বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকার কলাতলী নামক স্থানে ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার কলাতলী এলাকায় ২৫ মিটারের একটি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্রিজ বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউটি মং এর লাইসেন্সে কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সাব ঠিকাদার মো. হারুন, খোরশেদ, বিপ্লব দাশ ও অশিত। ইতোমধ্যে গার্ডার ব্রিজটির দুপাশের দুটি ক্যাশনসহ পুরো ব্রিজের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকার কলাতলী নামক স্থানে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ব্রিজের নিচের অংশে প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি ক্যাশনের কাজ শুরু হয়েছে যা গার্ডার থেকে ১২ মিটার মাটির নিচে ঢুকানোর কথা রয়েছে। এ ক্যাশন দুটির কাজ চলছে লোকাল বালু, নিম্নমানের পাথর ও রড দিয়ে।
সংশ্লিষ্টরা কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে নিম্নমানের বালির ওপর মোটা দানার বালি দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা গেছে। এ ব্রিজটির কাজের শ্রমিক রুবেল ও ইদ্রিস বলেন, এখানে ঠিকাদাররা যা দিতে বলেছে আমরা তাই দিচ্ছি। আমাদের এসব বলে লাভ নাই। এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার হারুন বলেন, বালি হলেই হলো। মোটা দানার বালি দিতে হবে এমন কথা নেই। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, কাজে যা ধরা আছে ঠিক সেভাবেই কাজ করছি। ব্রিজটির কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অংশৈ প্রু মারমা (বাপ্রু) বলেন, বালিতে যদি মোটা দানার বালি ধরা না থাকে তাহলে তারা কেন লোকাল বালির ওপরে মোটা দানার বালি দিয়ে ঢেকে রাখবে। এরকম দেখলে যে কেউ তো তাদের চোর ভাববে। এ ছাড়া এখানে কোনো ধরনের নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এস্টিমেটের বাইরে এক ইঞ্চি কাজও করতে দেওয়া হবে না। আমি অবশ্যই তদারকি করে ব্যবস্থা নেব বলে জানান তিনি।