
ছবি: জনকণ্ঠ
কুয়াকাটা সৈকত-সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে এই সড়কের নির্মাণে নিম্নমানের বালু ব্যবহারের অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। এখন শেষ পর্যায়ের কার্পেটিংয়ের কাজেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ফেসবুকে আলোচনার ঝড় তুলেছে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে পূর্বদিকে পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পাকাকরণ কাজ চলছে। ইতিপূর্বে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও কৃষিজমি থেকে বালু সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। এখন কার্পেটিংয়ের কাজে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার, প্রাইম কোট না দেওয়া ও লিকুইড বিটুমিন কম প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
সচেতন পর্যটক ও স্থানীয়রা কাজ চলাকালীন সময়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, যা ভাইরাল হয়ে এক প্রোফাইল থেকে আরেক প্রোফাইলে ছড়িয়ে পড়ছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহিদ ফেসবুকে লিখেছেন, “রাস্তার ধুলাবালি পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে তারপর কার্পেটিং করতে হয়। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকার এই সড়কে এমন নিম্নমানের কাজ মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও জানান, “বিটুমিন ঢালাইয়ে প্রাইম কোট না দিয়ে এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম লিকুইড বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সড়কের স্থায়িত্ব নষ্ট করবে।”
এই একই পোস্ট পর্যটনকর্মী কেএম বাচ্চু শেয়ার করেন। রবিবার বিকেল থেকে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই মন্তব্য করেন, "এই রাস্তার কাজ বেশিদিন টিকবে না।”
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদেকুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এরপর পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর জানান, “প্রাইম কোট স্প্রে করে যথাযথভাবে কার্পেটিং করা হচ্ছে। আমরা মান নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট।” তবে কাজের ব্যয়, বরাদ্দ, কার্যাদেশ বা নির্ধারিত সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি “বিকেলে জানাবেন” বলে ফোন কেটে দেন এবং আর সাড়া দেননি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ শুনেছি। এলজিইডিকে মানসম্মতভাবে কাজ সম্পন্ন করতে বলেছি।”
শহীদ