ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ৩ আগস্ট ২০২৪

বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ

বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে কয়েকশত বাড়িঘর

বান্দরবানে টানা ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লামা, আলীকদম ও বান্দরবান সদরের নিম্নাঞ্চলের কয়েকশত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া, বন্যা কবলিত হয়েছে নাইক্ষংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম ইউনিয়ন। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক শত পরিবার। সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা সদরে সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বান্দরবান পৌর এলাকার ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, গোদার পাড়া, কাসেম পাড়া, ক্যচিংঘাটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নাগরিকরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র থাকা পরিবার গুলোকে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শনিবার দুপুরের পর বৃষ্টি পরিমাণ কমে আসায় নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে আবার ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে পরিস্থিতি অবণতি হতে পারে বলে জানা গেছে। 

এদিকে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন। 

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো.সামসুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে পৌর এলাকার অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গিয়ে অনেক পরিবার বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তাদের পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। 

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘গত তিন ধরে বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের কয়েকশত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।’   

এম হাসান

×