ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সহকর্মীদের হাতে বেকারি শ্রমিক খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সহকর্মীদের হাতে বেকারি শ্রমিক খুন

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা এলাকায় সহকর্মীদের হাতে বেকারি শ্রমিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে সংগঠিত ঘটনায় নিহত বেকারি শ্রমিক শাহ আলম (৩৫)  এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই আহসান হাবিব। 

নিহত শাহ আলম পার্শ্ববর্তী  সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ নং সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র।

আরও পড়ুন : অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আরসার ৪ ক্যাডার আটক

জানা গেছে, খুনের শিকার শাহ আলম বাঁশখালী পৌরসদরের গ্রীনপার্ক কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন মায়ের দোয়া বেকারিতে শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত ছিলো। যথারিতি বৃহস্পতিবার  দুপুরে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ওই বেকারিতে ভাত খেতে বসেন শাহ আলম। সেখানে স্থানীয় পূর্ব-জলদী লস্কর পাড়া সিন্নিপুকুর পাড় এলাকার মাহাবুব আলমের কথা কাটাকাটি হয়। 

একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। বিষয়টি শুনে বেকারির মালিক এজহারুল হক দুইজনকে ডেকে মীমাংসা করে দেয়। তাতে ক্ষান্ত হননি সহকর্মী মাহবুব। সেই রেশ ধরে পরেরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে দেখা যায়, শাহ্ আলমের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে বেকারির শয়নকক্ষে। 

খবর পেয়ে এলাকার লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে খুনের ঘটনার পর থেকে মাহবুব পলাতক রয়েছে। 

বেকারির মালিক এজহারুল হক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত শাহ আলমের সাথে মাহাবুব আলমের কথা কাটাকাটি হয়। মারামারির খবর পেয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিই। এদিন রাতে শাহ্ আলম সহ ৭/৮জন শ্রমিক বেকারিতে অবস্থান করছিলেন। মাহাবুব প্রতিদিনের ন্যায় বাড়িতে চলে যায়। সকালে আসেন কাজে। 

ঘটনার রাতে শাহ আলমের সাথে থাকা কয়েকজন ফজরের নামাযের জন্য চলে যায়। শাহ্ আলম উঠে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। নামায শেষে আসা শ্রমিকরা শাহ আলম কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিহত শাহ আলমের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাঁশখালী থানা পুলিশের এস,আই আহসান হাবিব বলেন, বেকারির শ্রমিক শাহ আলমকে তার সহকর্মীরা হত্যা করেছে তাতে সন্দেহ নেই। তবে কে আসল হত্যাকারী তা খোঁজে বের করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। 
প্রাথমিকভাবে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসআর

×