ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

পাবনায় পাঁচ প্রার্থীর প্রচার জমজমাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ১৮ মে ২০২৪

পাবনায় পাঁচ প্রার্থীর প্রচার জমজমাট

নির্বাচনী সমাবেশে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতে

২৯ মে সদর উপজেলা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমজমাট প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে সদর উপজেলার জনপদ। প্রার্থীর পোস্টারে চারদিক ছেয়ে ফেলা হয়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিদিনই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে মিছিল-মিটিং চলছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে  প্রার্থীদের  উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। তাই প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গ্রামগঞ্জ চষে বেড়াচ্ছেন, ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। 
পাবনা সদর উপজেলা ১০ ইউনিয়ন ও পাবনা পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ইউনিয়ন হচ্ছে আতাইকুলা, ভাঁড়ারা, চরতারাপুর, দাপুনিয়া, দোগাছী, গয়েশপুর, হিমায়েতপুর, মালঞ্চী, মালিগাছা, সাদুল্লাহপুর। উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হচ্ছে দোগাছী। যার ভোটার সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি। সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন সদরের শেষ সীমান্ত পদ্মা তীরবর্তী চরতারাপুর ইউনিয়ন। যার ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজারের কিছু বেশি।

পাবনা পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে ভোটার  ৪ লাখ ৯২ হাজার ৭২ জন। পাবনা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে কামিল হোসেন (কাপ-পিরিচ), আবু সাঈদ খান (হেলিকপ্টার), রফিকুল ইসলাম রুমন (আনারস), আলহাজ মোশারোফ হোসেন (ঘোড়া), আলহাজ সোহেল হাসান শাহীন (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ মোশারোফ হোসেন ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। আলহাজ মোশারোফ হোসেন ২ বার পাবনা পৌর চেয়ারম্যান ও ৩ বার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় তার রয়েছে শক্ত অবস্থান।

অন্যদিকে ক্লিন ইমেজের অধিকারী সোহেল হাসান শাহীন রাজনৈতিক জীবনে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তিনিও বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। আলহাজ মোশারোফ হোসেন জানান, পৌরসভার চেয়ারম্যান থেকে ৩ বার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের রাজনীতি করছি। তাই তিনি এবারও বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।

সোহেল হাসান শাহীন বলেন, এই জনপদের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীরা তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। তাই দলের ওপর আস্থা রেখে প্রার্থী হয়েছি। চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রুমন জানান, তথ্যপ্রযুক্তির এ সময়ে সরকারের উন্নয়ন ও মানুষের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন প্রার্থী দরকার।

দীর্ঘ সময় নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি। তিনি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা নির্মাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামিল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন সদর উপজেলার গ্রামগঞ্জের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি। সবাই পরিবর্তন চাচ্ছেন তাই নিজেকে যোগ্য মনে করে নির্বাচন করছি।

ভাড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান জানান, উপজেলার প্রতি ইউনিয়নবাসী তাকে চেনেন তিনি এ পদের যোগ্য মনে করে নির্বাচন করছেন। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

ঘাটাইলে ব্যস্ত প্রার্থীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল থেকে জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে ঘাটাইল উপজেলা শহর, গ্রামের হাট-বাজার, অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকা ও পথ-প্রান্তর।

প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা। ঘাটাইল উপজেলা নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমর্থিত কোনো প্রার্থী ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে ঘাটাইল উপজেলায় ২ জন বিএনপি সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। তারা হলেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আরিফ হোসেন (আনারস) এবং বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লোকমান হোসেন (মোটরসাইকেল)।
এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু (তালা), আতিকুর রহমান (চশমা), বিএনপি পরিবার থেকে আগত আব্দুস ছালাম খান আওয়াল (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এরা হলেন- সদ্য সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা সুলতানা শিল্পী (সেলাই মেশিন), বিএনপির উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা জেসমিন পাপিয়া (প্রজাপতি) এবং সাবেক ইউপি মহিলা মেম্বার নাজমুন নাহার নাজমা (কলসি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির নাসির গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, আমি তাদের নিষেধ করে দিয়েছি।

তবে দলের নির্দেশনা অমান্য করে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের বিধি অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ঘাটাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসার জন কেনেথ রিছিল জানান, নির্বাচন ঘিরে আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার রয়েছে। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন।


জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা নির্বাচন
নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নওগাঁর আত্রাইয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রতীক না রেখে উন্মুক্ত করে দেওয়ায় নেই কোনো দলীয় প্রভাব।

আসন্ন যষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরেই প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রার্থীদের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলা সদরসহ উপজেলার প্রতিটি গ্রাম ও গ্রামের হাট-বাজার, অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকা।

প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ এবাদুর রহমান প্রামাণিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী প্রামাণিক, সহ-সভাপতি  আজিজুর রহমান পলাশ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান  মমতাজ বেগম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাবর, সনৎ কুমার প্রামাণিক, মোহাতাব উদ্দিন ও আত্রাই থানা যুবদলের সদ্য  বহিষ্কৃত নেতা শেখ একরামুল বারী রঞ্জু।

এ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে ৩-৪ জনের মধ্যেই লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছে উপজেলাবাসী। এ ছাড়াও এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম, আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফছার প্রামাণিক ও আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মোছা. শামছুন নাহার, মিতু বানু, ফেরদৌসী ইয়াছমিন চৌধুরী, রওশন আরা পারভীন। এদিকে প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা বলছেন, আগামী ২৯ মে ভোটের দিন ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দেবেন। সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বানও জানান তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার  রয়েছে। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে। কোথাও যদি আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন হয় আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিব। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

বরিশালে প্রার্থীদের টার্গেট বিএনপির ভোটার
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভোট কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। তাই প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে এখন সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বিএনপি সমর্থিত ভোটাররা। সেই টার্গেট নিয়েই প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশলে বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থানীয় একাধিক নেতা জানিয়েছেন, হামলা ও মামলা দিয়ে এতদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকাছাড়া করে রাখা হয়েছে। এখন ভোটের জন্য বিএনপির সেই নেতাকর্মীদের ব্যাপক কদর বেড়ে গেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কাছে। কিন্তু দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে বিএনপির ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করা বরিশালের নির্বাচনী উপজেলার নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গেও প্রার্থীরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের আগেই রক্তাক্ত উপজেলায় পরিণত হওয়া গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়াকে সমর্থন দিয়েছেন আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী। ফলে ওই উপজেলায় এখন কাপ-পিরিচ মার্কার সঙ্গে মোটরসাইকেল প্রতীকের ভোটযুদ্ধ হবে। তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে ওই উপজেলার সাধারণ ভোটাররা চরম শঙ্কিত।
আগৈলঝাড়া উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও দোয়াত-কলম মার্কা নিয়ে যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দ্বিতীয় ধাপের মুলাদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরিবর্তনের পক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দীন খসরুর দোয়াত-কলম মার্কার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে নদী বেষ্টিত মুলাদী উপজেলায়ও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে চরম আতঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা। ওই উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারিকুল হাসান খান মিঠু। হিজলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন সদ্য প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালীর একমাত্র ছেলে নজরুল ইসলাম রাজু ঢালী। তিনি চিংড়ি মাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শেষ মুহূর্তে মাগুরায় নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে
নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা থেকে জানান, উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত  হবে। শনিবার ছুটির দিনে শেষ মুহূর্তে  নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রার্থীরা  গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকা পোস্টারে নতুন চেহারা ধারণ করেছে।

প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। প্রার্থীরা তাদের কর্মী বাহিনীকে নিয়ে এলাকায় যাচ্ছেন। চলছে মাইকিং। মহম্মদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন অপরদিকে শালিখা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী  প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত সর্বত্র। মহম্মদপুরে ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৪১ জন। 

ফটিকছড়িতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে শোকজ
নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি থেকে জানান, ফটিকছড়িতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল হক চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

জানা গেছে, ১৪ মে মজিবুল হক চৌধুরী এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা সভায় বক্তব্যের সময় জনপ্রতিনিধিদের প্রভাবিত করে বক্তব্য প্রদান করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন করার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়। 
একই বিধিমালার  উপবিধি অনুসারে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে ১৭ মে জবাব প্রদানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী। নোটিস পেয়ে মজিবুল হক চৌধুরী ১৭ মে সশরীরে এসে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
 
বাগেরহাটের ৩ উপজেলায় আমেজ তুঙ্গে 
স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট থেকে জানান, দ্বিতীয় ধাপে বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে ঘিরে ৩ উপজেলায় শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। এ তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে সরেজমিনে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। 
ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, যুবলীগ নেতা শেখ ওয়াহিদুজ্জামান এবং ফজিলা বেগম নামের এক নারী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখ ইমরুল হাসান, কওসার আলী ফকির, শেখ মোস্তাহীদ, সৈয়দ অলিদ ইমন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তহুরা খানম ও আয়েশা সিদ্দিকা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বপন দাশ ও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে সরেজমিনে জানা গেছে।

এদিকে, মোল্লাহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহীনুল আলম ছানা, তাজউদ্দিন আহম্মদ, শেখ নাসির উদ্দিন ও আইভি আলম রুমকি মনোনয়নপত্র জমা দেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নজরুল ইসলাম মিল্টন, ফজলে রাব্বী, মনিরুজ্জামান চৌধুরী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন, চম্পা ইসলাম সাথী, ইলা বসু ও রীনা পারভীন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এখানেও চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে চিতলমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, আবু জাফর আলমগীর হোসেনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহেব আলী ফরাজী, এসএম মাহাতাবুজ্জামান, কাজী আজমীর আলী, মো. হাচান আলী সরদার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বপ্না বেগম, শিবানী রানী বিশ্বাস, সুলতানা মল্লিক ও চারুবালা হীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা সকলেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

কালকিনিতে প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর থেকে জানান, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাদারীপুরের কালকিনিতে চলছে শেষ মুহূর্তের জমজমাট প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। যার যার পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরাও।

নির্বাচনী প্রতীকে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও বাজারের অলিগলি। এদিকে ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। অপরদিকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মাইকিং আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময়ের মধ্যে চলছে প্রার্থীদের ভোট পাওয়ার প্রচেষ্টা।

চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আমেরিকা প্রবাসী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুরুজ্জামান সরদারকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।

আজ শনিবার সকালে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ।

এদিকে নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী বা প্রতীক না থাকলেও দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীনের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ভোটে সবচাইতে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে ভোটারদের ধারণা।

তাড়াশে শেষ মুহূর্তের প্রচার তুঙ্গে
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা থেকে জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা।

ভোটারদের সমর্থন আদায়ে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক পথসভা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন প্রার্থী ও সমর্থকেরা। তাড়াশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুইজন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, প্রতীক দোয়াত কলম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সনজিত কুমার কর্মকার, আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনজন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের ছোট ছেলে, ম ম জর্জিয়াস মিলন রুবেল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক পিয়াস।

হিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন পাঁচজন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা খাতুন মিনি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাফুজা আক্তার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শায়লা পারভিন, ও নাজমা খাতুন।

×