ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধান ক্ষেতে অংকিত পতাকায় দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ 

 সংবাদদাতা, নালিতাবাড়ী 

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১ এপ্রিল ২০২৩

ধান ক্ষেতে অংকিত পতাকায় দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ 

ধান ক্ষেতে পতাকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে ব্যতিক্রমী বেগুনী রঙ্গের বোরো ধান চাষ করে  দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন রণঞ্জিত সাহা নামে এক ধান চাষী। উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রণঞ্জিত সাহা তার কৃষি খামারে এ ধান চাষ করেন। তার এই চিত্রকর্ম দেখতে প্রতিদিন দুর-দুরান্তের উৎসুক মানুষ ছুটে আসছেন। ছুটে এসে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন তারা। 

জানা গেছে, দেশপ্রেম প্রকাশে ব্যবসায়ী রণঞ্জিত সাহার শখ ছিল সবুজের বুকে লাল বৃত্তে জাতীয় পতাকার আদলে ধানের মাঠ গড়ার। তাই তার আবাদী জমিতে স্বপ্ন পুরণে জাতীয় পতাকার মাঝখানের লাল বৃত্ত ভরাট করেছেন বেগুনি রঙ্গের এক ধরনের ধান গাছ লাগিয়ে। প্রথমে ধান ক্ষেতের চারপাশে বেগুনী রঙ্গের ধান দিয়ে বর্ডার তৈরী করে তার ভিতরে সবুজ। আর মাঝখানে সেই বেগুনী রঙ্গের ধানের চারা দিয়ে জাতীয় পতাকার আদলে একটি ধানক্ষেত তৈরি করেছেন তিনি। 

ধান গাছের রংটা বেগুনী হলেও সবুজের বুকে ওই বেগুনী অনেকটা লাল রং এর মতো। দুর থেকে দেখতে বেগুনী রংটি লাল বৃত্তই মনে হচ্ছে। যা দেখতে অনেকটাই আমাদের জাতীয় পতাকার মতো। গত বছরও চাষী রণঞ্জিত সাহা ধানক্ষেতে এমন চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এখন প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ভীড় করছেন ব্যবসায়ী রণঞ্জিত সাহার কৃষি খামারে। দেশপ্রেমের এমন দৃশ্য দেখতে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন এসে ছবি ও সেলফি তুলছেন।  

দেশপ্রেমিক চাষী রণঞ্জিত সাহা বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি ধান ক্ষেতে জাতীয় পাতাকা তৈরি করেছি। এছাড়া আমার শখ ছিল ধান ক্ষেতে জাতীয় পতাকা অংকন করার। এবারের বোরো আবাদে সেই স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। ভালো লাগে তখনই যখন দেখি উৎসুক মানুষ এসে আমার এই জাতীয় পতাকা অংকিত ধান ক্ষেতে ছবি কিংবা সেলফি তুলে। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই ধান ক্ষেতে বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতি সৌধের চিত্র ফুটিয়ে তুলার ইচ্ছা আছে।  

তাসমিম

×