ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১১:৫০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ

ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ১৮ বছরের এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

মামলার আসামিরা হলো, অয়ন (২৩) ও তার সহকারী সিফাত। তারা দুজনেই বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।


এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার নরপদীর কুড়িয়াভিটা ব্রিজের ঢালে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে ধর্ষক অয়ন ও ধর্ষণের সহায়তাকারী সিফাত পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় ভুক্তভোগী নারী ও তার ১৩ বছরের চাচাত ভাই সিয়াম বন্দর উপজেলার নরপদীর হান্নান মিয়ার দোকানের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সেখানে ওত পেতে থাকা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে সিয়াম ওই তরুণীকে পথরোধ করে অটোতে করে নরপদী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়।

পরে সেখানে সিফাত ও অয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন মিলে ওই নারীকে হাত-পা বেঁধে পরিধেয় পোশাক ছিঁড়ে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে।

ভুক্তভোগী তরুণী গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঘারমোড়ায় চাচাতো বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় সিফাত ভুক্তভোগীর চাচাতো বোনকে ফোন করে তাকে নরপদী ব্রিজের সামনে আসতে বলে। তরুণী ব্রিজে আসবে না বলে জানালে সিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখায়।

পরে তরুণী ভয়ে মঙ্গলবার রাত সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর থানার কুড়িয়াভিটা ব্রিজের সামনে আসলে ওই সময় সিফাতের সঙ্গে থাকা অয়ন ওই নারীকে খারাপ ইঙ্গিত করে।

সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিফাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫-৭ জনের সহায়তায় অয়ন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার উপপরিদর্শক শওকত আলী জানান, ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এবি 

×