
ছবি: জনকণ্ঠ
ফেসবুকে একটি বাউল গানের লাইন পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আঃ ওয়াহেদ ফকিরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১টায় শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথায় এ কর্মসূচি পালন করেন জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
সমাবেশ থেকে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক ওয়াহেদ ফকিরের মুক্তি এবং বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দীনের প্রত্যাহার দাবি করেন।
জানা যায়, শনিবার রাতে সাতমাথা এলাকা থেকে ওয়াহেদ ফকিরকে আটক করে পুলিশ।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে তাকে প্রথমে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে, পরে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে রাতভর আটক রাখা হয়। তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো হিন্দু ব্যক্তি অভিযোগ না করায় মামলা দায়ের সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত শাজাহানপুরের পলাশ কুমার মহন্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেন।
থানায় আটক থাকা অবস্থায় ওয়াহেদ দাবি করেন, তিনি কোনো ধর্মীয় অবমাননা করেননি। তার পোস্টটি একটি প্রচলিত বাউল গানের কলি। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে লিখছি, তাই প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।”
ওয়ারেন্ট বা মামলা ছাড়াই একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বগুড়ার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার সকালে আদালতে জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর হয়। পরে ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলন’-এর ব্যানারে সাতমাথায় মানববন্ধনে অংশ নেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী মনোভাব নিয়ে সাংবাদিক দমনের চেষ্টা করছে ওসি মইনুদ্দীন। ওয়াহেদ ফকির “জুলাই বিপ্লব” সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য টার্গেটেড হয়েছেন। তার লেখালেখিতে পুলিশের দুর্নীতির চিত্র উঠে আসায় তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক প্রতীক ওমর। বক্তব্য দেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, বিএফইউজের সাবেক নেতা মীর্জা সেলিম রেজা, মহসিন আলী রাজু, বাসাস আহ্বায়ক এফ শাহজাহান, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলারসহ আরও অনেকে।
বক্তারা ওয়াহেদ ফকিরের মুক্তি এবং ওসি মইনুদ্দীনের অপসারণ না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
রবিউল