
ছবি: জনকণ্ঠ
বিজয়নগর উপজেলায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি, নদীর পাড়, টিলা ভূমির মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা, পুকুর ও ফসলি জমিতে। ভরাট করা হচ্ছে পুকুর ও ফসলি জমি। এভাবে জমির মাটি কাটার ফলে আবাদি জমির উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে মাটির জৈব গুণাগুণ। নীচু হয়ে যাচ্ছে কৃষিজমি। গতবছরেও যে পুকুরে মাছ ছিল ভরপুর এখন তার অস্তিত্ব নেই। একের পর এক ভরাট হচ্ছে পুকুর। এভাবেই পাল্টে যাচ্ছে উপজেলার দৃশ্যপট। যার ফলে পুকুরের মাছ ও জমির ফসল হারাতে বসেছে প্রজন্ম। জীববৈচিত্র্য রয়েছে খুমকির মুখে।
তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা, রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে খানাখন্দ। রাতের বেলা ভেকু (এক্সক্লেভেটর) দিয়ে মাটার কাটার ও ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে ইঞ্জিনের বিকট শব্দে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে শিশু-বৃদ্ধসহ সকলের।
উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ইট পুড়ানোর মৌসুম শুরুর আগে থেকেই শুরু হয় ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার প্রতিযোগিতা। গত ১৭ বছরের তুলনায় ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর মাটি কাটা হয়েছে দ্বিগুণ। উপজেলা ভবনের আশে পাশেই অনেক পুকুর ভরাট করা হয়েছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, অধিক অর্থের লোভে না বুঝে অনেক কৃষক মাটি বিক্রি করছে। এতে তারা সাময়িক লাভবান হলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসলি জমির ওপরিভাগের মাটিতেই সব উর্বরতা থাকে। তাই কোনোভাবেই এ মাটি কাটা যাবে না।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধনা ত্রিপুরা বলেন, বেশির ভাগ মাটি কাটে রাতের আঁধারে। পদে পদে তাদের লোক থাকায় অভিযানে যাওয়ার আগেই তারা টের পেয়ে যায়। তারপরও আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
সাব্বির