ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

ফটিকছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ মানুষ, ক্ষয়ক্ষতি ৪৭৬ কোটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৩১ আগস্ট ২০২৪

ফটিকছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ মানুষ, ক্ষয়ক্ষতি ৪৭৬ কোটি

অতিবর্ষণ, পাহাড়ি ও উজানের ঢলে ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। এবারের বন্যাতে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বাগান বাজার ছাড়াও দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, খিরাম, রোসাংগিরী, নানুপুর, লেলাং, পাইন্দং, কাঞ্চন নগর, বখতপুর, ধর্মপুর, সুন্দরপুর, সমিতিরহাট, জাফতনগর, আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন এবং ফটিকছড়ি পৌরসভা, নাজিরহাট পৌরসভায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ঘর-বাড়ী, দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, গবাদিপশুর এগ্রো ফার্ম, মৎস্য খাত, পুকুর, ফলের বাগান, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ব্রিজ-কালভার্ট, সড়ক, কৃষি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তত ৪৭৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷  

জানা যায়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উজানের পানিতে হালদা নদী, ধুরুং খালের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত পানির কারণে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সর্তা খাল, লেলাং খাল, মন্দাকিনি খাল, কুতুবছড়ি খাল সহ ফটিকছড়ির অভ্যন্তরীন নদ-নদীগুলোর পানিতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বেশির ভাগাংশ জনপদ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। 

এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বন্যার পানি কমে গেলেও ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফটিকছড়ির মানচিত্রজুড়ে অভাবনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। 

বন্যার্তদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ছাত্র সমাজ, ব্যক্তি উদ্যোগে যেভাবে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়, সেভাবে প্রকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনবার্সন করতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। 

এসআর

×