![টাকা বেশি টিটুর, উচ্চ ডিগ্রিধারী রেজাউল ॥ দু’জন স্বশিক্ষিত টাকা বেশি টিটুর, উচ্চ ডিগ্রিধারী রেজাউল ॥ দু’জন স্বশিক্ষিত](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/b4-2402291813.jpg)
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের চার ও জাতীয় পার্টির একজনসহ মোট পাঁচ প্রার্থী। এদের মধ্যে নগদ অর্থ সবচেয়ে বেশি মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর। হলফনামায় তার নগদ অর্থ দেখানো হয়েছে এক কোটি ৬৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৪২ টাকা। বার্ষিক আয়ও বেশি ইকরামুল হক টিটুর। তার পরই আছে রেজাউল হকের নাম। নতুন মুখ মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল হক হলফনামায় নিজেকে পিএইচডি ধারী বলে উল্লেখ করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী এহতেশামুল আলম ও এবং জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন ম-ল হলফনামায় নিজেদের স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। ইকরামুল হক টিটু বিএ এবং অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু বিএ, এলএলবি উল্লেখ করেছেন। পাঁচ মেয়র প্রার্থীর কারো নামেই কোনো মামলা নেই বলে দাবি করেছেন হলফনামায়। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচ প্রার্থী হচ্ছেনÑ ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি টেবিল ঘড়ি প্রতীকের ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকের এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ সিটি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাতি প্রতীকের অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু, আওয়ামী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য হরিণ প্রতীকের রেজাউল হক ও রওশন এরশাদ পন্থি লাঙ্গল প্রতীকের শহিদুল ইসলাম স্বপন ম-ল।
মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর নগদ অর্থ রয়েছে এক কোটি ৬৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৪২ টাকা। পদ্মা ব্যাংকে তার নামে ঋণ রয়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২২ হাজার ৩৩৪ টাকা এবং অন্যান্য খাতে ঋণ দেখানো হয়েছে ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯২ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ১১ হাজার ৮৪০ টাকা।
পোস্টাল সেভিংস ও সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে তার বিনিয়োগের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ ১৯ হাজার ২২৫ টাকা। স্বর্ণ দেখানো হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র সামগ্রী দেখানো হয়েছে দুই লাখ টাকার। কৃষি জমি রয়েছে ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ২৫০ টাকার।
মেয়র প্রার্থী এহতেশামুল আলম হলফনামায় নগদ টাকা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭০ টাকা দেখিয়েছেন। তার শেয়ার কিংবা সঞ্চয়পত্রে কোনো আমানত নেই। স্বর্ণ দেখানো হয়েছে দশ তোলা। ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি গাড়ির মালিকানা উল্লেখ করেছেন তিনি। তার নিজ নামে একটি চারতলা বাড়ি, মালিকানা অর্জনকালে এর মূল্য ১৮ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। ঢাকা ব্যাংক ময়মনসিংহ শাখায় কার লোন রয়েছে ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭০ টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু হলফনামায় নগদ অর্থ ৯৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৬০ টাকা দেখিয়েছেন। বৈবাহিক সূত্রে ১০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পেশা থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা,বাড়ি ও দোকান থেকে বার্ষিক ৯০ হাজার টাকা, ভূমি বিক্রয়ে আয় ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২০ টাকা, ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ ৯৭ হাজার ৬৬০ টাকা দেখিয়েছেন। কৃষি ও মৎস্য খাতে তার কোনো বিনিয়োগ নেই। নিজ নামে একতলা বাড়ি রয়েছে যা উত্তরাধিকারসূত্রে তিনি পেয়েছেন। তার নামে ব্যাংকে কোনো ঋণ নেই বলেও হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন ম-ল তার হলফনামায় নগদ ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। তবে ব্যাংকে তার কোনো নগদ টাকা কিংবা ব্যক্তিগত কোনো স্বর্ণ নেই।
নতুন মুখ অ্যাডভোকেট রেজাউল হক তার হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। বৈবাহিকসূত্রে পাওয়া ৩০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ রয়েছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৩ টাকা। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্র্যাকটিশনার অ্যাডভোকেট রেজাউল হক জানান, আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারপরও অনেকে আমাকে নতুন মুখ হিসেবে তুলে ধরেছেন।