গোয়ালন্দ প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, কালবেলা প্রতিনিধি রাকিবুজ্জামান রাকিব, জেলা যুবদলের যুগ্ম সদস্য সচিব মুরাদ আল রেজা, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, পৌর মহিলা দলের সভাপতি রাজিয়া দেলোয়ার প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন, “উপজেলা প্রশাসন সবসময় অসহায় ও দুস্থদের পাশে থাকে। এই মেয়ের বিয়েতে পাশে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
স্থানীয়রা বলছেন, এই সহানুভূতিশীল ভূমিকা গোয়ালন্দে প্রশাসন ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।
ফারুক
