
কর্মস্থলে নানা অনিয়ম ও অভিযোগের কারণে জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকারকে বদলির আদেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক অফিস আদেশে পাটগ্রাম উপজেলা থেকে তাকে সুনামগঞ্জ সদরে বদলি করা হয়।
জানা যায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষকের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থ কর্তন, দায়িত্বে অবহেলা, ফাইল আটকে রাখা, অসংলগ্ন কথাবার্তাসহ নানা অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জনকণ্ঠ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলির সিদ্ধান্ত নেয়।
অফিস আদেশে আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ১৫ জুলাই থেকে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বদলির এ খবরে উপজেলার শিক্ষক সমাজে স্বস্তি নেমে এসেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, পাটগ্রাম উপজেলায় একজন সৎ ও শিক্ষাবান্ধব শিক্ষা অফিসার দ্রুত যোগদান করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জানুয়ারি-জুন) বরাদ্দ অনুযায়ী বিদ্যালয়প্রতি বিভিন্ন খাতে ১৫ হাজার ৭৫৫ টাকার স্বল্প পরিমাণের অর্থ থেকে কর্তনের অভিযোগ করেছেন উপজেলার নিলুফার ইয়াছমিন কেয়া, হরিদয়াল রায়সহ একাধিক শিক্ষক। তারা জানান, মুলত হয়রানি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে এ অর্থ দিয়েছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও কয়েকজন শিক্ষকও একই অভিযোগ করেন।
যদিও এ বিষয়ে জ্যোতির্ময় সরকার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “যে দিয়েছে সে অপরাধী, যে নিয়েছে সেও অপরাধী। সে নিজে বাঁচতে স্যারের (আমার) দোষ দিয়েছে। মনে করেন, আপনি ভাউচারগুলো নেবেন, ওয় (জসিম-অফিস সহায়ক) ভাউচার ফটোকপি করবে, লিখবে দুটো কলম, তাতে যদি আপনি ১শ’ টাকা (খুশি করে) দেন, সেটা যদি বলেন আমি কয়া (বলেছি), সেটা ঠিক নয়। স্যারেরা যদি দেন, তাহলে কিছু করার নেই।”
মিমিয়া