
প্রতীকী ছবি
ঢাকার নবাবগঞ্জ বাজারের ইজারাদার হুমায়ুন চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ইজারাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও বাজারের চান্দিনা ভিটি বরাদ্দ বাবদ মোটা অংকের অর্থ ও অতিরিক্ত কর আদায়সহ ব্যবসায়ীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এত নিয়ম করলেও হয়রানীর ভয়ে কথিত এ নেতার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না কেউ।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, 'ইজারা পেয়ে বাজারে জানিয়ে দিয়ে গেছেন - 'বাজারের সব ভিটি আমার। আমি নির্ধারণ করবো কে কোথায় বসবে।'
জানা যায়, বাংলা ১৪৩২ সনের জন্য প্রায় ৩৪ লাখ টাকায় নবাবগঞ্জ বাজার বরাদ্দ পান। ১লা বৈশাখ তাকে বরাদ্দ বুঝিয়ে দেন প্রশাসন। এরপর থেকে বাজারে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন ইজারাদার হুমায়ুন চৌধুরী। নিয়ম না থাকলেও ব্যবসায়ীদের বসার স্থান নির্ধারিত করে দেওয়ার নাম করে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হুমায়ূন চৌধুরী তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে বাজারে বসার জন্য কারো কাছে ২০ হাজার আবার কারো কাছে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাদের উঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে আমরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি।
তারা আরো বলেন, ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর আমাদের দুর্ভোগ কমবে। কিন্ত ইজারাদার পরিবর্তন হলেও আমাদের ভোগান্তি কমেনি। উল্টো ইজারাদার কর আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি বসতেও আলাদা টাকা নিচ্ছে তারা।
এব্যাপারে ইজারাদার হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ডাবল টাকা লেগেছে ইজারা নিতে। তাই অতিরিক্ত টাকা নিতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের টাকার বিনিময়ে বসার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারটি তিনি বলেন, আমি বাজার ইজারা নিয়েছে, কে বসবে তা দেখার দায়িত্ব আমার। এভাবে টাকা নিতে পারেন কি না প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদোউত্তর দিতে পারেনি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ইজারাদার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিনের খাজনা তুলবেন। ভিটি নির্ধারণ করে টাকা নেয়ার এখতিয়ার তার নেই।
মুমু