ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

পাউবোর জমিতে মার্কেট ও হোটেল নির্মাণ

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাউবোর জমিতে মার্কেট ও হোটেল নির্মাণ

জমি দখল করে গড়ে তুলছে মার্কেট

দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি একের পর এক অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। দখলকৃত জমিতে গড়ে উঠছে মার্কেট হোটেল। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের শুধু নোটিস দিয়ে রাখা হলেও  উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের। ফলে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে একের পর এক জমি দখল করে ফায়দা লুটে চলেছে।

রবিবার এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, তিস্তা সেচ প্রকল্পের জমি দখল করে ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি এলাকায় শতাধিক দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। আবার নতুন করে আরও প্রায় ১৫ শতাংশ জায়গায় ১২টি পাকাঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব দোকানে স্থানীয় কয়েক ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। প্রতিটি দোকানের জন্য দুই থেকে তিন লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে তারা এসব দোকান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ভাড়া উত্তোলন করছেন। এর সঙ্গে পাউবোর কিছু অসাধু লোকজনও জড়িত রয়েছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি তো জায়গা দখল করিনি। দোকান হিসেবে নিয়েছি, আমি একজন ভাড়াটে মাত্র। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা জামানত দিয়ে মাসিক দুই হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া নিয়েছি। আরেক দোকানদার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানের জামানত হিসেবে অগ্রিম দুই লাখ টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যান। মাসিক ভাড়া দুই হাজার টাকা। ঝুনাগাছ চাপানির ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলেও আমার দখলে আছে। আগের কাঁচা দোকান ভেঙে পাকাঘর বানিয়ে ভাড়া দিয়েছি। অনেকেই পাউবোর জায়গা দখল করে দোকানপাট করেছেন। আমি করলে সমস্যা কি? আমার আগে তো আরও দুই শতাধিক দোকান নির্মাণ করে অপর দুই প্রভাবশালী। তারাও তো টাকা তুলে খাচ্ছে।

তিস্তা ব্যারাজ এলাকার নম্বর চেক পোস্টের বিপরীত পাশে ফ্লাড বাইপাসের ১০০ গজ দূরে পাউবোর জমি অবৈধভাবে দখল করে ৮৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে বৈরালি হোটেল মার্কেট। নাউতারা এলাকার তিস্তা সেচ ক্যানেলের পরিদর্শন সড়কের ধারে ডালিয়া বাজার তুহিন বাজার গড়ে ওঠে পাকাঘর নির্মাণ করে প্রভাবশালীরা তা দখলে নিয়ে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, পাউবো শুধু নোটিস দিয়ে চুপ করে থাকে। তারা কোনো সময় উচ্ছেদ করতে আসে না।

ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ইতোমধ্যে আমরা নোটিস করেছি। এর মধ্যে তারা ভেঙে না নিলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব। পাউবোর জায়গায় অবৈধ দখলদারিত্বের কোনো সুযোগ নেই।

×