
দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না এই সেতু
সেতু থাকলেও, নেই সংযোগ সড়ক। দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না এই সেতু। আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গত ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের কাশেম মিয়ার বাড়ির কাছে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের পর থেকে আজও সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে ৩০ এপ্রিল ঠিকাদার সেলিম মিয়া মুঠোফোনে বলেন, সাড়ে ৩২ লাখ টাকার কাম তো... অতো মনে নাই। ব্রিজ তো টিক্কা আছে!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর নির্মিত হয় সেতু আর এখন তা মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু সেতু ব্যবহার করতে পারছে না গ্রামবাসী সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছেন তারা। সেতুটিতে যানবাহন বা মানুষ চলাচলের স্থলে, মানুষ এখন ধান, মরিচ আবার কেউ কেউ কাপড়চোপড় বা কাঁথা শুকাচ্ছে। গত কয়েক বছরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর সংযোগ রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ রহস্যজনক কারণে শেষ না করায় সেতুর আশপাশে জমে থাকছে পানি।
আর এ পানি জমাট বেঁধে থাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভিজে যাচ্ছে। বন্যার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও নাজুক হয়ে যায়, সেতু থাকতেও নৌকা কিংবা ভিজে পার হতে হয় হাজারো গ্রামবাসীকে। জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী।
জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী। ভুড়ভুড়িয়া এলাকার মহসিন মিয়া নামে এক বৃদ্ধ বলেন, বহু বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার, তারপর থেকে আমরা একদিনের জন্যও এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
স্থানীয় সংগঠক ও সমাজসেবী আরিফুল ইসলাম মাসুম বলেন, ব্রিজটি এখন এলাকার বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংযোগ সেতু না থাকায় এলাকাবাসী নিজেরাই বাধ্য হয়ে বাঁধ দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। আর এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে সেতুর দুই পাশে থাকা হাজার হাজার একর কৃষি জমির। বাঁধের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষক এখন টাকা খরচ করে শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দেয়। এর একটা বিহিত চাই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সেতু যখন নির্মাণ হয় ওই সময় আমি এ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না, তাই বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে ১৫/২০ দিনের মধ্যে সেতুর দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে।